ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সূর্যকে ছুঁতে পার্কারের যাত্রা শুরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: সূর্যের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছাতে পার্কার সোলার প্রোব নামের একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ক্যাপ ক্যানভেরাল স্পেস সেন্টার থেকে সূর্যকে ছুঁতে এ যাত্রা শুরু করে পার্কার। স্থানীয় সময় ৩টা ৩১ মিনিটে ‘ডেলটা আইভি হেভি’ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয় পার্কারের। নাসা নিশ্চিত করেছে যে, সফলভাবে রকেটটি উৎক্ষেপণ হয়েছে। আর রকেট থেকেও প্রোব ভালোভাবেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কীভাবে কাজ করবে প্রোব? দ্রুত গতিসম্পন্ন মনুষ্য তৈরি স্যাটেলাইট হচ্ছে পার্কার সোলার প্রোব। সূর্যের আচরণ বুঝতে দীর্ঘদিনের রহস্য উন্মোচন করবে এই স্যাটেলাইট। সূর্যের চারদিকে উজ্জ্বল আভাযুক্ত যে এলাকা, যেটি করোনা নামে পরিচিত, সরাসরি সেখানে গিয়ে ঢুকবে এই স্যাটেলাইট। তারপর সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে বোঝার চেষ্টা করবে এই নক্ষত্রের আচরণ। ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে প্রোবের। নাসা সূত্রে জানা যায়, সাত বছরে সূর্যের চারদিকে ২৪ বার প্রদক্ষিণ করবে এই স্যাটেলাইট। ৬০ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে। এই প্রকল্পের অন্যতম বিজ্ঞানী ড. নিকি ফক্স বলেন, আমি বুঝতে পারছি ৬০ লাখ কিলোমিটার দূরত্বকে কখনই নিকট দূরত্ব বলে মনে হবে না। যদি ধরে নেয়া হয় ভূপৃষ্ঠ এবং সূর্যের দূরত্ব এক মিটার, তাহলে প্রোব সূর্য থেকে মাত্র ৪ সেন্টিমিটার দূরে থাকবে। ড ফক্স বলছেন, এত দ্রুতগতির কোনো কিছু আগে তৈরি হয়নি। সূর্যের চারদিকে এটি প্রতি ঘণ্টায় ৬ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার গতিতে ঘুরবে। অর্থাৎ, এই গতিতে নিউইয়র্ক থেকে টোকিও যেতে এক মিনিটেরও কম সময় লাগবে। কেন এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ? সূর্য তার বৈদ্যুতিক বিভিন্ন কণা এবং চৌম্বক শক্তি দিয়ে পৃথিবীকে সবসময় প্রভাবিত করে রাখে। এই সোলার উইন্ড বা সূর্য থেকে নিঃসরিত বাতাসের প্রভাবে উত্তর মেরুর আকাশে তৈরি হয় অদ্ভুত রংচঙে আলোর খেলা। কিন্তু সূর্যের কিছু প্রবাহ পৃথিবীর চৌম্বক শক্তির ভারসাম্য বিঘ্নিত করে ফেলতে পারে। এতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে। কক্ষচ্যুত হতে পারে মহাকাশে স্যাটেলাইটগুলো। এমনকি বৈদ্যুতিক গ্রিড বিকল হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা সেই সব বিপদ আগে থেকে বোঝার চেষ্টা করছেন। আর আগাম তথ্য দিয়ে এ কাজে সাহায্য করবে পার্কার। খবর: বিবিসি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সূর্যকে ছুঁতে পার্কারের যাত্রা শুরু

আপলোড টাইম : ০৮:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: সূর্যের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছাতে পার্কার সোলার প্রোব নামের একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ক্যাপ ক্যানভেরাল স্পেস সেন্টার থেকে সূর্যকে ছুঁতে এ যাত্রা শুরু করে পার্কার। স্থানীয় সময় ৩টা ৩১ মিনিটে ‘ডেলটা আইভি হেভি’ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয় পার্কারের। নাসা নিশ্চিত করেছে যে, সফলভাবে রকেটটি উৎক্ষেপণ হয়েছে। আর রকেট থেকেও প্রোব ভালোভাবেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কীভাবে কাজ করবে প্রোব? দ্রুত গতিসম্পন্ন মনুষ্য তৈরি স্যাটেলাইট হচ্ছে পার্কার সোলার প্রোব। সূর্যের আচরণ বুঝতে দীর্ঘদিনের রহস্য উন্মোচন করবে এই স্যাটেলাইট। সূর্যের চারদিকে উজ্জ্বল আভাযুক্ত যে এলাকা, যেটি করোনা নামে পরিচিত, সরাসরি সেখানে গিয়ে ঢুকবে এই স্যাটেলাইট। তারপর সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে বোঝার চেষ্টা করবে এই নক্ষত্রের আচরণ। ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে প্রোবের। নাসা সূত্রে জানা যায়, সাত বছরে সূর্যের চারদিকে ২৪ বার প্রদক্ষিণ করবে এই স্যাটেলাইট। ৬০ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে। এই প্রকল্পের অন্যতম বিজ্ঞানী ড. নিকি ফক্স বলেন, আমি বুঝতে পারছি ৬০ লাখ কিলোমিটার দূরত্বকে কখনই নিকট দূরত্ব বলে মনে হবে না। যদি ধরে নেয়া হয় ভূপৃষ্ঠ এবং সূর্যের দূরত্ব এক মিটার, তাহলে প্রোব সূর্য থেকে মাত্র ৪ সেন্টিমিটার দূরে থাকবে। ড ফক্স বলছেন, এত দ্রুতগতির কোনো কিছু আগে তৈরি হয়নি। সূর্যের চারদিকে এটি প্রতি ঘণ্টায় ৬ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার গতিতে ঘুরবে। অর্থাৎ, এই গতিতে নিউইয়র্ক থেকে টোকিও যেতে এক মিনিটেরও কম সময় লাগবে। কেন এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ? সূর্য তার বৈদ্যুতিক বিভিন্ন কণা এবং চৌম্বক শক্তি দিয়ে পৃথিবীকে সবসময় প্রভাবিত করে রাখে। এই সোলার উইন্ড বা সূর্য থেকে নিঃসরিত বাতাসের প্রভাবে উত্তর মেরুর আকাশে তৈরি হয় অদ্ভুত রংচঙে আলোর খেলা। কিন্তু সূর্যের কিছু প্রবাহ পৃথিবীর চৌম্বক শক্তির ভারসাম্য বিঘ্নিত করে ফেলতে পারে। এতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে। কক্ষচ্যুত হতে পারে মহাকাশে স্যাটেলাইটগুলো। এমনকি বৈদ্যুতিক গ্রিড বিকল হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা সেই সব বিপদ আগে থেকে বোঝার চেষ্টা করছেন। আর আগাম তথ্য দিয়ে এ কাজে সাহায্য করবে পার্কার। খবর: বিবিসি