ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সরিষাডাঙ্গায় শ্বশুরের নির্যাতনে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯
  • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গায় শ্বশুরের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়ার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ও আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার আবু শামার মেয়ে হিরা খাতুন (২৪)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরা জানান, পারিবারিকভাবে ৬ বছর পূর্বে সরিষাডাঙ্গার রিয়াদ আলীর ছেলে হাবিবুরের সাথে তার বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর হাবিবুর মালয়েশিয়া চলে যায়। এরপর থেকেই শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় ও তাকে মারধরের ঘটনায় হিরা তার বাপের বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে, শ্বশুর বাড়িতে পড়ে থাকা তার কিছু আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যে কারণে শুক্রবার শ্বশুর বাড়িতে কিছু জিনিসপত্র আনতে গেলে শ্বশুরের সাথে বাকবিতন্ডা বাধে। এরই একপর্যায়ে শ্বশুর রিয়াদ আলী হিরাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে গালমন্দ ও কটু কথা বলতে থাকে। শ্বশুরের থেকে এমন নির্যাতন সইতে না পেরে সে পাশের দোকান থেকে ইদুর মারা বিষ কিনে সেবন করে। পরে স্থানীয়রা হিরাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সরিষাডাঙ্গায় শ্বশুরের নির্যাতনে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

আপলোড টাইম : ০৯:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গায় শ্বশুরের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়ার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ও আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার আবু শামার মেয়ে হিরা খাতুন (২৪)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরা জানান, পারিবারিকভাবে ৬ বছর পূর্বে সরিষাডাঙ্গার রিয়াদ আলীর ছেলে হাবিবুরের সাথে তার বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর হাবিবুর মালয়েশিয়া চলে যায়। এরপর থেকেই শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় ও তাকে মারধরের ঘটনায় হিরা তার বাপের বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে, শ্বশুর বাড়িতে পড়ে থাকা তার কিছু আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যে কারণে শুক্রবার শ্বশুর বাড়িতে কিছু জিনিসপত্র আনতে গেলে শ্বশুরের সাথে বাকবিতন্ডা বাধে। এরই একপর্যায়ে শ্বশুর রিয়াদ আলী হিরাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে গালমন্দ ও কটু কথা বলতে থাকে। শ্বশুরের থেকে এমন নির্যাতন সইতে না পেরে সে পাশের দোকান থেকে ইদুর মারা বিষ কিনে সেবন করে। পরে স্থানীয়রা হিরাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।