ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্পট কার্পাসডাঙ্গা : পানিবন্দি জীবন তাদের!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

এম এ মামুন:
যুগ যুগ ধরে কাপার্সডাঙ্গার মুচিগর্তপাড়া এলাকার মানুষ আমরা পানির সাথে বসবাস করছি। সড়কে পানি জমে থাকায় চলাচলের সময় পানিতে পড়ে আমাদের নানা বিড়ম্বনাসহ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয়। আমরা অবহেলিত মহল্লাবাসী বছরের প্রায় ৮ থেকে ৯ মাসই পানিবন্দি জীবনযাবন করতে করতে আমরা এখন অতিষ্ঠ। আমরা এলাকাবাসী আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়কের জলাবদ্ধতা এখন আমাদের কাছে এক প্রকার বিষফোঁড়ার মত। আমরা সমস্যার কথা একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে জানালেও এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের পানি অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে সমস্যাটি জিইয়ে রেখেছেনে। আমরা মহল্লাবাসী সড়কের জলাবদ্ধতা ও পানিবন্দি জীবন থেকে মুক্তি চায়। গতকাল বুধবার বিকেলে কার্পাসডাঙ্গা মুজিবনগর সড়কের হালচিত্র দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর ক্যামেরা বন্দি করার সময় সড়কের পাশের একটি ফার্মেসীতে বসা ষাটোর্ধ্ব হাজী ডা. আবুল কাশেমসহ ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে উল্লেখিত সমস্যার কথা তুলে ধরেন। দাবী করেন দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় তাদের সমস্যার কথাগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলের কাছে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে আবেদন করেও যখন আমাদের কথা কেউ রাখেনি তখন পানি অপসারণের ব্যবস্থা না হওয়ায় এখন এই সমস্যার সমাধান আল্লাহর উপরই ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ চাই তো পানি সমস্যার সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার বাজারপাড়ার কাস্টম মোড় থেকে মুচিগর্তপাড়ার মাত্র কোয়াটার কিলোমিটার পাকা সড়কের পাশে পয়নিস্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় বৃষ্টির সময় মহল্লার পানি নিস্কাশন হয় না। ফলে কোয়াটার কিলোমিটার পাকা সড়ক বছরের প্রায় ৮-৯ মাস ধরে পানিতে ডুবে থাকে। এসময় নিত্যদিনের কাজকর্মে যেতে হাটু সমান পচা পানি মাড়িয়ে মহল্লাবাসীকে চলাচল করতে হয়। চলাচলের সময় সমস্যায় পড়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, হাসপাতালগামী রোগী এবং বয়বৃদ্ধরা। যেমন পানিতে পড়ে বিড়ম্বনার শিকারসহ সাথে থাকা খাদ্যসামগ্রী বাজার বা মূল্যবান জিনিস নিয়ে বাড়ি যাবার সময় পানিতে পড়ে তার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া উল্লেখিত সড়কটিতে পানি জমে থাকায় বাজারপাড়া, মিশনপাড়া, মাঝপাড়া, খাবলিপাড়া, দুধগুলাপাড়াসহ এলাকার মানুষরা যাতায়াতে চরম সমস্যায় রয়েছে। এসব মহল্লার মানুষকে জরুরি প্রয়োজনে অনেক রাস্তা ঘুরে বাজারে আসতে হয়।
এ বিষয় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টু এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, ‘পাকা সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন করার জায়গা না থাকায় ড্রেন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, এলাকাবাসী জমির ব্যবস্থা করলে, পানি অপসারণের জন্য সমস্যাস্থল মুচিগর্ত ও বাজারপাড়া থেকে ভৈরব নদি পর্যন্ত আধা কিলোমিটার পাকা ড্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।’
এবিষয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদককে জানান, ‘ইউনিয়ন পরিষদ বা স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনেক বরাদ্দ আছে, সেখান থেকে প্রকল্প দিলে বরাদ্দ অনুযায়ী এলাকার দীর্ঘদিনের পয়নিস্কাশনের সস্যার সমাধান হবে। এলাকাবাসী পানিবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্পট কার্পাসডাঙ্গা : পানিবন্দি জীবন তাদের!

