ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বামী ফোন রিসিভ না করায় অভিমানে আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিবেদক

স্বামী ফোন রিসিভ না করায় নীলফামারীর ডোমার পৌর এলাকার আলিফা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব চিকনমাটি পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড জোড়পাখুড়ী কমিশনার পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আলিফা বেগম চিকনমাটি জোড়পাখুড়ী পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের মাহাতাব হোসেনের মেয়ে এবং নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ এলাকার জনি ইসলামের স্ত্রী। তাদের কোলজুড়ে তিন বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

এ বিষয়ে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম আত্নহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আলিফা বেগম আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন এবং তার ভাই আব্দুস সালাম তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকা থেকে ডোমারে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসেন। আলিফা বেগম সকাল থেকে বেশ কয়েকবার তার স্বামী জনি ইসলামের মোবাইল ফোনে ফোন দেয় স্বামী জনি স্ত্রীর দেওয়া ফোন রিসিভ না করায় স্বামীর উপর প্রচন্ডভাবে মন খারাপ করেন আলিফা বেগম।

এরই এক পর্যায়ে সবার অজান্তে অগোচরে সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আলিফা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা হচ্ছে,স্বামীর ওপর অভিমান করেই আলিফা বেগম এই আত্মহত্যা করেছেন’ জানান  কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং মেয়ের পরিবার থেকে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জেলা মর্গে পাঠানো হবে এবং ময়নাতদন্ত শেষে আলিফার লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্বামী ফোন রিসিভ না করায় অভিমানে আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৬:০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
বিশেষ প্রতিবেদক

স্বামী ফোন রিসিভ না করায় নীলফামারীর ডোমার পৌর এলাকার আলিফা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব চিকনমাটি পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড জোড়পাখুড়ী কমিশনার পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আলিফা বেগম চিকনমাটি জোড়পাখুড়ী পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের মাহাতাব হোসেনের মেয়ে এবং নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ এলাকার জনি ইসলামের স্ত্রী। তাদের কোলজুড়ে তিন বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

এ বিষয়ে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম আত্নহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আলিফা বেগম আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন এবং তার ভাই আব্দুস সালাম তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকা থেকে ডোমারে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসেন। আলিফা বেগম সকাল থেকে বেশ কয়েকবার তার স্বামী জনি ইসলামের মোবাইল ফোনে ফোন দেয় স্বামী জনি স্ত্রীর দেওয়া ফোন রিসিভ না করায় স্বামীর উপর প্রচন্ডভাবে মন খারাপ করেন আলিফা বেগম।

এরই এক পর্যায়ে সবার অজান্তে অগোচরে সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আলিফা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা হচ্ছে,স্বামীর ওপর অভিমান করেই আলিফা বেগম এই আত্মহত্যা করেছেন’ জানান  কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং মেয়ের পরিবার থেকে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জেলা মর্গে পাঠানো হবে এবং ময়নাতদন্ত শেষে আলিফার লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’