ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালের বারান্দায় অজ্ঞাত বাক প্রতিবন্ধী মৃত্যুমুখে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৩২২ বার পড়া হয়েছে

ফেসবুকে দেখে হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় নেতা
আফজালুল হক/রুদ্র ম-ল: ফেসবুকের কল্যাণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মৃত্যু পথযাত্রী অজ্ঞাত মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধি অবশেষে পেল আশার আলো। অজ্ঞাত মানসিক ব্যক্তিটি হাসপাতালের বারান্দায় এক সপ্তাহ যাবত আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও এগিয়ে আসেনি কেউ। স্থানীয় সাংবাদিক আফজালুল হকের ফেসবুক আইডিতে মানবিক সাহায্যের একটি পোস্ট দেখে দুর্ঘটনায় আহত অজ্ঞাত মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধি পাশে দাঁড়ালেন বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক গরীব রুহানী মাসুম ও চুয়াডাঙ্গা ফাতেমা প্লাজার টনিক কম্পিউটারের সত্ত্বাধিকারী আজাদুল ইসলাম টনিক। গতকাল বোরবার সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখতে ছুটে আসেন তারা। এ সময় তারা তার সার্বিক খোঁজখবর নেয় এবং তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেয়।
জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে দামুড়হুদা থানা পুলিশ টহলরত অবস্থায় দামুড়হুদা ব্রাক ব্যাংক ও ব্রিক্স ফিল্ডের মাঝামাঝি সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেকে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অজ্ঞাত আহত ব্যক্তিটি মানসিক প্রতিবন্ধি বলে ধারণা করা হয়। ঘটনার পর ৭ দিন পার হলেও এখনো অজ্ঞাত অবস্থায় আছে। এখনো পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি, হয়নি পূনবার্সনও। ফেসবুকের পোস্ট দেখে গতকাল সন্ধ্যার পর বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গরীব রুহানী মাসুম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন। অজ্ঞাত মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধীকে দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন ও তার যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এসময় তিনি বলেন, আজ সাত দিন একটা মানুষ অজ্ঞাত অবস্থায় পড়ে আছে জানতামই না। ফেসবুকে স্থানীয় এক সাংবাদিকের পোস্টে আমার দৃষ্টিগোচর হয়। আমি তার চিকিৎসাসহ যাবতীয় দায়িত্ব নিলাম।
এদিকে, এই পোস্ট দেখে চুয়াডাঙ্গা ফাতেমা প্লাজার টনিক কম্পিউটারের সত্ত্বাধিকারী আজাদুল ইসলাম টনিকেরও দৃষ্টিগোচর হয়। তিনিও সন্ধ্যার পর ছুটে আসেন হাসপাতালে। তিনিও তার দায়িত্ব নিতে হাত ছাড়া করেননি। অজ্ঞাত জখম এই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। দিন যত যাচ্ছে তত মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করছে। যেহেতু তার কেউ নেই তাই কোন ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে তাকে সেবা প্রদান করবেন এ জন্য এগিয়ে আসার জন্য আহবান করা হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিতে হবে দ্রুত। পরে সদর হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে রোগীদের সার্বিক খোঁজ খবর নেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহ-সভাপতি শাহিন আলম মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত জোয়ার্দ্দার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ জোয়ার্দ্দার, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জসিম, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মেজো ও বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের আলমডাঙ্গা উপজেলার সভাপতি আব্দুর রহীম প্রমূখ। পরে এই নেতা সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান করেন ও স্থানীয় সাংবাদিককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হাসপাতালের বারান্দায় অজ্ঞাত বাক প্রতিবন্ধী মৃত্যুমুখে

আপলোড টাইম : ১০:৩৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফেসবুকে দেখে হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় নেতা
আফজালুল হক/রুদ্র ম-ল: ফেসবুকের কল্যাণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মৃত্যু পথযাত্রী অজ্ঞাত মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধি অবশেষে পেল আশার আলো। অজ্ঞাত মানসিক ব্যক্তিটি হাসপাতালের বারান্দায় এক সপ্তাহ যাবত আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও এগিয়ে আসেনি কেউ। স্থানীয় সাংবাদিক আফজালুল হকের ফেসবুক আইডিতে মানবিক সাহায্যের একটি পোস্ট দেখে দুর্ঘটনায় আহত অজ্ঞাত মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধি পাশে দাঁড়ালেন বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক গরীব রুহানী মাসুম ও চুয়াডাঙ্গা ফাতেমা প্লাজার টনিক কম্পিউটারের সত্ত্বাধিকারী আজাদুল ইসলাম টনিক। গতকাল বোরবার সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখতে ছুটে আসেন তারা। এ সময় তারা তার সার্বিক খোঁজখবর নেয় এবং তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেয়।
জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে দামুড়হুদা থানা পুলিশ টহলরত অবস্থায় দামুড়হুদা ব্রাক ব্যাংক ও ব্রিক্স ফিল্ডের মাঝামাঝি সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেকে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অজ্ঞাত আহত ব্যক্তিটি মানসিক প্রতিবন্ধি বলে ধারণা করা হয়। ঘটনার পর ৭ দিন পার হলেও এখনো অজ্ঞাত অবস্থায় আছে। এখনো পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি, হয়নি পূনবার্সনও। ফেসবুকের পোস্ট দেখে গতকাল সন্ধ্যার পর বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গরীব রুহানী মাসুম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন। অজ্ঞাত মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধীকে দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন ও তার যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এসময় তিনি বলেন, আজ সাত দিন একটা মানুষ অজ্ঞাত অবস্থায় পড়ে আছে জানতামই না। ফেসবুকে স্থানীয় এক সাংবাদিকের পোস্টে আমার দৃষ্টিগোচর হয়। আমি তার চিকিৎসাসহ যাবতীয় দায়িত্ব নিলাম।
এদিকে, এই পোস্ট দেখে চুয়াডাঙ্গা ফাতেমা প্লাজার টনিক কম্পিউটারের সত্ত্বাধিকারী আজাদুল ইসলাম টনিকেরও দৃষ্টিগোচর হয়। তিনিও সন্ধ্যার পর ছুটে আসেন হাসপাতালে। তিনিও তার দায়িত্ব নিতে হাত ছাড়া করেননি। অজ্ঞাত জখম এই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। দিন যত যাচ্ছে তত মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করছে। যেহেতু তার কেউ নেই তাই কোন ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে তাকে সেবা প্রদান করবেন এ জন্য এগিয়ে আসার জন্য আহবান করা হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিতে হবে দ্রুত। পরে সদর হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে রোগীদের সার্বিক খোঁজ খবর নেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহ-সভাপতি শাহিন আলম মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত জোয়ার্দ্দার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ জোয়ার্দ্দার, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জসিম, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মেজো ও বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের আলমডাঙ্গা উপজেলার সভাপতি আব্দুর রহীম প্রমূখ। পরে এই নেতা সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান করেন ও স্থানীয় সাংবাদিককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।