ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিজারিয়ানের পর প্রসূতির মৃত্যু, ক্লিনিক ঘেরাও

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
  • / ২১৪ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সিজারিয়ানের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রসূতিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে ক্লিনিক কর্র্তৃপক্ষ। এ সময় কুষ্টিয়া নেওয়ার পথে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। এদিকে, প্রসূতির মৃত্যুর পর গভীর রাতে ইউনাইটেড ক্লিনিকের সামনে হট্টগোল করে ক্লিনিক ঘেরাও করেন ওই প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনেরা। এ সময় ক্লিনিক বন্ধের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া মিরপুর থানার মালিহাদ রায়পাড়া গ্রামের রহিদুলের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের প্রসাব বেদনা শুরু হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে আলমডাঙ্গা ইউনাইটেড ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর রাতেই প্রসূতির সিজার অপারেশন করা হয়। সিরাজরের পর প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রোগীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রাতেই মাইক্রোবাসযোগে কুষ্টিয়া নেওয়ার পথে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর গভীর রাতে রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা ইউনাইটেড ক্লিনিকের সামনে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, অপারেশনের পর কার্ডিয়াক সমস্যা দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে এ বিষয়ে জানতে প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোগীর পেশার অত্যান্ত বেড়ে যায়। সে সময় মূমুর্ষু অবস্থায় ওই প্রসূতিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথের মধ্যে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সিজারিয়ানের পর প্রসূতির মৃত্যু, ক্লিনিক ঘেরাও

আপলোড টাইম : ১০:৫৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সিজারিয়ানের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রসূতিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে ক্লিনিক কর্র্তৃপক্ষ। এ সময় কুষ্টিয়া নেওয়ার পথে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। এদিকে, প্রসূতির মৃত্যুর পর গভীর রাতে ইউনাইটেড ক্লিনিকের সামনে হট্টগোল করে ক্লিনিক ঘেরাও করেন ওই প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনেরা। এ সময় ক্লিনিক বন্ধের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া মিরপুর থানার মালিহাদ রায়পাড়া গ্রামের রহিদুলের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের প্রসাব বেদনা শুরু হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে আলমডাঙ্গা ইউনাইটেড ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর রাতেই প্রসূতির সিজার অপারেশন করা হয়। সিরাজরের পর প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রোগীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রাতেই মাইক্রোবাসযোগে কুষ্টিয়া নেওয়ার পথে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর গভীর রাতে রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা ইউনাইটেড ক্লিনিকের সামনে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, অপারেশনের পর কার্ডিয়াক সমস্যা দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে এ বিষয়ে জানতে প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোগীর পেশার অত্যান্ত বেড়ে যায়। সে সময় মূমুর্ষু অবস্থায় ওই প্রসূতিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথের মধ্যে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।