ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সরকারি জোটে দ্রোহের আগুন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৩১২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: যতই দিন গড়াচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের রাজনীতিতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। গত জাতীয় নির্বাচনে জোটের মনোনয়ন এবং সরকার গঠনের ইস্যুতে সৃষ্ট দূরত্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। নির্বাচনের পরিবেশ ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে খোদ জোটের শরিক দলগুলো। এর মাধ্যমে সরকারি জোটে দ্রোহের আগুন ফুটে উঠছে, আর শঙ্কার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে জোটের ভবিষ্যৎ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে জোটের মনোনয়ন এবং সরকার গঠনে একক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। দুটো ক্ষেত্রে উপেক্ষিত থেকেছে ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর এখন প্রকাশ্যে কথা বলতে শুরু করেছেন। যা জোটের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ আনতে পারে। তথ্য মতে, সরকার গঠনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর মধ্যে মান-অভিমান চলছিল। এরপর জোটের শরিকদের সংসদে এবং বাইরের ভূমিকা ইস্যুতে অনেকটা টানাপড়েন চলছে। ১৪ দলের শরিকরা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে, আওয়ামী লীগের নেতারা এমন অভিমত দিচ্ছেন বেশ কিছুদিন। আর এ ধরনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নন ১৪ দলের নেতারা। তারা বলছেন- আমরা জোটের প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করেছি, এখন বিরোধী দলের ভূমিকায় যাবো কেন?
সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জোটের প্রার্থী নির্বাচনে অখুশি ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো। জোটের প্রতীক নৌকার প্রার্থী হয়ে অন্তত ৩০ জন নেতা সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তা ভঙ্গ হয়েছে। নতুন তো নয়ই, বরং গত মেয়াদের চেয়ে কমেছে প্রার্থী সংখ্যা। ১৪ দলের কয়েকজন নেতাকে প্রথমে প্রার্থী করা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তা বাতিল করা হয়। মনোনয়ন চেয়েও পাননি জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ নাজমুল হক প্রধান, শেখ হাফিজুর রহমানসহ একাধিক নেতা। শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ অনেককে মনোনয়ন দেয়া হলেও পরে বাদ দেয়া হয়। এরপর অনেকেই আশা করেছিলেন- ঠাঁই পাবেন মন্ত্রিসভায়। কিন্তু সেখানেও হতাশ হয়েছে। গঠিত মন্ত্রিসভায় ১৪ দলের কাউকে রাখেননি শেখ হাসিনা। এরপর বিরোধী দলে ঠেলে দেয়ার চেষ্টায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে ১৪ দল। যা নিয়ে ভেতরগত অন্তর্দহনে ভুগছে জোটের শীর্ষ নেতারা। গত মাসখানেক ধরে চলা এমন টানাপড়েনে আগুন ঢেলে দিয়েছে সরকারি জোটের শরিক দল বাংলাদেশ জাসদ। গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাসদ-এর জাতীয় কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়- দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণ উদ্দীপনা ও আশা নিয়ে অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচনের পরে বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়েছে গোটা জাতি। এর মূল কারণ হচ্ছে প্রশাসনের এক শ্রেণির অতিউৎসাহী অংশ ভোটের পূর্ব রাতেই ভুয়া ভোটের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখাসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত করেছে। আরও দাবি করা হয়- জনগণের ভোটের মাধ্যমে ১৪ দল তথা মহাজোটের নিশ্চিত বিজয় জেনেও যে মহলবিশেষ এ অপকর্ম সংঘটিত করেছে, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। কেননা এ কলঙ্কিত ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। এ কলঙ্কের দাগ মুছতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জোটের শরিক হয়ে এ ধরনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, আমাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানিয়েছি। প্রশ্নবিদ্ধ করেছে কিছু কিছু কর্মকর্তা। আমরা নির্বাচন বাতিল চাইনি, তবে তাদের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, এটা আমরা বলেছি। একই সঙ্গে ওইসব কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। একই অভিমত ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। এদিকে, জোটের একটি শরিক দলের এমন মূল্যায়ন নিয়ে ভিন্ন অভিমত রয়েছে অন্য দলগুলোর মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন- মূল্যায়ন সঠিক হয়নি, আবার অনেকে বলছেন- নির্বাচনে তো অনিয়ম হয়েছেই। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন প্রতিবেদককে বলেন, তারা এ ধরনের বক্তব্য কোন তথ্যের ভিত্তিতে বলেছে- সেটা আমার জানা নেই। এটা তাদের বক্তব্য। তবে এটা সত্য যারা ভোট দিতে পারে না, তারা তো আহত ও উদ্বিগ্ন হয়ই। সে ঘটনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো ঘটেছে। তবে ভিন্নমত বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের। দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি বলেন, এসব তথ্য অবান্তর ও অযৌক্তিক। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস. কে সিকদার বলেন, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সারাবিশ্বে স্বীকৃতি মিলছে। কোথাও অনিয়ম হয়েছে, এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। নির্বাচন নিয়ে জোটের শরিক দলের এমন মূল্যায়নে বিব্রত আওয়ামী লীগ। নিজেদের আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়নি বলে ক্ষোভের কারণে তারা এসব বলছে বলে মনে করছেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। তবে এ কারণে জোটে ফাটল ধরার সুযোগ নেই বলে জানান তারা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে রাজনীতি করে। গত নির্বাচনে নুরুল আম্বিয়া মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন, তাকে দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু ঐ এলাকার জনগণের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় তা প্রত্যাহার করা হয় । তার দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানও মনোনয়ন চেয়ে পাননি । এ কারণেই মূলত তারা ক্ষোভের অংশ হিসাবে এসব বলছেন । বাস্তবে যার কোনো মিল নেই, কোন মহলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, এটি তারা কোথা থেকে তথ্য নিয়ে বললেন আমরা জানি না। ১৪ দলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে এবং তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সরকারি জোটে দ্রোহের আগুন

আপলোড টাইম : ০২:১৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন: যতই দিন গড়াচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের রাজনীতিতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। গত জাতীয় নির্বাচনে জোটের মনোনয়ন এবং সরকার গঠনের ইস্যুতে সৃষ্ট দূরত্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। নির্বাচনের পরিবেশ ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে খোদ জোটের শরিক দলগুলো। এর মাধ্যমে সরকারি জোটে দ্রোহের আগুন ফুটে উঠছে, আর শঙ্কার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে জোটের ভবিষ্যৎ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে জোটের মনোনয়ন এবং সরকার গঠনে একক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। দুটো ক্ষেত্রে উপেক্ষিত থেকেছে ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর এখন প্রকাশ্যে কথা বলতে শুরু করেছেন। যা জোটের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ আনতে পারে। তথ্য মতে, সরকার গঠনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর মধ্যে মান-অভিমান চলছিল। এরপর জোটের শরিকদের সংসদে এবং বাইরের ভূমিকা ইস্যুতে অনেকটা টানাপড়েন চলছে। ১৪ দলের শরিকরা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে, আওয়ামী লীগের নেতারা এমন অভিমত দিচ্ছেন বেশ কিছুদিন। আর এ ধরনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নন ১৪ দলের নেতারা। তারা বলছেন- আমরা জোটের প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করেছি, এখন বিরোধী দলের ভূমিকায় যাবো কেন?
সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জোটের প্রার্থী নির্বাচনে অখুশি ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো। জোটের প্রতীক নৌকার প্রার্থী হয়ে অন্তত ৩০ জন নেতা সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তা ভঙ্গ হয়েছে। নতুন তো নয়ই, বরং গত মেয়াদের চেয়ে কমেছে প্রার্থী সংখ্যা। ১৪ দলের কয়েকজন নেতাকে প্রথমে প্রার্থী করা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তা বাতিল করা হয়। মনোনয়ন চেয়েও পাননি জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ নাজমুল হক প্রধান, শেখ হাফিজুর রহমানসহ একাধিক নেতা। শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ অনেককে মনোনয়ন দেয়া হলেও পরে বাদ দেয়া হয়। এরপর অনেকেই আশা করেছিলেন- ঠাঁই পাবেন মন্ত্রিসভায়। কিন্তু সেখানেও হতাশ হয়েছে। গঠিত মন্ত্রিসভায় ১৪ দলের কাউকে রাখেননি শেখ হাসিনা। এরপর বিরোধী দলে ঠেলে দেয়ার চেষ্টায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে ১৪ দল। যা নিয়ে ভেতরগত অন্তর্দহনে ভুগছে জোটের শীর্ষ নেতারা। গত মাসখানেক ধরে চলা এমন টানাপড়েনে আগুন ঢেলে দিয়েছে সরকারি জোটের শরিক দল বাংলাদেশ জাসদ। গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাসদ-এর জাতীয় কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়- দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণ উদ্দীপনা ও আশা নিয়ে অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচনের পরে বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়েছে গোটা জাতি। এর মূল কারণ হচ্ছে প্রশাসনের এক শ্রেণির অতিউৎসাহী অংশ ভোটের পূর্ব রাতেই ভুয়া ভোটের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখাসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত করেছে। আরও দাবি করা হয়- জনগণের ভোটের মাধ্যমে ১৪ দল তথা মহাজোটের নিশ্চিত বিজয় জেনেও যে মহলবিশেষ এ অপকর্ম সংঘটিত করেছে, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। কেননা এ কলঙ্কিত ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। এ কলঙ্কের দাগ মুছতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জোটের শরিক হয়ে এ ধরনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, আমাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানিয়েছি। প্রশ্নবিদ্ধ করেছে কিছু কিছু কর্মকর্তা। আমরা নির্বাচন বাতিল চাইনি, তবে তাদের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, এটা আমরা বলেছি। একই সঙ্গে ওইসব কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। একই অভিমত ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। এদিকে, জোটের একটি শরিক দলের এমন মূল্যায়ন নিয়ে ভিন্ন অভিমত রয়েছে অন্য দলগুলোর মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন- মূল্যায়ন সঠিক হয়নি, আবার অনেকে বলছেন- নির্বাচনে তো অনিয়ম হয়েছেই। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন প্রতিবেদককে বলেন, তারা এ ধরনের বক্তব্য কোন তথ্যের ভিত্তিতে বলেছে- সেটা আমার জানা নেই। এটা তাদের বক্তব্য। তবে এটা সত্য যারা ভোট দিতে পারে না, তারা তো আহত ও উদ্বিগ্ন হয়ই। সে ঘটনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো ঘটেছে। তবে ভিন্নমত বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের। দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি বলেন, এসব তথ্য অবান্তর ও অযৌক্তিক। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস. কে সিকদার বলেন, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সারাবিশ্বে স্বীকৃতি মিলছে। কোথাও অনিয়ম হয়েছে, এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। নির্বাচন নিয়ে জোটের শরিক দলের এমন মূল্যায়নে বিব্রত আওয়ামী লীগ। নিজেদের আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়নি বলে ক্ষোভের কারণে তারা এসব বলছে বলে মনে করছেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। তবে এ কারণে জোটে ফাটল ধরার সুযোগ নেই বলে জানান তারা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে রাজনীতি করে। গত নির্বাচনে নুরুল আম্বিয়া মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন, তাকে দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু ঐ এলাকার জনগণের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় তা প্রত্যাহার করা হয় । তার দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানও মনোনয়ন চেয়ে পাননি । এ কারণেই মূলত তারা ক্ষোভের অংশ হিসাবে এসব বলছেন । বাস্তবে যার কোনো মিল নেই, কোন মহলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, এটি তারা কোথা থেকে তথ্য নিয়ে বললেন আমরা জানি না। ১৪ দলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে এবং তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।