সামর্থবানদের এখনই অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে
- আপলোড টাইম : ১০:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
- / ১৯৭ বার পড়া হয়েছে
অরিন্দমের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৩১ জন কর্মহীন অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মহীন অসহায় মানুষের মধ্যে এ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান বাদে সবকিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। নিজের নিজের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর কাজ না থাকায় তাঁদের পাশে এখন আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায়, কর্মহীন মানুষের জন্য খাদ্য-সহায়তা পাঠাচ্ছেন। বেসরকারিভাবে বা সামর্থবানদেরও এখন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে। এখন সময় এসেছে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি বজলুর রহমান জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালাম সৈকত, সাবেক সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, অরিন্দমের নির্বাহী সদস্য আব্দুল মোমিন টিপু, সাবেক সভাপতি ইয়াকুব আলী জোয়ার্দার, সহসম্পাদক মামুন মাসুদ, অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক, নাট্য সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, সংগীত ও নৃত্যবিষয়ক সম্পাদক কন্ঠশিল্পী হীরুন অর-রশীদ শান্ত, কার্যকরী সদস্য হাসান আলী প্রমুখ। অরিন্দমের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রীতে ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ৩ কেজি প্যাকেট আটা, ১ কেজি তেল, ১ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি মসুর ডাল, ৫ শ গ্রাম লবণ, ২ শ ৫০ গ্রাম কাচা মরিচ, ১টি সাবান দেওয়া হয়। এ ছাড়াও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট ও ১টি মাস্ক দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, অরিন্দমের নিজস্ব তহবিল ও সদস্যদের দেওয়া চাঁদা থেকে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।