ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাশেম রেজার গাড়ী বহরে হামলা : চার মোটরসাইকেল ভাংচুর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮
  • / ৬৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক/কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা কুড়–লগাছির সদাবরি গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণার সময় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আ.লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক হাশেম রেজার গাড়ী বহরে হামলা ও চারটি মটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় সদাবরি পূর্বপাড়া যুব সংঘ ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সুনির্দিষ্ট কারণ না জানা গেলেও এ ব্যাপারে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, সন্ধ্যার দিকে দামুড়হুদার সদাবরি পূর্বপাড়া যুব সংঘ ক্লাবে বসে ফুটবল খেলা দেখছিল যুবকেরা। এ সময় গাড়ী বহর নিয়ে ওই ক্লাবে এসে হাজির হন হাশেম রেজা। কারো সাথে কোন কথা না বলেই তার সাথে থাকা লোকজন টিভির সামনে দাড়িয়ে লিফলেট বিতরণ শুরু করে। এতে যুবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে টিভির সামনে থেকে সরে দাড়াতে বলে তাদের। লিফলেট বিতরণকারীরা বলে- ‘হাশেম রেজা এসেছে, এখন খেলা দেখা বন্ধ কর’। এ নিয়ে উত্তেজনার একপর্যায়ে ক্লাবে থাকা ক্রিকেট উইকেট নিয়ে ক্লাবের সদস্যরা হাশেম রেজার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত এবং চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে হাশেম রেজা বলেন, ‘ঠাকুরপুর বাজার মাঠে আমার পূর্ব নির্ধারিত একটি পথসভা ছিল। পথসভা শেষ করে নিজ গ্রামে আসার পথে সদাবরি গ্রামের মাঝ বরাবর পৌঁছুলে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার নিজ দলের পাঁচ ছেলে আহত হয় এবং চারটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে আমার দলীয় কর্মী জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি।
হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধাদান এবং ভীতিসৃষ্টিই হামলাকারীদের প্রধান উদ্দেশ্য। সেখানে পৌছে প্রথমে তাদেরকে সালাম দিলে তারা সৌজন্যমূলক উত্তর দেইনি। এ নিয়ে তাদের সাথে দু’একটা কথা বলতেই ওই ক্লাবের সদস্য আশিক, আব্দুল্লাহ ও অনিকের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন দুর্বৃত্ত আমাদের উপর হামলা চালায়। এটি প্রাণঘাতী হামলা ছিল।’
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দামুড়হুদার ঠাকুরপুর গ্রামের স্কুলমাঠে একটি প্রোগ্রাম শেষ করে গাড়িবহর নিয়ে ফিরছিলেন হাশেম রেজা। পথিমধ্যি সদাবরি নামক স্থানে একটি ক্লাবের সামনে দাড়িয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় হাশেম রেজার সাথে থাকা লোকজনের সাথে স্থানীয় কয়েক যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা হাশেম রেজার সাথে থাকা লোকজনের চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজনকে মারধরও করে। তাদের মধ্যে দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি; শিঘ্রই তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে হামলার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানতে পারিনি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হাশেম রেজার গাড়ী বহরে হামলা : চার মোটরসাইকেল ভাংচুর

আপলোড টাইম : ১১:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক/কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা কুড়–লগাছির সদাবরি গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণার সময় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আ.লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক হাশেম রেজার গাড়ী বহরে হামলা ও চারটি মটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় সদাবরি পূর্বপাড়া যুব সংঘ ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সুনির্দিষ্ট কারণ না জানা গেলেও এ ব্যাপারে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, সন্ধ্যার দিকে দামুড়হুদার সদাবরি পূর্বপাড়া যুব সংঘ ক্লাবে বসে ফুটবল খেলা দেখছিল যুবকেরা। এ সময় গাড়ী বহর নিয়ে ওই ক্লাবে এসে হাজির হন হাশেম রেজা। কারো সাথে কোন কথা না বলেই তার সাথে থাকা লোকজন টিভির সামনে দাড়িয়ে লিফলেট বিতরণ শুরু করে। এতে যুবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে টিভির সামনে থেকে সরে দাড়াতে বলে তাদের। লিফলেট বিতরণকারীরা বলে- ‘হাশেম রেজা এসেছে, এখন খেলা দেখা বন্ধ কর’। এ নিয়ে উত্তেজনার একপর্যায়ে ক্লাবে থাকা ক্রিকেট উইকেট নিয়ে ক্লাবের সদস্যরা হাশেম রেজার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত এবং চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে হাশেম রেজা বলেন, ‘ঠাকুরপুর বাজার মাঠে আমার পূর্ব নির্ধারিত একটি পথসভা ছিল। পথসভা শেষ করে নিজ গ্রামে আসার পথে সদাবরি গ্রামের মাঝ বরাবর পৌঁছুলে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার নিজ দলের পাঁচ ছেলে আহত হয় এবং চারটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে আমার দলীয় কর্মী জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি।
হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধাদান এবং ভীতিসৃষ্টিই হামলাকারীদের প্রধান উদ্দেশ্য। সেখানে পৌছে প্রথমে তাদেরকে সালাম দিলে তারা সৌজন্যমূলক উত্তর দেইনি। এ নিয়ে তাদের সাথে দু’একটা কথা বলতেই ওই ক্লাবের সদস্য আশিক, আব্দুল্লাহ ও অনিকের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন দুর্বৃত্ত আমাদের উপর হামলা চালায়। এটি প্রাণঘাতী হামলা ছিল।’
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দামুড়হুদার ঠাকুরপুর গ্রামের স্কুলমাঠে একটি প্রোগ্রাম শেষ করে গাড়িবহর নিয়ে ফিরছিলেন হাশেম রেজা। পথিমধ্যি সদাবরি নামক স্থানে একটি ক্লাবের সামনে দাড়িয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় হাশেম রেজার সাথে থাকা লোকজনের সাথে স্থানীয় কয়েক যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা হাশেম রেজার সাথে থাকা লোকজনের চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজনকে মারধরও করে। তাদের মধ্যে দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি; শিঘ্রই তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে হামলার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানতে পারিনি।’