ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুর ভবানীপুর পানেরহাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় নেই!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৬১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর উপজেলার ভবানীপুর পানের হাটে মানুষের ঢল নামছে। সেখানে কোনো রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না। ফলে কোনো রোগীর মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র মতে, প্রতিদিন সকাল থেকে উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভবানীপুরে এই পান হাট বসে। হাজারো মানুষের সমাগম হয়ে থাকে এই হাটে। ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে বসা এই পানহাটে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা পান কিনে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় প্রেরণ করেন। কিন্তু পান ক্রেতা ও বিক্রেতারা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। সামাজিক ও ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি উপেক্ষা করে তাঁরা হাটের মধ্যে জটলা তৈরি করে চলেছে। এতে করোনাভাইরাস ও সংক্রমণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, হরিণাকুণ্ডু প্রশাসনের অবহেলার কারণে এভাবে পান হাট বসছে। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, ‘আমরা তো চেষ্টা করছি, কিন্তু মানুষকে তো সচেতন হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, পানহাটে বরফ ও পানি লাগার কারণে জটজলদি হাটটি উন্মুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করা সম্ভবও হচ্ছে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হরিণাকুণ্ডুর ভবানীপুর পানেরহাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় নেই!

আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহ অফিস:
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর উপজেলার ভবানীপুর পানের হাটে মানুষের ঢল নামছে। সেখানে কোনো রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না। ফলে কোনো রোগীর মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র মতে, প্রতিদিন সকাল থেকে উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভবানীপুরে এই পান হাট বসে। হাজারো মানুষের সমাগম হয়ে থাকে এই হাটে। ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে বসা এই পানহাটে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা পান কিনে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় প্রেরণ করেন। কিন্তু পান ক্রেতা ও বিক্রেতারা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। সামাজিক ও ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি উপেক্ষা করে তাঁরা হাটের মধ্যে জটলা তৈরি করে চলেছে। এতে করোনাভাইরাস ও সংক্রমণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, হরিণাকুণ্ডু প্রশাসনের অবহেলার কারণে এভাবে পান হাট বসছে। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, ‘আমরা তো চেষ্টা করছি, কিন্তু মানুষকে তো সচেতন হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, পানহাটে বরফ ও পানি লাগার কারণে জটজলদি হাটটি উন্মুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করা সম্ভবও হচ্ছে না।