ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হারানো বস্তু পেলে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৮:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৮৫৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: সামাজিক জীবনে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা স্পষ্ট। আমরা প্রায়ই বিভিন্ন বস্তু হারিয়ে থাকি, আবার হারানো বস্তুর সন্ধানও পাই। এসব ক্ষেত্রে কী করতে হবে এর নির্দেশনাও ইসলামে রয়েছে। ফিকাহর কিতাবে বলা হয়েছে, অতি নগণ্য কিছু পেলে স্বাভাবিকভাবেই ভোগ করার অনুমতি আছে। মূল্যবান কিছু যা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা যথাসম্ভব মালিক খুঁজে বের করার চেষ্টা করাই বাঞ্ছনীয়। খুঁজে বের করার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে, যেখানে মানুষের উপস্থিতি আছে এমন লোকসমাগমে গিয়ে প্রাপ্তি সংবাদ প্রচার করা। মালিককে পাওয়া গেলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষ মালিকের হাতে তার সম্পদ হস্তান্তর করতে হবে। অনেক ঘোষণার পরও মালিকের সন্ধান না পেলে সম্ভব হলে মালিকের অপেক্ষায় রেখে দেয়া কিন্তু তা সম্ভব না হলে ভোগ করা এবং মালিকের সাক্ষাৎ মিললে মূল্য পরিশোধ করা। অন্যথায় তার নামে দান করে দেয়া। নিজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী সম্পদটির মূল্য সদকা করে দেয়া উত্তম। তবে কোনো সময় যদি উপযুক্ত মালিক ফিরে আসেন তাকে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে। কখনো এমন কিছু পেলে যা নিজে সামাল দেয়া সম্ভব নয় তখন এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। কোনো প্রাপ্তি সংবাদ মসজিদে ওয়াকফকৃত মাইক দিয়ে ঘোষণা করা যাবে না। তবে মাইকটি ওয়াকফ করার সময় মসজিদের কাজের পাশাপাশি অন্য কোনো বৈধ কাজেও ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকলে তা জায়েজ হবে। বাইরে হারানো কোনো বস্তুর ঘোষণা মসজিদে দেয়া যাবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মানুষকে মসজিদে হারানো বস্তু তালাশ করতে শুনবে সে যেন বলে, আল্লাহ তায়ালা যেন তোমাকে ফেরত না দেয়। কারণ মসজিদগুলো এ জন্য বানানো হয়নি।’ তবে কেউ নামাজ আদায় করতে মসজিদে এসে কোনো বস্তু হারিয়ে গেলে নামাজের আগে বা পরে কর্তৃপক্ষ তা ঘোষণা দিয়ে জানাতে পারে। কোনো বস্তু প্রাপ্তির সংবাদ দেয়ার পর দাবিদার কেউ এলে তাকে সে বস্তু সম্পর্কে একটু যাচাই করে হস্তান্তর করতে হবে। যিনি হারানো বস্তুটি পেয়েছেন এটা তার দায়িত্ব। যাচাই-বাছাই ছাড়া যে কোনো দাবিদারকে দিয়ে দিলে প্রকৃত মালিক হক থেকে বঞ্চিত হবে এবং তা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হারানো বস্তু পেলে

আপলোড টাইম : ০৬:০৮:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: সামাজিক জীবনে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা স্পষ্ট। আমরা প্রায়ই বিভিন্ন বস্তু হারিয়ে থাকি, আবার হারানো বস্তুর সন্ধানও পাই। এসব ক্ষেত্রে কী করতে হবে এর নির্দেশনাও ইসলামে রয়েছে। ফিকাহর কিতাবে বলা হয়েছে, অতি নগণ্য কিছু পেলে স্বাভাবিকভাবেই ভোগ করার অনুমতি আছে। মূল্যবান কিছু যা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা যথাসম্ভব মালিক খুঁজে বের করার চেষ্টা করাই বাঞ্ছনীয়। খুঁজে বের করার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে, যেখানে মানুষের উপস্থিতি আছে এমন লোকসমাগমে গিয়ে প্রাপ্তি সংবাদ প্রচার করা। মালিককে পাওয়া গেলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষ মালিকের হাতে তার সম্পদ হস্তান্তর করতে হবে। অনেক ঘোষণার পরও মালিকের সন্ধান না পেলে সম্ভব হলে মালিকের অপেক্ষায় রেখে দেয়া কিন্তু তা সম্ভব না হলে ভোগ করা এবং মালিকের সাক্ষাৎ মিললে মূল্য পরিশোধ করা। অন্যথায় তার নামে দান করে দেয়া। নিজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী সম্পদটির মূল্য সদকা করে দেয়া উত্তম। তবে কোনো সময় যদি উপযুক্ত মালিক ফিরে আসেন তাকে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে। কখনো এমন কিছু পেলে যা নিজে সামাল দেয়া সম্ভব নয় তখন এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। কোনো প্রাপ্তি সংবাদ মসজিদে ওয়াকফকৃত মাইক দিয়ে ঘোষণা করা যাবে না। তবে মাইকটি ওয়াকফ করার সময় মসজিদের কাজের পাশাপাশি অন্য কোনো বৈধ কাজেও ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকলে তা জায়েজ হবে। বাইরে হারানো কোনো বস্তুর ঘোষণা মসজিদে দেয়া যাবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মানুষকে মসজিদে হারানো বস্তু তালাশ করতে শুনবে সে যেন বলে, আল্লাহ তায়ালা যেন তোমাকে ফেরত না দেয়। কারণ মসজিদগুলো এ জন্য বানানো হয়নি।’ তবে কেউ নামাজ আদায় করতে মসজিদে এসে কোনো বস্তু হারিয়ে গেলে নামাজের আগে বা পরে কর্তৃপক্ষ তা ঘোষণা দিয়ে জানাতে পারে। কোনো বস্তু প্রাপ্তির সংবাদ দেয়ার পর দাবিদার কেউ এলে তাকে সে বস্তু সম্পর্কে একটু যাচাই করে হস্তান্তর করতে হবে। যিনি হারানো বস্তুটি পেয়েছেন এটা তার দায়িত্ব। যাচাই-বাছাই ছাড়া যে কোনো দাবিদারকে দিয়ে দিলে প্রকৃত মালিক হক থেকে বঞ্চিত হবে এবং তা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।