ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাকিব ঝলকে টাইগাররা এড়াল হোয়াইটওয়াশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ম্যাচটি মোটেও অনুকূলে ছিল না। বহিরাবরণে যতই চাঙা ভাবের অভিনয় দেখানো হোক না কেন, দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে দুরু দুরু চিত্তেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ শিবির। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে টানলেন মুশফিকুর রহীম আর নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুইজনের ফিফটির পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মূল কাজটি করলেন সাকিব আল হাসান। খেললেন ৭৫ রানের ইনিংস। মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে পরে বল হাতেও জ্বলে উঠলেন। ৩০০ উইকেটের মাইলফলকের দিনে নিলেন ৪ উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল বাংলাদেশ। তাতেই রশদ মিলল পরবর্তী তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে ৫০ রানে। আগে ব্যাট করে তিন ফিফটিতে ২৪৬ রানের পুঁজি পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ওই রান তাড়ায় ভালো শুরু পেয়েও সাকিবের ছোবলে পথ হারিয়ে ১৯৬ রানে আটকে যায় ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭৫ ও ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন সাকিব। মিরপুরে প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়ে বসেছে তামিম ইকবালের দল। ওয়ানডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম জয়। দর্শকদের অনাগ্রহের কারণ ছিল তামিম ইকবালদের পারফরম্যান্স। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট কিংবা জমজমাট লড়াই দেখতে গাঁটের পয়সা খরচ করে দর্শকরা মাঠে আসেন। ঘরের মাঠে ধারাবাহিক থাকা বাংলাদেশের যেন হঠাৎ ছন্দপতন, তাইতো সাগরিকায় দর্শকদের আগ্রহেও ভাটা পড়েছে। খা খা করেছিল গ্যালারি। অবশ্য শেষটায় স্বস্তি পেয়েছেন উপস্থিত দর্শক। মাঠে গিয়ে যারা খেলা দেখতে যাননি তারা কিছুটা আফসোসে পুড়েছেন বৈকি। আগের দুই ম্যাচের মতো যথারীতি এই ম্যাচের শুরুটাও হয়েছে বিপর্যয় দিয়ে। দলীয় ১৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দ্বিতীয়জন খুলতে পারেননি রানের চাকা। আগের ম্যাচেও লিটন ফিরেছেন শূন্য রানে। ছয় বলে ১১ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক ও অপর ওপেনার তামিম। পরে শান্তকে নিয়ে জোড়া ধাক্কা সামাল দেন মুশফিক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৮ রানের জুটি ভাঙে শান্তর বিদায়ে। ঠিক সময়ে দৌড় শুরু করলে হয়তো বাঁহাতি ওপেনার রান আউটের হাত থেকে বাঁচতে পারতেন। ৭১ বলে ৫৩ রানে আউট হন শান্ত। দলীয় সংগ্রহ দেড় শ’ পার হতে সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিকও। ৯৩ বলে ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। এর মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই শুরু করেন সাকিব। এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ৭১ বলে ৭৫ রানে আউট হন সাকিব। এ ছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৪ বলে ১৫ রান করেন। শেষ ৩৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র ছক্কাটি মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ ছাড়া ইনিংসে শান্ত পাঁচটি, মুশফিক ছয়টি ও সাকিব সাতটি বাউন্ডারি হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২৪৬। বাংলাদেশকে ইংল্যান্ড অলআউট করেছে সম্মিলিত বোলিং প্রচেষ্টায়। