ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অন্যরকম ইজিবাইক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০
  • / ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

রুদ্র রাসেল:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবার অভিনব পন্থায় ইজিবাইক তৈরি করেছেন জেলার আল-আমিন নামের এক ইজিবাইক মিস্ত্রি। শুধুমাত্র সামাজিক দূরুত্বই না, ইজিবাইকে আছে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবস্থা। করোনা লকডাউনে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। জেলা শহরের সড়কগুলোতে চলছে গোনা কয়েকটি রিকশা ও ইজিবাইক। সড়কে বের হতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন এর সঙ্গে জড়িতরা। ইজিবাইক মানেই নজরে আসে ব্যাটারীচালিত একটি বাহন। যেখানে চার দিক দিয়ে ঘেরা। ভেতরে বসতে পারে ৪ থেকে ৬ জন। গাদাগাদি করে পাশাপাশি ও সামনা-সামনি বসে গন্তব্যে যেতে হয় যাত্রীদের। এবার করোনা মোকাবিলায় গাদা-গাদি থেকে রক্ষা এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে না আল আমিনের তৈরি নতুন রুপের এই ইজিবাইকে।
জানা যায়, দেশব্যাপী মহামারি করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে ছোটবড় গণপরিবহণ। চুয়াডাঙ্গা শহরেও বন্ধ করা হয়েছে ইজিবাইক চলাচল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আর করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ধারণা থেকে ইজিবাইককে কেটে ৪টি গেট ও মাঝখানে পার্টিশন দেওয়ার কথা মাথায় আসে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসরাহাটি গ্রামের মণ্ডল পাড়ার ইজিবাইক মিস্ত্রী আল আমিনের। ইজিবাইক মিস্ত্রি ও নিজের ইজিবাইক মেরামতের ওয়ার্কশপ থাকায় নিজেই লেগে পড়েন কাজে। দীর্ঘ এক সপ্তাহের চেষ্টায় ইজিবাইক কেটে চারটি গেট করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঝ দিয়ে দিয়েছেন এক ইঞ্চি পুরু শোলার পার্টিশন। এতে এক যাত্রীর সঙ্গে অন্য যাত্রীর থাকছে দূরত্ব। আবার ইজিবাইকে যাত্রী ওঠার পূর্বে তাদেরকে অবশ্যই ইজিবাইকে থাকা জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিনের সামনে দাঁড়াতে হবে।
ইজিবাইক মিস্ত্রী আল-আমিন বলেন, ‘একাডেমি মোড় মোজাম্মেল পেট্রল পাম্পের পেছনে ইজিবাইক মেরামতের একটি ওয়ার্কশপ আছে আমার। করোনা মহামারিতে লকডাউনে জেলায় ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আমি রাস্তা দিয়ে অনেক মানুষকে বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে রোদের মধ্যে পথে হাটতে দেখেছি। মূলত সেই থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইজিবাইক তৈরির কথা মাথায় আসে আমার। নিজের একটি ইজিবাইক ছিল, সেটা কেটেই এভাবে নিজে হাতে বানিয়েছি। লাগিয়েছি একটি জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন। এতে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। শহরের সব ইজিবাইকগুলো যদি এমন হতো, তবে যাত্রা পথে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকত। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। সহযোগিতা পেলে আমি সাধারণ ইজিবাইকে এভাবে বানিয়ে দিতে পারব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অন্যরকম ইজিবাইক

আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

রুদ্র রাসেল:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবার অভিনব পন্থায় ইজিবাইক তৈরি করেছেন জেলার আল-আমিন নামের এক ইজিবাইক মিস্ত্রি। শুধুমাত্র সামাজিক দূরুত্বই না, ইজিবাইকে আছে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবস্থা। করোনা লকডাউনে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। জেলা শহরের সড়কগুলোতে চলছে গোনা কয়েকটি রিকশা ও ইজিবাইক। সড়কে বের হতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন এর সঙ্গে জড়িতরা। ইজিবাইক মানেই নজরে আসে ব্যাটারীচালিত একটি বাহন। যেখানে চার দিক দিয়ে ঘেরা। ভেতরে বসতে পারে ৪ থেকে ৬ জন। গাদাগাদি করে পাশাপাশি ও সামনা-সামনি বসে গন্তব্যে যেতে হয় যাত্রীদের। এবার করোনা মোকাবিলায় গাদা-গাদি থেকে রক্ষা এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে না আল আমিনের তৈরি নতুন রুপের এই ইজিবাইকে।
জানা যায়, দেশব্যাপী মহামারি করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে ছোটবড় গণপরিবহণ। চুয়াডাঙ্গা শহরেও বন্ধ করা হয়েছে ইজিবাইক চলাচল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আর করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ধারণা থেকে ইজিবাইককে কেটে ৪টি গেট ও মাঝখানে পার্টিশন দেওয়ার কথা মাথায় আসে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসরাহাটি গ্রামের মণ্ডল পাড়ার ইজিবাইক মিস্ত্রী আল আমিনের। ইজিবাইক মিস্ত্রি ও নিজের ইজিবাইক মেরামতের ওয়ার্কশপ থাকায় নিজেই লেগে পড়েন কাজে। দীর্ঘ এক সপ্তাহের চেষ্টায় ইজিবাইক কেটে চারটি গেট করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঝ দিয়ে দিয়েছেন এক ইঞ্চি পুরু শোলার পার্টিশন। এতে এক যাত্রীর সঙ্গে অন্য যাত্রীর থাকছে দূরত্ব। আবার ইজিবাইকে যাত্রী ওঠার পূর্বে তাদেরকে অবশ্যই ইজিবাইকে থাকা জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিনের সামনে দাঁড়াতে হবে।
ইজিবাইক মিস্ত্রী আল-আমিন বলেন, ‘একাডেমি মোড় মোজাম্মেল পেট্রল পাম্পের পেছনে ইজিবাইক মেরামতের একটি ওয়ার্কশপ আছে আমার। করোনা মহামারিতে লকডাউনে জেলায় ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আমি রাস্তা দিয়ে অনেক মানুষকে বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে রোদের মধ্যে পথে হাটতে দেখেছি। মূলত সেই থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইজিবাইক তৈরির কথা মাথায় আসে আমার। নিজের একটি ইজিবাইক ছিল, সেটা কেটেই এভাবে নিজে হাতে বানিয়েছি। লাগিয়েছি একটি জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন। এতে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। শহরের সব ইজিবাইকগুলো যদি এমন হতো, তবে যাত্রা পথে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকত। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। সহযোগিতা পেলে আমি সাধারণ ইজিবাইকে এভাবে বানিয়ে দিতে পারব।’