ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হামলাকারী শরিফুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ : দ্রুত বিচার আইনে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:১৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

চলন্ত বাসে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের নারী কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলন্ত বাসে এক নারী কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করেছে এক যুবক। রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত কনস্টেবল ঐশি আক্তারকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারী শরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। সে রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকার কুরবান আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে শরিফুলের ইসলামের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যশোর থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে নিজ কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ফিরছিলেন পুলিশ সদস্য ঐশী। পথিমধ্যে বাসটি চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কে চলন্ত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে শরিফুল। এতে তার মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হলে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় বাসের অন্যান্য যাত্রীরা হামলাকারী শরিফুলকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) চম্পা খাতুন জানান, ঐশি ঈদের ছুটি কাটিয়ে রোববার বিকালে যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গার বাসে ওঠেন। বাসটি দর্শনা অতিক্রম করে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসার সময় বাসের যাত্রী শরিফুল কনস্টেবল ঐশির মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। বাসের অন্য যাত্রীরা ঐশিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং হামলাকারী শরিফুলকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে বলে জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক বলেন, ওই যুবক ঐশির কাছে থাকা ব্যাগ ধরে টানাটানি করে ব্যাগ নিতে না পেরে ছুরিকাঘাত করে। ওই যুবক ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে ঐশিকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হামলাকারী শরিফুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ : দ্রুত বিচার আইনে মামলা

আপলোড টাইম : ০৭:১৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চলন্ত বাসে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের নারী কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলন্ত বাসে এক নারী কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করেছে এক যুবক। রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত কনস্টেবল ঐশি আক্তারকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারী শরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। সে রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকার কুরবান আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে শরিফুলের ইসলামের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যশোর থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে নিজ কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ফিরছিলেন পুলিশ সদস্য ঐশী। পথিমধ্যে বাসটি চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কে চলন্ত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে শরিফুল। এতে তার মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হলে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় বাসের অন্যান্য যাত্রীরা হামলাকারী শরিফুলকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) চম্পা খাতুন জানান, ঐশি ঈদের ছুটি কাটিয়ে রোববার বিকালে যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গার বাসে ওঠেন। বাসটি দর্শনা অতিক্রম করে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসার সময় বাসের যাত্রী শরিফুল কনস্টেবল ঐশির মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। বাসের অন্য যাত্রীরা ঐশিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং হামলাকারী শরিফুলকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে বলে জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক বলেন, ওই যুবক ঐশির কাছে থাকা ব্যাগ ধরে টানাটানি করে ব্যাগ নিতে না পেরে ছুরিকাঘাত করে। ওই যুবক ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে ঐশিকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।