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন পেসার জফরা আর্চার। দু’টি করে শিকার স্যাম কারান ও আদিল রশিদের। খালি হাতে ফেরেননি ক্রিস ওকস, অভিষিক্ত রেহান আহমেদও। জবাবে খেলতে নেমে দুই ওপেনার জেসন রয় ও ফিল সল্টের ব্যাটে ভালো শুরু পায় সফরকারীরা। দুই ওপেনার মিলে তুলে ফেলেন ৫৪ রান। ফিল সল্টকে (৩৫) বিদায় করে জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারেই আঘাত হানেন তাসকিনের বদলি এবাদত। এবার তিনে নামা দাভিদ মালানকে (০) রানের খাতা খুলতে দেননি ডানহাতি এই পেসার। মিডঅনে সহজ ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের ওভারের প্রথম বলেই আরেক ওপেনার রয়কে (১৯) বোল্ড করেন সাকিব। এই সময়ে মাত্র ১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। চাপে ইংল্যান্ডের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন স্যাম কারান ও জেমস ভিন্স। দুইজনের জুটিতে ৪৯ রান। ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে উঠে আসা কারান ২৩ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভিন্সও। ব্যক্তিগত ২৬ রানে তিনি বিদায় নেন সাকিবের তৃতীয় শিকার হয়ে। এর কিছুক্ষণ পর ফের এবাদতের আঘাত। এবার ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীকে (২) সরাসরি বোল্ড করেন। ইংল্যান্ডের দলীয় দেড় শ’ পার হওয়ার পর আঘাত হানেন তাইজুল। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে (২৬) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ১৫৮ রানে ৭ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি। পরের ৩৮ রান তুলতেই বাকি ৩ উইকেট হারায় বাটলার-বাহিনী। শেষ দিকে ক্রিস ওকসের ৩৪ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তাতেই ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ২ উইকেট করে ঝুলিতে পুরেছেন তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। আর একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬/১০ (সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭০, শান্ত ৫৩; আর্চার ৩৫/৩, কারান ৫১/২, আদিল ২১/২) ইংল্যান্ড: ৪৩.১ ওভারে ১৯৬/১০ (ভিন্স ৩৮, সল্ট ৩৫, ওকস ৩৪; সাকিব ৩৫/৪, এবাদত ৩৮/২, তাইজুল ৫২/২) ফলাফল: বাংলাদেশ ৫০ রানে জয়ী সিরিজ: ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) সিরিজ সেরা : আদিল রশিদ (ইংল্যান্ড)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাকিব ঝলকে টাইগাররা এড়াল হোয়াইটওয়াশ

আপলোড টাইম : ০৮:৫০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ম্যাচটি মোটেও অনুকূলে ছিল না। বহিরাবরণে যতই চাঙা ভাবের অভিনয় দেখানো হোক না কেন, দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে দুরু দুরু চিত্তেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ শিবির। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে টানলেন মুশফিকুর রহীম আর নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুইজনের ফিফটির পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মূল কাজটি করলেন সাকিব আল হাসান। খেললেন ৭৫ রানের ইনিংস। মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে পরে বল হাতেও জ্বলে উঠলেন। ৩০০ উইকেটের মাইলফলকের দিনে নিলেন ৪ উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল বাংলাদেশ। তাতেই রশদ মিলল পরবর্তী তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে ৫০ রানে। আগে ব্যাট করে তিন ফিফটিতে ২৪৬ রানের পুঁজি পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ওই রান তাড়ায় ভালো শুরু পেয়েও সাকিবের ছোবলে পথ হারিয়ে ১৯৬ রানে আটকে যায় ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭৫ ও ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন সাকিব। মিরপুরে প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়ে বসেছে তামিম ইকবালের দল। ওয়ানডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম জয়। দর্শকদের অনাগ্রহের কারণ ছিল তামিম ইকবালদের পারফরম্যান্স। