ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালেই প্রেমিক আশিকের সঙ্গে বিয়ে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৯৮ বার পড়া হয়েছে

বিয়ের দুই মাসের মাথায় নববধূর সন্তান প্রসবের ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্ষণ মামলা থেকে রেহায় পেতে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালের বেডেই প্রেমিকা সোনালি খাতুনকে বিবাহ করলেন প্রেমিক আশিক। গত রোববার রাতে আট লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন আশিক। এ ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ২ দুই মাস ১০দিন আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লার গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে মোস্তাকিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী সোনালী খাতুনের বিয়ে হয়। গত শনিবার (২ জানুয়ারি) রাতে শ্বশুরবাড়িতেই গৃহবধূ একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর নবজাতকটি অসুস্থ হলে রোববার সকালে মাসহ বাচ্চাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়। রোববার সকালেই সদ্যভূমিষ্ট সন্তান প্রেমিক আশিকের বলে দাবি করে জোরপূর্বক মোস্তাকিম হাসপাতালের মধ্যেই তালাক দেন সোনালী খাতুনকে।
এদিকে, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুটবলমাঠ পাড়ার সোনালী খাতুনের প্রেমিক আশিক অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি করে বিবাহ করেন। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বেডে কয়রাডাঙ্গা গ্রামের এক কাজির মাধ্যমে প্রেমিকের সঙ্গে পুনরায় বিয়ে দেওয়া হয় সোনালী খাতুনকে। এদিকে এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেতে তড়িঘড়ি করে প্রেমিক আশিকের পরিবারের সদস্যরা বিয়ে দিয়েছে সোনালী খাতুনের সাথে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার গোকুলখালি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার সকালে ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশে প্রেমিক আশিককে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে যায়। পরে শুনতে পায় রোববার রাতেই সদর হাসপাতালে গ্রামের জহুরুল কাজির মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার দেনমোহরে তাঁদের বিবাহ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (আজ) বিবাহের কাগজপত্র হাতে পাব। পরে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে ফিরে আসি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হাসপাতালেই প্রেমিক আশিকের সঙ্গে বিয়ে

আপলোড টাইম : ১০:২৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

বিয়ের দুই মাসের মাথায় নববধূর সন্তান প্রসবের ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্ষণ মামলা থেকে রেহায় পেতে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালের বেডেই প্রেমিকা সোনালি খাতুনকে বিবাহ করলেন প্রেমিক আশিক। গত রোববার রাতে আট লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন আশিক। এ ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ২ দুই মাস ১০দিন আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লার গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে মোস্তাকিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী সোনালী খাতুনের বিয়ে হয়। গত শনিবার (২ জানুয়ারি) রাতে শ্বশুরবাড়িতেই গৃহবধূ একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর নবজাতকটি অসুস্থ হলে রোববার সকালে মাসহ বাচ্চাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়। রোববার সকালেই সদ্যভূমিষ্ট সন্তান প্রেমিক আশিকের বলে দাবি করে জোরপূর্বক মোস্তাকিম হাসপাতালের মধ্যেই তালাক দেন সোনালী খাতুনকে।
এদিকে, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুটবলমাঠ পাড়ার সোনালী খাতুনের প্রেমিক আশিক অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি করে বিবাহ করেন। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বেডে কয়রাডাঙ্গা গ্রামের এক কাজির মাধ্যমে প্রেমিকের সঙ্গে পুনরায় বিয়ে দেওয়া হয় সোনালী খাতুনকে। এদিকে এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেতে তড়িঘড়ি করে প্রেমিক আশিকের পরিবারের সদস্যরা বিয়ে দিয়েছে সোনালী খাতুনের সাথে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার গোকুলখালি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার সকালে ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশে প্রেমিক আশিককে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে যায়। পরে শুনতে পায় রোববার রাতেই সদর হাসপাতালে গ্রামের জহুরুল কাজির মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার দেনমোহরে তাঁদের বিবাহ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (আজ) বিবাহের কাগজপত্র হাতে পাব। পরে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে ফিরে আসি।