ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাকিব ঝড়ে জয়ে ফিরলো ঢাকা ডায়নামাইটস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক: সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ঝড় তুললেন। তার ঝড়ের জবাবটা ঝড় দিয়েই দিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ৩ ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটের সহজ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার সামনে ১৫৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় সিলেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের বোল্ড মিজানুর রহমান। ১০ বলে ২০ রান করে সুনিল নারিনও সাজঘরে ফিরে যান। ১৩ বলে ১৩ করেন রনি তালুকদার। ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপদে পড়ে গিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব। ৪০ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬০ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ঢাকা অধিনায়ক। ডারওয়াইস রাসোলি ১৯ রান করে ফেরার পরেই নেমেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যাটিংয়ে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। মাত্র ২১ বলে ২ চার আর ৪টি বিশাল ছক্কায় হার না মানা ৪০ করেন তিনি। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। ব্যাটিংয়ে নেম একাই যেন দলকে টেনে নিয়েছিলেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের ৪৩ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করেই ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করায় সিলেট সিক্সার্স। দুই ওপেনার লিটন দাস আর সাব্বির রহমানের শুরুটা ভালোই ছিল। ২৯ বলের জুটিতে তারা তুলেন ৩৮ রান। ১৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৭ রানে থাকা ভয়ংকর লিটনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। পরের ওভারের প্রথম বলে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হয়ে ফেরেন সাব্বিরও (১৬ বলে ১১)। তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেন ধ্রুব আর ওয়ার্নার মিলে গড়েছিলেন ৩০ রানের জুটি। ১৭ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ১৯ রান করা আফিফকে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন প্রোটিয়া পেসার অ্যান্ড্রু বার্চ। এরপর শুন্য রানে অলক কাপালি ও ৬ রানে নিকোলাস পুরান বিদায় নিলে বিপদে পড়ে সিলেট। ৮৬ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়েছেন ওয়ার্নার। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলির সঙ্গে ৬৩ রানের বড় জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ৪৩ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬৩ রানে থাকার সময় সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ হন তিনি। এ নিয়ে চলতি বিপিএলে ৬ ম্যাচ খেলে তিনটি ফিফটি করলেন ওয়ার্নার। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও ৩৬ বলে হার না মানা ৬১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস এসেছিল অস্ট্রেলিয়ান এই তারকার উইলো থেকে। ওয়ার্নার ফিরলেও শেষের দিকে জাকের আলির ১৮ বলে ১টি করে চার ছক্কায় গড়া ২৫ রানের ছোট ঝড়ে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত যেতে পেরেছে সিলেট। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট শিকার করেন ঢাকা ডায়নামাইটসের সবচেয়ে সফল বোলার অ্যান্ড্রু বার্চই। সাকিব নিয়েছেন ২টি। একটি করে উইকেট আন্দ্রে রাসেল, রুবেল হোসেন আর সুনিল নারিনের।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাকিব ঝড়ে জয়ে ফিরলো ঢাকা ডায়নামাইটস

আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৯

খেলাধুলা ডেস্ক: সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ঝড় তুললেন। তার ঝড়ের জবাবটা ঝড় দিয়েই দিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ৩ ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটের সহজ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার সামনে ১৫৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় সিলেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের বোল্ড মিজানুর রহমান। ১০ বলে ২০ রান করে সুনিল নারিনও সাজঘরে ফিরে যান। ১৩ বলে ১৩ করেন রনি তালুকদার। ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপদে পড়ে গিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব। ৪০ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬০ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ঢাকা অধিনায়ক। ডারওয়াইস রাসোলি ১৯ রান করে ফেরার পরেই নেমেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যাটিংয়ে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। মাত্র ২১ বলে ২ চার আর ৪টি বিশাল ছক্কায় হার না মানা ৪০ করেন তিনি। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। ব্যাটিংয়ে নেম একাই যেন দলকে টেনে নিয়েছিলেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের ৪৩ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করেই ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করায় সিলেট সিক্সার্স। দুই ওপেনার লিটন দাস আর সাব্বির রহমানের শুরুটা ভালোই ছিল। ২৯ বলের জুটিতে তারা তুলেন ৩৮ রান। ১৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৭ রানে থাকা ভয়ংকর লিটনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। পরের ওভারের প্রথম বলে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হয়ে ফেরেন সাব্বিরও (১৬ বলে ১১)। তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেন ধ্রুব আর ওয়ার্নার মিলে গড়েছিলেন ৩০ রানের জুটি। ১৭ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ১৯ রান করা আফিফকে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন প্রোটিয়া পেসার অ্যান্ড্রু বার্চ। এরপর শুন্য রানে অলক কাপালি ও ৬ রানে নিকোলাস পুরান বিদায় নিলে বিপদে পড়ে সিলেট। ৮৬ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়েছেন ওয়ার্নার। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলির সঙ্গে ৬৩ রানের বড় জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ৪৩ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬৩ রানে থাকার সময় সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ হন তিনি। এ নিয়ে চলতি বিপিএলে ৬ ম্যাচ খেলে তিনটি ফিফটি করলেন ওয়ার্নার। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও ৩৬ বলে হার না মানা ৬১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস এসেছিল অস্ট্রেলিয়ান এই তারকার উইলো থেকে। ওয়ার্নার ফিরলেও শেষের দিকে জাকের আলির ১৮ বলে ১টি করে চার ছক্কায় গড়া ২৫ রানের ছোট ঝড়ে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত যেতে পেরেছে সিলেট। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট শিকার করেন ঢাকা ডায়নামাইটসের সবচেয়ে সফল বোলার অ্যান্ড্রু বার্চই। সাকিব নিয়েছেন ২টি। একটি করে উইকেট আন্দ্রে রাসেল, রুবেল হোসেন আর সুনিল নারিনের।