ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সারা দেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২৯২

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • / ৫৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন চারজন সুস্থ, নমুনা সংগ্রহ ৩৪
সমীকরণ প্রতিবেদক:
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৯২ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যেখানে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪৮০ জনের। এছাড়া দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৯১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯১৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। এদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে আবার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্তের নতুন কোন ফলাফল নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা শনাক্তের কোন ফলাফল প্রকাশ করেনি। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৪৬ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ২০ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৬৪ জন, দামুড়হুদায় ৩৫৩ জন ও জীবননগরে ২০৯ জন। গতকাল সদর উপজেলায় নতুন চারজন সুস্থ হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১০ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৬৮ জন, আলমডাঙ্গার ৩৩৯ জন, দামুড়হুদায় ৩১১ জন ও দামুড়হুদায় ১৯২ জন সুস্থ হয়েছেন।
জানা যায়, গত বুধবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য কোন নমুনা সংগ্রহ না করায় গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার কোন ফলাফল প্রকাশ করেনি। তবে গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ৩৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৯ হাজার ৭২১টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৯ হাজার ৪৮৬টি, পজিটিভ ১ হাজার ৯৪৬টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৭১ জন করোনাক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন, আলমডাঙ্গায় ৬ জন, দামুড়হুদায় ২৯ জন ও জীবননগরে ১৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৫৩ জন হোম আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ জন, আলমডাঙ্গায় ৬ জন, দামুড়হুদায় ১৪ জন ও জীবননগরে ১৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ২ জন ও দামুড়হুদার ১৫ জনসহ মোট ১৭ জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন আরও ১ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। এরমধ্যে সদর উপজেলার ২৫ জন, আলমডাঙ্গায় ১৭ জন, দামুড়হুদায় ১৩ জন ও জীবননগরে ৪ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ জেলার বাইরে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সারা দেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২৯২

আপলোড টাইম : ১০:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন চারজন সুস্থ, নমুনা সংগ্রহ ৩৪
সমীকরণ প্রতিবেদক:
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৯২ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যেখানে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪৮০ জনের। এছাড়া দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৯১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯১৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। এদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে আবার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্তের নতুন কোন ফলাফল নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা শনাক্তের কোন ফলাফল প্রকাশ করেনি। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৪৬ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ২০ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৬৪ জন, দামুড়হুদায় ৩৫৩ জন ও জীবননগরে ২০৯ জন। গতকাল সদর উপজেলায় নতুন চারজন সুস্থ হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১০ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৬৮ জন, আলমডাঙ্গার ৩৩৯ জন, দামুড়হুদায় ৩১১ জন ও দামুড়হুদায় ১৯২ জন সুস্থ হয়েছেন।
জানা যায়, গত বুধবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য কোন নমুনা সংগ্রহ না করায় গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার কোন ফলাফল প্রকাশ করেনি। তবে গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ৩৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৯ হাজার ৭২১টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৯ হাজার ৪৮৬টি, পজিটিভ ১ হাজার ৯৪৬টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৭১ জন করোনাক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন, আলমডাঙ্গায় ৬ জন, দামুড়হুদায় ২৯ জন ও জীবননগরে ১৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৫৩ জন হোম আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ জন, আলমডাঙ্গায় ৬ জন, দামুড়হুদায় ১৪ জন ও জীবননগরে ১৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ২ জন ও দামুড়হুদার ১৫ জনসহ মোট ১৭ জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন আরও ১ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। এরমধ্যে সদর উপজেলার ২৫ জন, আলমডাঙ্গায় ১৭ জন, দামুড়হুদায় ১৩ জন ও জীবননগরে ৪ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ জেলার বাইরে।