ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সর্বোচ্চ মৃত্যু শনাক্তের রেকর্ড, এক দিনে মারা গেলেন ৫৩ জন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০
  • / ২০৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে হু হু করে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৩ জন মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২৬২ জনে। এটি এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। একই সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করে তিন হাজার ৮৬২ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে এ ভাইরাস। এটিও এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪ হাজার ৪৮১ জনে। এক দিনে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২৩৭ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ২৬৪ জন। গত ১২ জুনের বুলেটিনে ৩৪৭১ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এক দিনে শনাক্ত আর মৃত্যুর সেটাই ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যা।
গতকাল মঙ্গলবার করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৪০৩টি। ৬১টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ২১৪টি। এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে দশজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ২১-৩০ বছরের তিনজন, ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, ময়মনসিংহ এবং বরিশাল বিভাগের একজন করে বাসিন্দা ছিলেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন, বাসায় মারা গেছেন ১৮ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়েছে একজনকে। সারা দেশের কোথায় কোথায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নতুন রোগী শনাক্ত হলেন এবং তার সর্বশেষ খবর জানিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা- দিনাজপুর : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুর সদরে চারজন, এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে দুজন, চিরিরবন্দরে একজন, নবাবগঞ্জে একজন, ফুলবাড়ীতে একজন পুরুষ, বিরলে দুজন, বোচাগঞ্জে তিনজন, খানসামায় একজন এবং পার্বতীপুরে একজন রয়েছেন। এ নিয়ে দিনাজপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪২৭ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ৩০৮ জন, নারী ১০১ জন ও শিশু ১৮ জন রয়েছে।
বর্তমানে ২১২ জন হোম আইসোলেশনে এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ২৭ জন, হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন সুস্থসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬৯ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল কুদ্দুছ। চাঁদপুর : জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী এই নারী সোমবার রাতে উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া নন্দলালপুর এলাকায় বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নুসরাত জাহান মিথেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে এই নারী জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। ৯ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করার পর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। এই নিয়ে এ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চারজন মারা গেলেন। আর চাঁদপুর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ৩৯ জন। শেরপুর : জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পিডিবির একজন সিবিএ নেতা মারা গেছেন। ছানোয়ার হোসেন (৫৭) নামে এই সিবিএ নেতা সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যান। ছানোয়ার পিডিবির সাবেক সিবিএ সভাপতি। তিনি ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে জ্যেষ্ঠ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে দ্রুত শেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। এর আগেই তার করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। তিনি শেরপুর শহরের বাকরাকসা এলাকায় বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। এ ছাড়া জেলায় মোট ১৮৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ জন পুলিশ সদস্য, আটজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৪ জন। মারা গেছেন তিনজন। ময়মনসিংহ : জেলায় এক দিনে র‌্যাবের ১০ সদস্যসহ ১১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৫৯ জন। সোমবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৭৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন। এ ছাড়াও জেলার ১০ জন পুরাতন করোনা আক্রান্ত রোগীর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকি ৩৪ জন নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার বাসিন্দা। র‌্যাব-১৪ এর ১০ জন সদস্য ছাড়াও সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলায় ৫২ জন, ঈশ্বরগঞ্জে ১৭ জন, মুক্তাগাছায় ১৪ জন, হালুয়া ঘাটে ৯ জন, ভালুকায় ৯ জন, নান্দাইলে আটজন, গৌরীপুরে চারজন, গফরগাঁওয়ে দুজন, ফুলবাড়িয়ায় তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সর্বোচ্চ মৃত্যু শনাক্তের রেকর্ড, এক দিনে মারা গেলেন ৫৩ জন

আপলোড টাইম : ১১:১১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে হু হু করে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৩ জন মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২৬২ জনে। এটি এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। একই সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করে তিন হাজার ৮৬২ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে এ ভাইরাস। এটিও এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪ হাজার ৪৮১ জনে। এক দিনে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২৩৭ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ২৬৪ জন। গত ১২ জুনের বুলেটিনে ৩৪৭১ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এক দিনে শনাক্ত আর মৃত্যুর সেটাই ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যা।
গতকাল মঙ্গলবার করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৪০৩টি। ৬১টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ২১৪টি। এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে দশজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ২১-৩০ বছরের তিনজন, ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, ময়মনসিংহ এবং বরিশাল বিভাগের একজন করে বাসিন্দা ছিলেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন, বাসায় মারা গেছেন ১৮ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়েছে একজনকে। সারা দেশের কোথায় কোথায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নতুন রোগী শনাক্ত হলেন এবং তার সর্বশেষ খবর জানিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা- দিনাজপুর : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুর সদরে চারজন, এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে দুজন, চিরিরবন্দরে একজন, নবাবগঞ্জে একজন, ফুলবাড়ীতে একজন পুরুষ, বিরলে দুজন, বোচাগঞ্জে তিনজন, খানসামায় একজন এবং পার্বতীপুরে একজন রয়েছেন। এ নিয়ে দিনাজপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪২৭ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ৩০৮ জন, নারী ১০১ জন ও শিশু ১৮ জন রয়েছে।
বর্তমানে ২১২ জন হোম আইসোলেশনে এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ২৭ জন, হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন সুস্থসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬৯ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল কুদ্দুছ। চাঁদপুর : জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী এই নারী সোমবার রাতে উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া নন্দলালপুর এলাকায় বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নুসরাত জাহান মিথেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে এই নারী জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। ৯ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করার পর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। এই নিয়ে এ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চারজন মারা গেলেন। আর চাঁদপুর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ৩৯ জন। শেরপুর : জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পিডিবির একজন সিবিএ নেতা মারা গেছেন। ছানোয়ার হোসেন (৫৭) নামে এই সিবিএ নেতা সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যান। ছানোয়ার পিডিবির সাবেক সিবিএ সভাপতি। তিনি ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে জ্যেষ্ঠ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে দ্রুত শেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। এর আগেই তার করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। তিনি শেরপুর শহরের বাকরাকসা এলাকায় বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। এ ছাড়া জেলায় মোট ১৮৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ জন পুলিশ সদস্য, আটজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৪ জন। মারা গেছেন তিনজন। ময়মনসিংহ : জেলায় এক দিনে র‌্যাবের ১০ সদস্যসহ ১১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৫৯ জন। সোমবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৭৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন। এ ছাড়াও জেলার ১০ জন পুরাতন করোনা আক্রান্ত রোগীর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকি ৩৪ জন নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার বাসিন্দা। র‌্যাব-১৪ এর ১০ জন সদস্য ছাড়াও সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলায় ৫২ জন, ঈশ্বরগঞ্জে ১৭ জন, মুক্তাগাছায় ১৪ জন, হালুয়া ঘাটে ৯ জন, ভালুকায় ৯ জন, নান্দাইলে আটজন, গৌরীপুরে চারজন, গফরগাঁওয়ে দুজন, ফুলবাড়িয়ায় তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।