ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সুইপার পদে চাকরির জন্য ইঞ্জিনিয়ার-এমবিএ ডিগ্রিধারীদের লড়াই!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৩৯২ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক: ঝাড়ুদার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন উচ্চ ডিগ্রিধারীরা। রীতিমত লড়াই চলছে মাস্টার্স অব টেকনোলজি, ব্যাচেলর অব টেকনোলজি, এমবিএ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং গ্র্যাজুয়েটধারীদের মধ্যে। গল্প নয়, সত্যি। এমন ঘটনাই ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়– রাজ্যে। তামিলনাড়–তে বিধানসভার ১০ জন ঝাড়ুদার ও ৪ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর পদ খালি রয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই খালি পদে কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে বলে কর্তৃপক্ষ। প্রার্থীদের যোগ্যতা শুধু সুস্থতা। ১৮ বছর উত্তীর্ণ হওয়া সুস্থ ভারতীয় নাগরিকরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্যটির এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৪টি পদের জন্য মোট ৪ হাজার ৬০৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুর” করে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রিধারীরা। এদের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ৬৭৭ আবেদনপত্র। ভারতের মত জনবহুল দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ব্যয়বহুল পড়াশুনা শেষ করার পরে অনেকেই পছন্দ অনুযায়ী কাজ পাচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে ঝাড়ুদার, সুইপার, ক্লিনারসহ বিভিন্ন নিম্ন শ্রেণির চাকরির জন্য আবেদন করছেন উচ্চশিক্ষিতরা। এটি দেশটির জন্য অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও ভারতে নিম্নশ্রেণির এসব সরকারি চাকরিতে ডক্টরেট ডিগ্রীধারীসহ অনেক উচ্চ শিক্ষিতদের আবেদন করতে দেখা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সুইপার পদে চাকরির জন্য ইঞ্জিনিয়ার-এমবিএ ডিগ্রিধারীদের লড়াই!

আপলোড টাইম : ১০:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বিশ্ব ডেস্ক: ঝাড়ুদার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন উচ্চ ডিগ্রিধারীরা। রীতিমত লড়াই চলছে মাস্টার্স অব টেকনোলজি, ব্যাচেলর অব টেকনোলজি, এমবিএ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং গ্র্যাজুয়েটধারীদের মধ্যে। গল্প নয়, সত্যি। এমন ঘটনাই ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়– রাজ্যে। তামিলনাড়–তে বিধানসভার ১০ জন ঝাড়ুদার ও ৪ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর পদ খালি রয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই খালি পদে কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে বলে কর্তৃপক্ষ। প্রার্থীদের যোগ্যতা শুধু সুস্থতা। ১৮ বছর উত্তীর্ণ হওয়া সুস্থ ভারতীয় নাগরিকরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্যটির এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৪টি পদের জন্য মোট ৪ হাজার ৬০৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুর” করে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রিধারীরা। এদের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ৬৭৭ আবেদনপত্র। ভারতের মত জনবহুল দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ব্যয়বহুল পড়াশুনা শেষ করার পরে অনেকেই পছন্দ অনুযায়ী কাজ পাচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে ঝাড়ুদার, সুইপার, ক্লিনারসহ বিভিন্ন নিম্ন শ্রেণির চাকরির জন্য আবেদন করছেন উচ্চশিক্ষিতরা। এটি দেশটির জন্য অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও ভারতে নিম্নশ্রেণির এসব সরকারি চাকরিতে ডক্টরেট ডিগ্রীধারীসহ অনেক উচ্চ শিক্ষিতদের আবেদন করতে দেখা গেছে।