ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সোনালী আঁশে কৃষকের হাসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

হেলাল উদ্দীন, জয়রামপুর:
বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলের মধ্যে সোনালী আঁশ তথা পাট অন্যতম একটি ফসল। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ব্যাপকহারে সোনালী আঁশ তথা পাটের ভালো ফলন হয়েছে। তাই কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। সেই হাসি নিয়ে পাট পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটে নিড়ানি দেওয়া, সার ছিটানোসহ নানা কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আমতলা মাঠের পাট চাষি মো. জসিম উদ্দীনকে পাট চাষ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে। তিনি জানান, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি এবছরও পাটে ভালো দাম পাবো।
দামুড়হুদার বাস্তপুর গ্রামের চাষি শমসের আলী জানান, পাট বীজ কোম্পানী এবং উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী ৫বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাট গাছের চেহারাও ভালো আছে এবং পোকামুক্ত রয়েছে। গাছও বাড়ছে ভালো। ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। কিন্তু বিভিন্ন পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কায় আছি।
মদনা গ্রামের রেজাউল হক জানান, বিঘা দুয়েক জমিতে পাট চাষ করেছি। অন্যবার বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় পাট পঁচাতে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু এবছর বৃষ্টি ভালোই হয়েছে। যে কারণে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তা কম এবং দাম ভালো পাবো বলে আশা করছি।
দামুড়হুদা উপজেলার কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান জানান, এ বছর উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ৬ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে এ বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন প্রান্তিক চাষিরা। পরিবেশবান্ধব পাটের মোড়কসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার বেড়ে যাওয়া ও বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় পাট চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছরও পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, দামুড়হুদা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকের মধ্যে পাট বীজ বিতরণ করাসহ পাট উৎপাদনের নানা প্রশিক্ষণ আমরা দিয়েছি। আশা করি কৃষক তাদের উৎপাদিত স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সোনালী আঁশে কৃষকের হাসি

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

হেলাল উদ্দীন, জয়রামপুর:
বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলের মধ্যে সোনালী আঁশ তথা পাট অন্যতম একটি ফসল। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ব্যাপকহারে সোনালী আঁশ তথা পাটের ভালো ফলন হয়েছে। তাই কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। সেই হাসি নিয়ে পাট পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটে নিড়ানি দেওয়া, সার ছিটানোসহ নানা কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আমতলা মাঠের পাট চাষি মো. জসিম উদ্দীনকে পাট চাষ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে। তিনি জানান, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি এবছরও পাটে ভালো দাম পাবো।
দামুড়হুদার বাস্তপুর গ্রামের চাষি শমসের আলী জানান, পাট বীজ কোম্পানী এবং উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী ৫বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাট গাছের চেহারাও ভালো আছে এবং পোকামুক্ত রয়েছে। গাছও বাড়ছে ভালো। ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। কিন্তু বিভিন্ন পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কায় আছি।
মদনা গ্রামের রেজাউল হক জানান, বিঘা দুয়েক জমিতে পাট চাষ করেছি। অন্যবার বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় পাট পঁচাতে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু এবছর বৃষ্টি ভালোই হয়েছে। যে কারণে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তা কম এবং দাম ভালো পাবো বলে আশা করছি।
দামুড়হুদা উপজেলার কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান জানান, এ বছর উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ৬ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে এ বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন প্রান্তিক চাষিরা। পরিবেশবান্ধব পাটের মোড়কসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার বেড়ে যাওয়া ও বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় পাট চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছরও পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, দামুড়হুদা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকের মধ্যে পাট বীজ বিতরণ করাসহ পাট উৎপাদনের নানা প্রশিক্ষণ আমরা দিয়েছি। আশা করি কৃষক তাদের উৎপাদিত স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।