ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বামীকে পিঠে নিয়ে স্ত্রীর দৌড়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১
  • / ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বিস্ময় প্রতিবেদন:
বলিউডের ‘দম লাগাকে হ্যায়শা’ সিনেমা যারা দেখেছেন, শিরোনামের সঙ্গে কোথাও একটা মিল এতক্ষণে তারা পেয়ে গেছেন। পর্দায় ভূমি পেডনেকরকে পিঠে নিয়ে দৌড়েছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা। তবে এবার ঘটনা একটু ভিন্ন। স্বামীদের পিঠে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন স্ত্রীরা। নারী দিবস উপলক্ষে এমনই ব্যতিক্রমধর্মী একটি দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় নেপালের দেবঘাত নামের একটি গ্রামে। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ১০০ মিটার এই দৌড় প্রতিযোগতিায় অংশ নেন ১৬ জন দম্পতি। জয় পরাজয় এখানে মুখ্য কোনো বিষয় ছিল না। নির্দিষ্ট দূরত্ব যারা অতিক্রম করেছেন তাদের সবাইকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক প্রতিযোগীদের একটি সনদও প্রদান করে আয়োজকরা। আয়োজক ও গ্রামের প্রধান দুর্গা থাপা বলেন, ‘আগে মনে করা হতো নারীরা স্বামীর ঘরে যাবে শুধু কাজ করতে, তাদের পড়ালেখার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছি যে— শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিচারে নারীরা কোনো অংশেই পুরুষের তুলনায় কম নয়।’ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন পুষ্পপতি শ্রেষ্ঠা। প্রথম না হতে পারলেও তিনি বেশ খুশি। এই প্রতিযোগী বলেন, ‘পিঠে স্বামীকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। অনেক সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে আমাকে এখানে আসতে হয়েছে। নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এতেই আমি খুশি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্বামীকে পিঠে নিয়ে স্ত্রীর দৌড়

আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১

বিস্ময় প্রতিবেদন:
বলিউডের ‘দম লাগাকে হ্যায়শা’ সিনেমা যারা দেখেছেন, শিরোনামের সঙ্গে কোথাও একটা মিল এতক্ষণে তারা পেয়ে গেছেন। পর্দায় ভূমি পেডনেকরকে পিঠে নিয়ে দৌড়েছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা। তবে এবার ঘটনা একটু ভিন্ন। স্বামীদের পিঠে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন স্ত্রীরা। নারী দিবস উপলক্ষে এমনই ব্যতিক্রমধর্মী একটি দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় নেপালের দেবঘাত নামের একটি গ্রামে। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ১০০ মিটার এই দৌড় প্রতিযোগতিায় অংশ নেন ১৬ জন দম্পতি। জয় পরাজয় এখানে মুখ্য কোনো বিষয় ছিল না। নির্দিষ্ট দূরত্ব যারা অতিক্রম করেছেন তাদের সবাইকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক প্রতিযোগীদের একটি সনদও প্রদান করে আয়োজকরা। আয়োজক ও গ্রামের প্রধান দুর্গা থাপা বলেন, ‘আগে মনে করা হতো নারীরা স্বামীর ঘরে যাবে শুধু কাজ করতে, তাদের পড়ালেখার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছি যে— শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিচারে নারীরা কোনো অংশেই পুরুষের তুলনায় কম নয়।’ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন পুষ্পপতি শ্রেষ্ঠা। প্রথম না হতে পারলেও তিনি বেশ খুশি। এই প্রতিযোগী বলেন, ‘পিঠে স্বামীকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। অনেক সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে আমাকে এখানে আসতে হয়েছে। নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এতেই আমি খুশি।’