ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাকিবকে নিয়েও ওয়াটসনের কাছে হারল সানরাইজার্স

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
  • / ২৮৫ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক:
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথম ম্যাচে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। টানা আট ম্যাচ বসিয়ে রাখার পর আজ কেন উইলিয়ামসনের জায়গায় সাকিবকে দলে ফিরিয়েছিল সানরাইজার্স। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের ভাগ্যটাই খারাপ। আজও ব্যাট করতে নামার সুযোগ পাননি। তবে বল হাতে ভালোই করেছেন। ডেভিড ওয়ার্নারের টানা পঞ্চম ফিফটি (৫৭) আর মনীশ পা-ের অপরাজিত ৮৩ রানে ৩ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছিল সানরাইজার্স। তাড়া করতে নেমে সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়েছিলেন শেন ওয়াটসন। ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি এই অস্ট্রেলিয়ান। তবে ওয়াটসনের ৬ ছক্কা ও ৯ চারে ৫৩ বলে ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল হাতে রেখে ঠিকই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই। এই জয়ে ১১ ম্যাচে মোট ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে থাকল সানরাইজার্স। রশিদ খানের মতো বিশেষজ্ঞ স্পিনার থাকতেও নতুন বলে সাকিবের ওপর ভরসা রেখেছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক ভুবনেশ্বর কুমার। চতুর্থ ও সপ্তম ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন এই পেসার। নিজের প্রথম স্পেলে প্রথম দুই ওভারে সাকিব দিয়েছেন যথাক্রমে ৮ ও ৯ রান। ততক্ষণে শেন ওয়াটসন-সুরেশ রায়না জুটি উইকেটে জমে গেছেন। ১০ম ওভারে রায়নাকে (২৪ বলে ৩৮) তুলে নেন রশিদ খান। পৌঁছে শেষ দিকে আফগান লেগ স্পিনারকে তোপের মুখে রেখেছিলেন ওয়াটসন-রাইড়ু জুটি। ১৩তম ওভার শেষে ৪২ বলে ৬৭ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। ১৪তম ওভারে রশিদের কাছ (তাঁর তৃতীয় ওভার) থেকে ১৬ রান ছিনিয়ে নেন ওয়াটসন-রাইড়ু। আর নিজের শেষ ওভার করতে এসে ১৫ রান দিয়েছেন রশিদ। সেটি ছিল চেন্নাইয়ের ইনিংসে ১৬তম ওভার। ওই ওভারে রশিদ ১৫ রান দেওয়ার পর জয়টা প্রায় হাতের মুঠোয় চলে আসে চেন্নাইয়ের। ২৪ বলে দরকার ছিল ২৬ রান। নিজের শেষ দুই ওভারে ৩১ রান দেওয়ায় রশিদের বোলিং ফিগার আর দৃষ্টিসুখকর (৪ ওভারে ৪৪ রানে ১ উইকেট) থাকেনি। সাকিব উইকেট না পেলেও সে তুলনায় যথেষ্ট কিপটে ছিলেন। ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান। এর মধ্যে নিজের শেষ দুই ওভারে ৫ রান করে দিয়েছেন মাত্র ১০ রান। দ্বিতীয় উইকেটে রায়নাকে নিয়ে ৪৪ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন ওয়াটসন। তৃতীয় উইকেটে রাইড়ুর সঙ্গে ৪৩ বলে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দোরগড়ায় পৌঁছে দেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অলরাউন্ডার। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ভুবনেশ্বর কুমার তাঁকে তুলে নেওয়ার পর ১৭ বলে ১৬ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। এখান থেকে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। দ্বিতীয় বলে কেদার যাদব ছক্কা মারায় লক্ষ্যটা সহজ হয়ে যায় চেন্নাইয়ের জন্য। কিন্তু ৩ বলে ১ রানের সমীকরণে থাকতে ক্যাচ দেন রাইড়ু (২৫ বলে ২১)। আগের দুই ম্যাচে হারা চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ১ বল হাতে রেখেই নোঙর করে জয়ের বন্দরে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাকিবকে নিয়েও ওয়াটসনের কাছে হারল সানরাইজার্স

