ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাজা বৃদ্ধির আবেদন করবে দুদক : নতুন কৌশলের কথা ভাবছে বিএনপি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মার্চ ২০১৮
  • / ২৮৫ বার পড়া হয়েছে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের দেয়া বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত : আজ বিক্ষোভ
সমীকরণ ডেস্ক: মে মাসের পূর্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তাকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার-সংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল সোমবার সকালে এ আদেশ দেন। এর ফলে আপাতত খালেদা জিয়ার কারামুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেয়। পাশাপাশি দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল দায়েরের নির্দেশ দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করে দেয়। পাশাপাশি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্যও খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়। সেই মোতাবেক তিনটি আবেদনের ওপর গতকাল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, সাজার মেয়াদ, জামিনের অপব্যবহার না করা, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা এবং পেপারবুক প্রস্তুতের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে। কিন্তু মাদকদ্রব্য আইনের একটি মামলায় ইতোপূর্বে আপিল বিভাগ দুই বছরের দ-প্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে জামিন দেয়নি। এই যুক্তি দেওয়ার পরেও হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছে। এটা ঠিক হয়নি।
এদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ও আগামী ২৯ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচীর ঘোষণা দেন। দুপুরে নয়া পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ কর্মসূচীর ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার রাজধানীতে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ হয়নি। তাই কাল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ও ২৯ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করা হবে।
দলীয় প্রধানের মুক্তি ত্বরান্বিত করতে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া শিগগিরই জোট শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার চিন্তাভাবনা এবং ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সার্বিক পরিস্থিতি জানানোর বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে। আপিল বিভাগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হওয়ার পর দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টায় এই বৈঠক শুরু হয়ে রাত ৯টায় শেষ হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ হবে তা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তাঁর জামিন স্থগিত হওয়ার পর আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পাশাপাশি দলীয় প্রধানের মুক্তি কীভাবে ত্বরান্বিত করার যায়, এ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে দলটি। বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিগগিরই জোট শরিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে একটি যৌথসভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সার্বিক পরিস্থিতি জানানো হবে বলেও ঠিক করা হয়েছে।
জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও দলের নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন কোনো কর্মসূচি ঠিক করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সরকার তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। আবার শক্ত কর্মসূচি দিয়েও সরকারের ফাঁদে পা দিতে চাচ্ছি না। তাই আলাপ আলোচনা করে নতুন কৌশল ঠিক করা হবে। জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হয়নি। বলার মতো কিছু নেই।’ বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দ-প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির আবেদন করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সংস্থাটির আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমাবার দুদক থেকে তাকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়। খুরশিদ আলম বলেন, ‘সাজা বৃদ্ধির আবেদনের জন্য বিকেলে দুদক থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। আমি প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। খুব শিগগির এ আবেদন দাখিল করব।’ পাঁচ বছরের দ-াদেশ পাওয়া খালেদা জিয়া বর্তামনে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনোম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১৫ মার্চ তাকে জামিন দিলেও দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ ওই জামিন স্থগিত করে। খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল গতকাল সোমবার গ্রহণ করেছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উভয়পক্ষকে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালত এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদ- দেন। এছাড়া রায়ে ছয় আসামির সবাইকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়। রায়ের পর থেকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন খালেদা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাজা বৃদ্ধির আবেদন করবে দুদক : নতুন কৌশলের কথা ভাবছে বিএনপি

আপলোড টাইম : ১০:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মার্চ ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের দেয়া বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত : আজ বিক্ষোভ
সমীকরণ ডেস্ক: মে মাসের পূর্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তাকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার-সংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল সোমবার সকালে এ আদেশ দেন। এর ফলে আপাতত খালেদা জিয়ার কারামুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেয়। পাশাপাশি দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল দায়েরের নির্দেশ দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করে দেয়। পাশাপাশি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্যও খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়। সেই মোতাবেক তিনটি আবেদনের ওপর গতকাল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, সাজার মেয়াদ, জামিনের অপব্যবহার না করা, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা এবং পেপারবুক প্রস্তুতের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে। কিন্তু মাদকদ্রব্য আইনের একটি মামলায় ইতোপূর্বে আপিল বিভাগ দুই বছরের দ-প্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে জামিন দেয়নি। এই যুক্তি দেওয়ার পরেও হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছে। এটা ঠিক হয়নি।
এদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ও আগামী ২৯ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচীর ঘোষণা দেন। দুপুরে নয়া পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ কর্মসূচীর ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার রাজধানীতে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ হয়নি। তাই কাল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ও ২৯ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করা হবে।
দলীয় প্রধানের মুক্তি ত্বরান্বিত করতে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া শিগগিরই জোট শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার চিন্তাভাবনা এবং ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সার্বিক পরিস্থিতি জানানোর বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে। আপিল বিভাগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হওয়ার পর দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টায় এই বৈঠক শুরু হয়ে রাত ৯টায় শেষ হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ হবে তা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তাঁর জামিন স্থগিত হওয়ার পর আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পাশাপাশি দলীয় প্রধানের মুক্তি কীভাবে ত্বরান্বিত করার যায়, এ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে দলটি। বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিগগিরই জোট শরিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে একটি যৌথসভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সার্বিক পরিস্থিতি জানানো হবে বলেও ঠিক করা হয়েছে।
জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও দলের নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন কোনো কর্মসূচি ঠিক করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সরকার তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। আবার শক্ত কর্মসূচি দিয়েও সরকারের ফাঁদে পা দিতে চাচ্ছি না। তাই আলাপ আলোচনা করে নতুন কৌশল ঠিক করা হবে। জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হয়নি। বলার মতো কিছু নেই।’ বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দ-প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির আবেদন করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সংস্থাটির আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমাবার দুদক থেকে তাকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়। খুরশিদ আলম বলেন, ‘সাজা বৃদ্ধির আবেদনের জন্য বিকেলে দুদক থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। আমি প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। খুব শিগগির এ আবেদন দাখিল করব।’ পাঁচ বছরের দ-াদেশ পাওয়া খালেদা জিয়া বর্তামনে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনোম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১৫ মার্চ তাকে জামিন দিলেও দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ ওই জামিন স্থগিত করে। খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল গতকাল সোমবার গ্রহণ করেছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উভয়পক্ষকে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালত এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদ- দেন। এছাড়া রায়ে ছয় আসামির সবাইকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়। রায়ের পর থেকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন খালেদা।