ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোর সনাক্ত : পুলিশি অভিযান অব্যাহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

সরোজগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে থেকে আলমসাধু চুরি : মানিক চেয়ারম্যানের সহযোগিতায়

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি ইকরামুল হক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে থেকে আলমসাধু চুরির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত সম্ভব হয়েছে। অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের সার্বিক সহযোগিতায় চোর ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল আনুমানিক দশটার দিকে চুয়াডাঙ্গা হতে মাছের ড্রামে করে মাছ বহন করে সরোজগঞ্জ বাজারের মাছের আড়ৎপট্টিতে সেলিমের আড়ৎ-এর সামনে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে আলমসাধু রেখে পাশের দোকানে চা-বিস্কুট খেতে যায় আলমসাধুটির চালক ও মালিক স্বপন। ১৫ মিনিট পরে চা খেয়ে ফিরে দেখে আলমসাধূটি নেই। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে বিষয়টি কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিককে জানালে তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে পরিষদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করেন। এবং চোর সনাক্তে সবাইকে সহযোগিতা করেন। চোর সনাক্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ চোর ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
চুরি যাওয়া আলমসাধুর মালিক শংকরচন্দ্র ইউনিয়ানের নতুন ভান্ডারদহ গ্রামের ইউসুফ উদ্দীনের ঘরজামাই স্বপন হোসেন (২৮) গত পাঁচ মাস আগে সমিতি থেকে লোন তুলে কিনেছেন। আয়ের একমাত্র উৎস আলমসাধু চুরি হয়ে যাওয়ায় পথে বসেছে স্বপন।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদের পাশে থেকে একটি আলমসাধু চুরি হওয়ার পর থেকে পরিষদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চোর সনাক্ত করেছি। তবে, চোরের পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি। আমি চোর ধরতে পরিষদের লোকজনকে পাঠাইছিলাম কিন্তু চোরকে পাওয়া যায়নি। চোরসহ আলমসাধুটিকে কেউ ধরিয়ে দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও চেয়ারম্যান মানিক ঘোষণা দেন।
এই চুরির ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান মানিক আরো ঘোষণা দেন যে, আমি আমার পুরো ইউনিয়ন পরিষদকে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছি। এবার পুরো সরোজগঞ্জ বাজার সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনা হবে ইনশায়াল্লাহ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোর সনাক্ত : পুলিশি অভিযান অব্যাহত

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

সরোজগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে থেকে আলমসাধু চুরি : মানিক চেয়ারম্যানের সহযোগিতায়

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি ইকরামুল হক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে থেকে আলমসাধু চুরির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত সম্ভব হয়েছে। অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের সার্বিক সহযোগিতায় চোর ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল আনুমানিক দশটার দিকে চুয়াডাঙ্গা হতে মাছের ড্রামে করে মাছ বহন করে সরোজগঞ্জ বাজারের মাছের আড়ৎপট্টিতে সেলিমের আড়ৎ-এর সামনে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে আলমসাধু রেখে পাশের দোকানে চা-বিস্কুট খেতে যায় আলমসাধুটির চালক ও মালিক স্বপন। ১৫ মিনিট পরে চা খেয়ে ফিরে দেখে আলমসাধূটি নেই। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে বিষয়টি কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিককে জানালে তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে পরিষদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করেন। এবং চোর সনাক্তে সবাইকে সহযোগিতা করেন। চোর সনাক্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ চোর ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
চুরি যাওয়া আলমসাধুর মালিক শংকরচন্দ্র ইউনিয়ানের নতুন ভান্ডারদহ গ্রামের ইউসুফ উদ্দীনের ঘরজামাই স্বপন হোসেন (২৮) গত পাঁচ মাস আগে সমিতি থেকে লোন তুলে কিনেছেন। আয়ের একমাত্র উৎস আলমসাধু চুরি হয়ে যাওয়ায় পথে বসেছে স্বপন।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদের পাশে থেকে একটি আলমসাধু চুরি হওয়ার পর থেকে পরিষদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চোর সনাক্ত করেছি। তবে, চোরের পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি। আমি চোর ধরতে পরিষদের লোকজনকে পাঠাইছিলাম কিন্তু চোরকে পাওয়া যায়নি। চোরসহ আলমসাধুটিকে কেউ ধরিয়ে দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও চেয়ারম্যান মানিক ঘোষণা দেন।
এই চুরির ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান মানিক আরো ঘোষণা দেন যে, আমি আমার পুরো ইউনিয়ন পরিষদকে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছি। এবার পুরো সরোজগঞ্জ বাজার সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনা হবে ইনশায়াল্লাহ।