আপলোড টাইম : ০৯:১৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

খেলাধুলা ডেস্ক:
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথম ম্যাচে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। টানা আট ম্যাচ বসিয়ে রাখার পর আজ কেন উইলিয়ামসনের জায়গায় সাকিবকে দলে ফিরিয়েছিল সানরাইজার্স। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের ভাগ্যটাই খারাপ। আজও ব্যাট করতে নামার সুযোগ পাননি। তবে বল হাতে ভালোই করেছেন। ডেভিড ওয়ার্নারের টানা পঞ্চম ফিফটি (৫৭) আর মনীশ পা-ের অপরাজিত ৮৩ রানে ৩ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছিল সানরাইজার্স। তাড়া করতে নেমে সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়েছিলেন শেন ওয়াটসন। ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি এই অস্ট্রেলিয়ান। তবে ওয়াটসনের ৬ ছক্কা ও ৯ চারে ৫৩ বলে ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল হাতে রেখে ঠিকই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই। এই জয়ে ১১ ম্যাচে মোট ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে থাকল সানরাইজার্স। রশিদ খানের মতো বিশেষজ্ঞ স্পিনার থাকতেও নতুন বলে সাকিবের ওপর ভরসা রেখেছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক ভুবনেশ্বর কুমার। চতুর্থ ও সপ্তম ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন এই পেসার। নিজের প্রথম স্পেলে প্রথম দুই ওভারে সাকিব দিয়েছেন যথাক্রমে ৮ ও ৯ রান। ততক্ষণে শেন ওয়াটসন-সুরেশ রায়না জুটি উইকেটে জমে গেছেন। ১০ম ওভারে রায়নাকে (২৪ বলে ৩৮) তুলে নেন রশিদ খান। পৌঁছে শেষ দিকে আফগান লেগ স্পিনারকে তোপের মুখে রেখেছিলেন ওয়াটসন-রাইড়ু জুটি। ১৩তম ওভার শেষে ৪২ বলে ৬৭ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। ১৪তম ওভারে রশিদের কাছ (তাঁর তৃতীয় ওভার) থেকে ১৬ রান ছিনিয়ে নেন ওয়াটসন-রাইড়ু। আর নিজের শেষ ওভার করতে এসে ১৫ রান দিয়েছেন রশিদ। সেটি ছিল চেন্নাইয়ের ইনিংসে ১৬তম ওভার। ওই ওভারে রশিদ ১৫ রান দেওয়ার পর জয়টা প্রায় হাতের মুঠোয় চলে আসে চেন্নাইয়ের। ২৪ বলে দরকার ছিল ২৬ রান। নিজের শেষ দুই ওভারে ৩১ রান দেওয়ায় রশিদের বোলিং ফিগার আর দৃষ্টিসুখকর (৪ ওভারে ৪৪ রানে ১ উইকেট) থাকেনি। সাকিব উইকেট না পেলেও সে তুলনায় যথেষ্ট কিপটে ছিলেন। ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান। এর মধ্যে নিজের শেষ দুই ওভারে ৫ রান করে দিয়েছেন মাত্র ১০ রান। দ্বিতীয় উইকেটে রায়নাকে নিয়ে ৪৪ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন ওয়াটসন। তৃতীয় উইকেটে রাইড়ুর সঙ্গে ৪৩ বলে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দোরগড়ায় পৌঁছে দেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অলরাউন্ডার। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ভুবনেশ্বর কুমার তাঁকে তুলে নেওয়ার পর ১৭ বলে ১৬ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। এখান থেকে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। দ্বিতীয় বলে কেদার যাদব ছক্কা মারায় লক্ষ্যটা সহজ হয়ে যায় চেন্নাইয়ের জন্য। কিন্তু ৩ বলে ১ রানের সমীকরণে থাকতে ক্যাচ দেন রাইড়ু (২৫ বলে ২১)। আগের দুই ম্যাচে হারা চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ১ বল হাতে রেখেই নোঙর করে জয়ের বন্দরে।