ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা চান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯
  • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
কারাগারে থাকা ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে গত বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করেন মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরে আদালত ওই নির্দেশ দেন।
মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ আদালতের কাছে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল মোয়াজ্জেম প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেডে তিনি বেতন পান। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ায় জেলকোড অনুযায়ী মোয়াজ্জেম প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা পাওয়ার হকদার।
ফারুক আহম্মেদ আদালতের কাছে আরও দাবি করেন, সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম এক সময় ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। অনেক দাগি আসামি, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছেন। তাঁদের অনেকের সাজা হয়েছে। যে কারণে কারাগারে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ায় মোয়াজ্জেম প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবি রাখেন।
কারাগারে বিশেষ সুবিধা চেয়ে করা সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন ওই ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম। তিনি বলেন, আদালতে তিনি বলেছেন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম বরখাস্ত হয়েছেন। যে কারণে তিনি কারাগারে বিশেষ কোনো সুবিধা পেতে পারেন না। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত ১৬ জুন গ্রেফতার হন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম। পরদিন তাঁকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মোয়াজ্জেমের পক্ষে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেদিন মামলার বাদী সৈয়দ সাইয়েদুল হক আদালতকে বলেছিলেন, আইনের সেবক হয়েও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাননি সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম। তবে মোয়াজ্জেমকে নির্দোষ দাবি করেন তাঁর আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। সেদিন থেকে কারাগারে আছেন মোয়াজ্জেম। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা চান

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
কারাগারে থাকা ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে গত বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করেন মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরে আদালত ওই নির্দেশ দেন।
মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ আদালতের কাছে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল মোয়াজ্জেম প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেডে তিনি বেতন পান। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ায় জেলকোড অনুযায়ী মোয়াজ্জেম প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা পাওয়ার হকদার।
ফারুক আহম্মেদ আদালতের কাছে আরও দাবি করেন, সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম এক সময় ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। অনেক দাগি আসামি, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছেন। তাঁদের অনেকের সাজা হয়েছে। যে কারণে কারাগারে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ায় মোয়াজ্জেম প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবি রাখেন।
কারাগারে বিশেষ সুবিধা চেয়ে করা সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন ওই ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম। তিনি বলেন, আদালতে তিনি বলেছেন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম বরখাস্ত হয়েছেন। যে কারণে তিনি কারাগারে বিশেষ কোনো সুবিধা পেতে পারেন না। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত ১৬ জুন গ্রেফতার হন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম। পরদিন তাঁকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মোয়াজ্জেমের পক্ষে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেদিন মামলার বাদী সৈয়দ সাইয়েদুল হক আদালতকে বলেছিলেন, আইনের সেবক হয়েও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাননি সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম। তবে মোয়াজ্জেমকে নির্দোষ দাবি করেন তাঁর আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। সেদিন থেকে কারাগারে আছেন মোয়াজ্জেম। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।