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট কিংবা জমজমাট লড়াই দেখতে গাঁটের পয়সা খরচ করে দর্শকরা মাঠে আসেন। ঘরের মাঠে ধারাবাহিক থাকা বাংলাদেশের যেন হঠাৎ ছন্দপতন, তাইতো সাগরিকায় দর্শকদের আগ্রহেও ভাটা পড়েছে। খা খা করেছিল গ্যালারি। অবশ্য শেষটায় স্বস্তি পেয়েছেন উপস্থিত দর্শক। মাঠে গিয়ে যারা খেলা দেখতে যাননি তারা কিছুটা আফসোসে পুড়েছেন বৈকি। আগের দুই ম্যাচের মতো যথারীতি এই ম্যাচের শুরুটাও হয়েছে বিপর্যয় দিয়ে। দলীয় ১৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দ্বিতীয়জন খুলতে পারেননি রানের চাকা। আগের ম্যাচেও লিটন ফিরেছেন শূন্য রানে। ছয় বলে ১১ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক ও অপর ওপেনার তামিম। পরে শান্তকে নিয়ে জোড়া ধাক্কা সামাল দেন মুশফিক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৮ রানের জুটি ভাঙে শান্তর বিদায়ে। ঠিক সময়ে দৌড় শুরু করলে হয়তো বাঁহাতি ওপেনার রান আউটের হাত থেকে বাঁচতে পারতেন। ৭১ বলে ৫৩ রানে আউট হন শান্ত। দলীয় সংগ্রহ দেড় শ’ পার হতে সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিকও। ৯৩ বলে ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। এর মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই শুরু করেন সাকিব। এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ৭১ বলে ৭৫ রানে আউট হন সাকিব। এ ছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৪ বলে ১৫ রান করেন। শেষ ৩৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র ছক্কাটি মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ ছাড়া ইনিংসে শান্ত পাঁচটি, মুশফিক ছয়টি ও সাকিব সাতটি বাউন্ডারি হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২৪৬। বাংলাদেশকে ইংল্যান্ড অলআউট করেছে সম্মিলিত বোলিং প্রচেষ্টায়। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন পেসার জফরা আর্চার। দু’টি করে শিকার স্যাম কারান ও আদিল রশিদের। খালি হাতে ফেরেননি ক্রিস ওকস, অভিষিক্ত রেহান আহমেদও। জবাবে খেলতে নেমে দুই ওপেনার জেসন রয় ও ফিল সল্টের ব্যাটে ভালো শুরু পায় সফরকারীরা। দুই ওপেনার মিলে তুলে ফেলেন ৫৪ রান। ফিল সল্টকে (৩৫) বিদায় করে জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারেই আঘাত হানেন তাসকিনের বদলি এবাদত। এবার তিনে নামা দাভিদ মালানকে (০) রানের খাতা খুলতে দেননি ডানহাতি এই পেসার। মিডঅনে সহজ ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের ওভারের প্রথম বলেই আরেক ওপেনার রয়কে (১৯) বোল্ড করেন সাকিব। এই সময়ে মাত্র ১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। চাপে ইংল্যান্ডের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন স্যাম কারান ও জেমস ভিন্স। দুইজনের জুটিতে ৪৯ রান। ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে উঠে আসা কারান ২৩ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভিন্সও। ব্যক্তিগত ২৬ রানে তিনি বিদায় নেন সাকিবের তৃতীয় শিকার হয়ে। এর কিছুক্ষণ পর ফের এবাদতের আঘাত। এবার ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীকে (২) সরাসরি বোল্ড করেন। ইংল্যান্ডের দলীয় দেড় শ’ পার হওয়ার পর আঘাত হানেন তাইজুল। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে (২৬) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ১৫৮ রানে ৭ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি। পরের ৩৮ রান তুলতেই বাকি ৩ উইকেট হারায় বাটলার-বাহিনী। শেষ দিকে ক্রিস ওকসের ৩৪ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তাতেই ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ২ উইকেট করে ঝুলিতে পুরেছেন তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। আর একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬/১০ (সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭০, শান্ত ৫৩; আর্চার ৩৫/৩, কারান ৫১/২, আদিল ২১/২) ইংল্যান্ড: ৪৩.১ ওভারে ১৯৬/১০ (ভিন্স ৩৮, সল্ট ৩৫, ওকস ৩৪; সাকিব ৩৫/৪, এবাদত ৩৮/২, তাইজুল ৫২/২) ফলাফল: বাংলাদেশ ৫০ রানে জয়ী সিরিজ: ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) সিরিজ সেরা : আদিল রশিদ (ইংল্যান্ড)।