ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হামলা-ভাঙচুরের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৩২৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের হাতে প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার টিটু লাঞ্চিত!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় এলজিইডি’র রাস্তার কাজের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলার প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার ইকবাল মাহমুদ টিটুকে লাঞ্চিত করাসহ মারধর ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার পুরাতন হাসপাতালপাড়ায় ওই ব্যবসায়ীর অফিসে হামলা ও ভাঙ্চুরের ঘটনা ঘটায় একদল দুর্বৃত্ত। এসময় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন ঠিকাদার টিটু। এর কিছুক্ষণ পরে হামলায় আহত হন ঠিকাদারকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় ঠিকাদার টিটু বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আহত ঠিকাদার ইকবাল মাহমুদ টিটু (৫৫) চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতালপাড়ার মৃত শওকত আলীর ছেলে ও চুয়াডাঙ্গার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে শহরজুড়ে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় করা লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিনটি সড়কের কাজের দরপত্র এলজিইডিতে জমা দিয়ে ইকবাল মাহমুদ টিটু পুরাতন হাসপাতালপাড়ায় তাঁর নিজ বাড়ির নিচ তলার মেসার্স মাদানী এন্টারপ্রাইজ অফিসে বসে কাজ শুরু করেন। এসময় মাঝেরপাড়ার বুদোর ছেলে শাহাবুল (৩৩), ওহাব মিস্ত্রি’র ছেলে তারেক (৩২), আবেদ আলী ওরফে চিনে মহুরীর ছেলে ফিরোজ (৩৩), রেলপাড়ার মৃত জাহাবক্সের ছেলে কাবা (৪২), জীবননগর বাসষ্ট্যান্ডপাড়ার মৃত সবদারের ছেলে টুটুল (৪৫), রেলপাড়ার সাম্মু (৩৫), আশিক (২৭), জাহাঙ্গীর (৪৫) ও দামুড়হুদা দশমীপাড়ার হাজীরা মোল্লার ছেলে পল্টুসহ আজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জন বেআইনিভাবে জোরপূর্বক ওই ব্যবসায়ীর অফিসে প্রবেশ করে। এসময় তারা হুমকি-ধামকিসহ এলজিইডিতে জমা দেওয়া সড়কের কাজের দরপত্র তুলে নিতে বলে। ইকবাল মাহমুদ টিটু দরপত্র তুলতে না চাইলে তাকে কিল-ঘুষিসহ চেয়ার তুলে মাথায় আঘাত করা হয়। এছাড়াও অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায় তারা। এসময় পরিবারের সদস্যরা আহত ঠিকাদার টিটুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া অবস্থায় ইকবাল মাহমুদ টিটু জানান, আমি অফিসে বসে অফিসের কাজ করছিলাম। এ সময় কাবার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জন আমার অফিসে প্রবেশ করে ও আমাকে এলজিইডি রাস্তা সংক্রান্ত টেন্ডার জমা না দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। আমি তার প্রতিবাদ করলে, তারা চেয়ার তুলে আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমার অফিস ভাংচুর করে। আমার অফিসের সিসি টিভি ক্যামেরায় এ সকল ঘটনায় রেকর্ড হয়েছে। ইকবাল মাহমুদ টিটুর শারিরিক অবস্থার ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাত লেগেছে। আঘাতের ফলে তার মাথায় জখম হয়েছে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এর কিছুক্ষন পর ঠিকাদার টিটুকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যায় তার পরিবারের লোকজন।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খাঁন জানান- আহত ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ইকবাল মাহমুদ টিটু ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হামলা-ভাঙচুরের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল

আপলোড টাইম : ১০:৩২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের হাতে প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার টিটু লাঞ্চিত!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় এলজিইডি’র রাস্তার কাজের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলার প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার ইকবাল মাহমুদ টিটুকে লাঞ্চিত করাসহ মারধর ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার পুরাতন হাসপাতালপাড়ায় ওই ব্যবসায়ীর অফিসে হামলা ও ভাঙ্চুরের ঘটনা ঘটায় একদল দুর্বৃত্ত। এসময় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন ঠিকাদার টিটু। এর কিছুক্ষণ পরে হামলায় আহত হন ঠিকাদারকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় ঠিকাদার টিটু বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আহত ঠিকাদার ইকবাল মাহমুদ টিটু (৫৫) চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতালপাড়ার মৃত শওকত আলীর ছেলে ও চুয়াডাঙ্গার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে শহরজুড়ে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় করা লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিনটি সড়কের কাজের দরপত্র এলজিইডিতে জমা দিয়ে ইকবাল মাহমুদ টিটু পুরাতন হাসপাতালপাড়ায় তাঁর নিজ বাড়ির নিচ তলার মেসার্স মাদানী এন্টারপ্রাইজ অফিসে বসে কাজ শুরু করেন। এসময় মাঝেরপাড়ার বুদোর ছেলে শাহাবুল (৩৩), ওহাব মিস্ত্রি’র ছেলে তারেক (৩২), আবেদ আলী ওরফে চিনে মহুরীর ছেলে ফিরোজ (৩৩), রেলপাড়ার মৃত জাহাবক্সের ছেলে কাবা (৪২), জীবননগর বাসষ্ট্যান্ডপাড়ার মৃত সবদারের ছেলে টুটুল (৪৫), রেলপাড়ার সাম্মু (৩৫), আশিক (২৭), জাহাঙ্গীর (৪৫) ও দামুড়হুদা দশমীপাড়ার হাজীরা মোল্লার ছেলে পল্টুসহ আজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জন বেআইনিভাবে জোরপূর্বক ওই ব্যবসায়ীর অফিসে প্রবেশ করে। এসময় তারা হুমকি-ধামকিসহ এলজিইডিতে জমা দেওয়া সড়কের কাজের দরপত্র তুলে নিতে বলে। ইকবাল মাহমুদ টিটু দরপত্র তুলতে না চাইলে তাকে কিল-ঘুষিসহ চেয়ার তুলে মাথায় আঘাত করা হয়। এছাড়াও অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায় তারা। এসময় পরিবারের সদস্যরা আহত ঠিকাদার টিটুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া অবস্থায় ইকবাল মাহমুদ টিটু জানান, আমি অফিসে বসে অফিসের কাজ করছিলাম। এ সময় কাবার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জন আমার অফিসে প্রবেশ করে ও আমাকে এলজিইডি রাস্তা সংক্রান্ত টেন্ডার জমা না দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। আমি তার প্রতিবাদ করলে, তারা চেয়ার তুলে আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমার অফিস ভাংচুর করে। আমার অফিসের সিসি টিভি ক্যামেরায় এ সকল ঘটনায় রেকর্ড হয়েছে। ইকবাল মাহমুদ টিটুর শারিরিক অবস্থার ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাত লেগেছে। আঘাতের ফলে তার মাথায় জখম হয়েছে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এর কিছুক্ষন পর ঠিকাদার টিটুকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যায় তার পরিবারের লোকজন।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খাঁন জানান- আহত ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ইকবাল মাহমুদ টিটু ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।