আপলোড টাইম : ০৮:৩৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

এম এ মামুন:
যুগ যুগ ধরে কাপার্সডাঙ্গার মুচিগর্তপাড়া এলাকার মানুষ আমরা পানির সাথে বসবাস করছি। সড়কে পানি জমে থাকায় চলাচলের সময় পানিতে পড়ে আমাদের নানা বিড়ম্বনাসহ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয়। আমরা অবহেলিত মহল্লাবাসী বছরের প্রায় ৮ থেকে ৯ মাসই পানিবন্দি জীবনযাবন করতে করতে আমরা এখন অতিষ্ঠ। আমরা এলাকাবাসী আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়কের জলাবদ্ধতা এখন আমাদের কাছে এক প্রকার বিষফোঁড়ার মত। আমরা সমস্যার কথা একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে জানালেও এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের পানি অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে সমস্যাটি জিইয়ে রেখেছেনে। আমরা মহল্লাবাসী সড়কের জলাবদ্ধতা ও পানিবন্দি জীবন থেকে মুক্তি চায়। গতকাল বুধবার বিকেলে কার্পাসডাঙ্গা মুজিবনগর সড়কের হালচিত্র দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর ক্যামেরা বন্দি করার সময় সড়কের পাশের একটি ফার্মেসীতে বসা ষাটোর্ধ্ব হাজী ডা. আবুল কাশেমসহ ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে উল্লেখিত সমস্যার কথা তুলে ধরেন। দাবী করেন দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় তাদের সমস্যার কথাগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলের কাছে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে আবেদন করেও যখন আমাদের কথা কেউ রাখেনি তখন পানি অপসারণের ব্যবস্থা না হওয়ায় এখন এই সমস্যার সমাধান আল্লাহর উপরই ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ চাই তো পানি সমস্যার সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার বাজারপাড়ার কাস্টম মোড় থেকে মুচিগর্তপাড়ার মাত্র কোয়াটার কিলোমিটার পাকা সড়কের পাশে পয়নিস্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় বৃষ্টির সময় মহল্লার পানি নিস্কাশন হয় না। ফলে কোয়াটার কিলোমিটার পাকা সড়ক বছরের প্রায় ৮-৯ মাস ধরে পানিতে ডুবে থাকে। এসময় নিত্যদিনের কাজকর্মে যেতে হাটু সমান পচা পানি মাড়িয়ে মহল্লাবাসীকে চলাচল করতে হয়। চলাচলের সময় সমস্যায় পড়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, হাসপাতালগামী রোগী এবং বয়বৃদ্ধরা। যেমন পানিতে পড়ে বিড়ম্বনার শিকারসহ সাথে থাকা খাদ্যসামগ্রী বাজার বা মূল্যবান জিনিস নিয়ে বাড়ি যাবার সময় পানিতে পড়ে তার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া উল্লেখিত সড়কটিতে পানি জমে থাকায় বাজারপাড়া, মিশনপাড়া, মাঝপাড়া, খাবলিপাড়া, দুধগুলাপাড়াসহ এলাকার মানুষরা যাতায়াতে চরম সমস্যায় রয়েছে। এসব মহল্লার মানুষকে জরুরি প্রয়োজনে অনেক রাস্তা ঘুরে বাজারে আসতে হয়।
এ বিষয় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টু এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, ‘পাকা সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন করার জায়গা না থাকায় ড্রেন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, এলাকাবাসী জমির ব্যবস্থা করলে, পানি অপসারণের জন্য সমস্যাস্থল মুচিগর্ত ও বাজারপাড়া থেকে ভৈরব নদি পর্যন্ত আধা কিলোমিটার পাকা ড্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।’
এবিষয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদককে জানান, ‘ইউনিয়ন পরিষদ বা স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনেক বরাদ্দ আছে, সেখান থেকে প্রকল্প দিলে বরাদ্দ অনুযায়ী এলাকার দীর্ঘদিনের পয়নিস্কাশনের সস্যার সমাধান হবে। এলাকাবাসী পানিবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পাবে।