ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কেনাকাটায় বাড়বে আক্রান্ত!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০
  • / ২০৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় চতুর্থ দিনেও মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

কঠোর প্রশাসন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সীমিত আকারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শপিংমলগুলো গত রোববার ১০ মে থেকে খোলা হয়েছে। মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে শহরে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কেনাকাটা করছেন লোকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার পর মার্কেট এমনকি অলিগলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এত মানুষের ভিড়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে সচেতন মহল। তাঁদের দাবি, এভাবে ঘর থেকে মানুষ বের হয়ে সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি পরিপন্থীভাবে চললে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তের পাল্লাও ভারি হবে। জায়গায় জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে পুলিশ, সেনাবাহিনী টহল থাকলেও সাধারণ মানুষ তা মানছেন না।
এদিকে, প্রতিদিনের মতই গতকালও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৫ জনের কাছ থেকে ১৭ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী ৫টি মোবাইল কোর্টে ২৫ জনের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬ জনকে ১২ হাজার ৬ শ টাকা ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৯ জনকে ৪ হাজার ৪ শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শহরের বাজার পাড়ার বাসিন্দা সোহানুর রহমান বলেন, ‘লকডাউন শিথিল করার মানে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে ডেকে নিয়ে আসা। কারণ এমনিতেই সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না। দোকান, আর শপিংমলে মানুষ গা ঘেঁষে চলাচল করছে। তাতে করোনা মহামারির আকার ধারণ করবে। প্রশাসন যদি এই মুহূর্তে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমাদের দেশ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হবে।’
মার্কেট এলাকায় বসবাসকারী স্বাধীন সাহা বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণ সেভাবে এখনও সচেতন নয়। আর প্রশাসনের তো কিছু করার নাই। কারণ জনগণ বুঝতেও চায় না। এখন আমাদের সচেতন থাকতে হবে। মার্কেট সীমিত পরিসরে খোলায় আমাদের কিছু লাভ আছে। তবে সর্বোপরি আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটের সভাপতি মিজাইল জোয়ার্দ্দার জানান, ‘প্রশাসন যে নিদের্শনা দিয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন করেই শপিংমল ও দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। আর তা ছাড়া আগামী শুক্রবার আমরা জীবাণুনাশক টানেল গেট বসাচ্ছি। তবে প্রথম দুই দিন ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও এখন আগের মতো আর ভিড় নেই। আস্তে আস্তে চাপ কমছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধির সব নিয়ম মেনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু রেখেছি। ক্রেতাদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন করছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কেনাকাটায় বাড়বে আক্রান্ত!

আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় চতুর্থ দিনেও মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

কঠোর প্রশাসন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সীমিত আকারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শপিংমলগুলো গত রোববার ১০ মে থেকে খোলা হয়েছে। মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে শহরে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কেনাকাটা করছেন লোকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার পর মার্কেট এমনকি অলিগলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এত মানুষের ভিড়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে সচেতন মহল। তাঁদের দাবি, এভাবে ঘর থেকে মানুষ বের হয়ে সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি পরিপন্থীভাবে চললে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তের পাল্লাও ভারি হবে। জায়গায় জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে পুলিশ, সেনাবাহিনী টহল থাকলেও সাধারণ মানুষ তা মানছেন না।
এদিকে, প্রতিদিনের মতই গতকালও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৫ জনের কাছ থেকে ১৭ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী ৫টি মোবাইল কোর্টে ২৫ জনের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬ জনকে ১২ হাজার ৬ শ টাকা ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৯ জনকে ৪ হাজার ৪ শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শহরের বাজার পাড়ার বাসিন্দা সোহানুর রহমান বলেন, ‘লকডাউন শিথিল করার মানে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে ডেকে নিয়ে আসা। কারণ এমনিতেই সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না। দোকান, আর শপিংমলে মানুষ গা ঘেঁষে চলাচল করছে। তাতে করোনা মহামারির আকার ধারণ করবে। প্রশাসন যদি এই মুহূর্তে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমাদের দেশ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হবে।’
মার্কেট এলাকায় বসবাসকারী স্বাধীন সাহা বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণ সেভাবে এখনও সচেতন নয়। আর প্রশাসনের তো কিছু করার নাই। কারণ জনগণ বুঝতেও চায় না। এখন আমাদের সচেতন থাকতে হবে। মার্কেট সীমিত পরিসরে খোলায় আমাদের কিছু লাভ আছে। তবে সর্বোপরি আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটের সভাপতি মিজাইল জোয়ার্দ্দার জানান, ‘প্রশাসন যে নিদের্শনা দিয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন করেই শপিংমল ও দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। আর তা ছাড়া আগামী শুক্রবার আমরা জীবাণুনাশক টানেল গেট বসাচ্ছি। তবে প্রথম দুই দিন ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও এখন আগের মতো আর ভিড় নেই। আস্তে আস্তে চাপ কমছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধির সব নিয়ম মেনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু রেখেছি। ক্রেতাদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন করছি।’