ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সন্তান আল্লাহর নেয়ামত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:১৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন: প্রত্যেক মা-বাবা-ই সন্তানের নিরাপদ ও সুখী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানকে যেন কখনো অভাবে ভুগতে না হয়, সে জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। রাতদিন একাকার করে খেটে যান কলিজার টুকরো সন্তানের জন্য। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতি। ইসলাম এ ব্যাপারটিতে উৎসাহ দেয়। মহানবী (সা.) হজরত সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘তোমার উত্তরাধিকারীদের সচ্ছল রেখে যাওয়া অসহায় রেখে যাওয়ার চাইতে অধিক উত্তম।’ (মুসলিম) তবে দুঃখজনক বিষয় হলো, আজকাল সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রয়াস লক্ষণীয় হলেও তাদের আখেরাত বিনির্মাণের চেষ্টা তেমন চোখে পড়ে না। অথচ পার্থিবভাবে তাকে স্বাবলম্বী করে তোলার চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদের সৎকর্মপরায়ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।

মহান আল্লাহর শ্রেষ্ট নেয়ামত কন্যা সন্তান!

কারণ সৎ সন্তানরাই মা-বাবার জন্য আল্লাহর দেওয়া অমূল্য সম্পদ ও নেয়ামত। যে সম্পদ হারিয়ে যাবে না কখনো। মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকবে তাদের কল্যাণধারা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সকল নেক আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র তিনটি পথ খোলা থাকে। এক. সদকায়ে জারিয়া তথা এমন দান যে দানের প্রতিদান সদা চলমান থাকে। দুই. এমন জ্ঞান, যা থেকে মানুষ উপকৃত হতে থাকে। তিন. সৎ সন্তান, যে আমৃত্যু তাঁর জন্য দোয়া করতে থাকে।’ (মুসলিম) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেন, মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার আমলের সমাপ্তি ঘটে। সওয়াব লাভের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে এ তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে সওয়াব ও প্রতিদান বন্ধ হয় না। কারণ, এই বিষয়গুলোতে খুব গভীরভাবে সে জড়িয়ে আছে। (শরহুন নববি)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সন্তান আল্লাহর নেয়ামত

আপলোড টাইম : ০৩:১৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

ধর্ম প্রতিবেদন: প্রত্যেক মা-বাবা-ই সন্তানের নিরাপদ ও সুখী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানকে যেন কখনো অভাবে ভুগতে না হয়, সে জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। রাতদিন একাকার করে খেটে যান কলিজার টুকরো সন্তানের জন্য। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতি। ইসলাম এ ব্যাপারটিতে উৎসাহ দেয়। মহানবী (সা.) হজরত সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘তোমার উত্তরাধিকারীদের সচ্ছল রেখে যাওয়া অসহায় রেখে যাওয়ার চাইতে অধিক উত্তম।’ (মুসলিম) তবে দুঃখজনক বিষয় হলো, আজকাল সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রয়াস লক্ষণীয় হলেও তাদের আখেরাত বিনির্মাণের চেষ্টা তেমন চোখে পড়ে না। অথচ পার্থিবভাবে তাকে স্বাবলম্বী করে তোলার চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদের সৎকর্মপরায়ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।

মহান আল্লাহর শ্রেষ্ট নেয়ামত কন্যা সন্তান!

কারণ সৎ সন্তানরাই মা-বাবার জন্য আল্লাহর দেওয়া অমূল্য সম্পদ ও নেয়ামত। যে সম্পদ হারিয়ে যাবে না কখনো। মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকবে তাদের কল্যাণধারা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সকল নেক আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র তিনটি পথ খোলা থাকে। এক. সদকায়ে জারিয়া তথা এমন দান যে দানের প্রতিদান সদা চলমান থাকে। দুই. এমন জ্ঞান, যা থেকে মানুষ উপকৃত হতে থাকে। তিন. সৎ সন্তান, যে আমৃত্যু তাঁর জন্য দোয়া করতে থাকে।’ (মুসলিম) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেন, মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার আমলের সমাপ্তি ঘটে। সওয়াব লাভের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে এ তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে সওয়াব ও প্রতিদান বন্ধ হয় না। কারণ, এই বিষয়গুলোতে খুব গভীরভাবে সে জড়িয়ে আছে। (শরহুন নববি)