ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাধনা থাকলে মানুষ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২৩০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় কবি গোলাম রহমানের সাহিত্যকর্মের ৪২ বছর উদ্যাপন
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ ও কবি লেখক মিলন মেলা কমিটির উদ্যোগে কবি গোলাম রহমান চৌধুরীর সাহিত্যকর্মের ৪২ বছর উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুমারী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের কবি ভবনের পাশে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সড়কের পাশের গেট থেকে মঞ্চ পর্যন্ত কবি গোলাম রহমানের সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছিল। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ভারতের কবি-সাহিত্যিকদের আগমন ঘটে এ অনুষ্ঠানে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, কবি, নাট্যকার, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম আজম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলী। তিনি বলেন, ‘আজ আমি এ অনুষ্ঠানে এসে অভিভূত হয়েছি। আলমডাঙ্গায় কবি-সাহিত্যিক আছে শুনেছি, কিন্ত এত সমৃদ্ধ, সেটা জানতাম না। আমি কথা দিচ্ছি, আপনারা যেকোনো ভালো অনুষ্ঠান করলে আমি আপনাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করব। কবি গোলাম রহমানকে দেখে বুঝলাম, সাধনা থাকলে মানুষ তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তিনি সাইকেল মেকার থেকে নিজের অধ্যবসায়ে আজ এ পর্যন্ত পৌঁছেছেন। আমি তাঁর সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ভারতের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক কবি ড. সুশিল কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আপনাদের আমন্ত্রণে আসি মূলত ভাষার টানে। বাংলা ভাষার জন্য পৃথিবীতে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। তাই বাংলা ভাষার টানে বারবার ছুটে আসি। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল যে মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছে, আমিও সেই চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান, ভারতের শিল্প-সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি রাজিব ঘাঁটি, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী কবি নারায়ণ কর্মকার, চুুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক আনছার আলী, কবি আমিতাভ মীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কবি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চুয়াডাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক কবি আ ফ ম সিরাজ সামজী, সহকারী অধ্যাপক কবি আসিফ জাহান, প্রধান শিক্ষক কবি আনোয়ার রশিদ সাগর ও কবি ইদ্রিস আলী ম-ল।
আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, কবি আবেদ জাহান, কবি জামিলুর রহমান, শামিম রেজা, কবি ও পৌর কাউন্সিলর সামছাদ রানু, বিটিভির গীতিকার মাসুদ রানা লিটন, কবি হাবিবুর রহমান মজুমদারসহ অসংখ্য লেখক ও কবি।
শেষে ভারতের কবিদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। এ ছাড়া সাংবাদিকতায় খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাহিত্যে আ ফ ম সিরাজ সামজি, কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার, কবি ওমর আলী মাস্টার, কবি হামিদুল আজম, গীতিকার হিসেবে মাসুদ রানা লিটন,সংগঠন হিসেবে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্র সম্মাননা পায়। এ ছাড়াও কবি গোলাম রহমান চৌধুরীকে কলমিলতা সাহিত্য পত্রিকার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট, খন্দকার শাহ আলম মন্টু সম্মাননা ক্রেস্ট, আলমাউদ্দিন আহম্মদ পাঠাগারের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এ সময় তাঁকে কামালপুর গ্রামের প্রায় ২০ জন নারী-পুরুষ বিভিন্ন সম্মাননা পুরস্কার-পদক দেন। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির হাতেও সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাধনা থাকলে মানুষ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়

আপলোড টাইম : ১০:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯

আলমডাঙ্গায় কবি গোলাম রহমানের সাহিত্যকর্মের ৪২ বছর উদ্যাপন
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ ও কবি লেখক মিলন মেলা কমিটির উদ্যোগে কবি গোলাম রহমান চৌধুরীর সাহিত্যকর্মের ৪২ বছর উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুমারী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের কবি ভবনের পাশে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সড়কের পাশের গেট থেকে মঞ্চ পর্যন্ত কবি গোলাম রহমানের সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছিল। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ভারতের কবি-সাহিত্যিকদের আগমন ঘটে এ অনুষ্ঠানে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, কবি, নাট্যকার, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম আজম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলী। তিনি বলেন, ‘আজ আমি এ অনুষ্ঠানে এসে অভিভূত হয়েছি। আলমডাঙ্গায় কবি-সাহিত্যিক আছে শুনেছি, কিন্ত এত সমৃদ্ধ, সেটা জানতাম না। আমি কথা দিচ্ছি, আপনারা যেকোনো ভালো অনুষ্ঠান করলে আমি আপনাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করব। কবি গোলাম রহমানকে দেখে বুঝলাম, সাধনা থাকলে মানুষ তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তিনি সাইকেল মেকার থেকে নিজের অধ্যবসায়ে আজ এ পর্যন্ত পৌঁছেছেন। আমি তাঁর সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ভারতের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক কবি ড. সুশিল কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আপনাদের আমন্ত্রণে আসি মূলত ভাষার টানে। বাংলা ভাষার জন্য পৃথিবীতে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। তাই বাংলা ভাষার টানে বারবার ছুটে আসি। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল যে মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছে, আমিও সেই চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান, ভারতের শিল্প-সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি রাজিব ঘাঁটি, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী কবি নারায়ণ কর্মকার, চুুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক আনছার আলী, কবি আমিতাভ মীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কবি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চুয়াডাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক কবি আ ফ ম সিরাজ সামজী, সহকারী অধ্যাপক কবি আসিফ জাহান, প্রধান শিক্ষক কবি আনোয়ার রশিদ সাগর ও কবি ইদ্রিস আলী ম-ল।
আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, কবি আবেদ জাহান, কবি জামিলুর রহমান, শামিম রেজা, কবি ও পৌর কাউন্সিলর সামছাদ রানু, বিটিভির গীতিকার মাসুদ রানা লিটন, কবি হাবিবুর রহমান মজুমদারসহ অসংখ্য লেখক ও কবি।
শেষে ভারতের কবিদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। এ ছাড়া সাংবাদিকতায় খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাহিত্যে আ ফ ম সিরাজ সামজি, কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার, কবি ওমর আলী মাস্টার, কবি হামিদুল আজম, গীতিকার হিসেবে মাসুদ রানা লিটন,সংগঠন হিসেবে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্র সম্মাননা পায়। এ ছাড়াও কবি গোলাম রহমান চৌধুরীকে কলমিলতা সাহিত্য পত্রিকার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট, খন্দকার শাহ আলম মন্টু সম্মাননা ক্রেস্ট, আলমাউদ্দিন আহম্মদ পাঠাগারের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এ সময় তাঁকে কামালপুর গ্রামের প্রায় ২০ জন নারী-পুরুষ বিভিন্ন সম্মাননা পুরস্কার-পদক দেন। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির হাতেও সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়।