ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংস্কাবিহীন সড়কগুলোতে জনগণের দুর্ভোগই সঙ্গী!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

আজকের স্পট : চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক
গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার হ্যাট্টিক চেয়ারম্যান হয়েও বাড়ির সামনের সড়কটিই সংস্কারে ব্যর্থ
এম এ মামুন:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সকল সড়কের বেহাল দশার দীর্ঘদিনেও উন্নয়ন হয়নি। এই ইউনিয়নের সংস্কারবিহীন সড়কগুলো যেন এলাকার জনগণের জনদুর্ভোগই সঙ্গী। দেখলে মনে হবে এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখার যেন কেউ নেই। বর্ষা কিংকা খরা, সব মৌসুমেই এই ইউনিয়নের প্রতিটি সড়ক চলাচলের একবারেই অনুপযোগী বললেও ভুল হবে না এবং এমন অভিযোগ এলাকার জনসাধারণের। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে মোমিনপুর এলাকায় সমস্যার চিত্র ধারণ করতে গলে এলাকাবাসী তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এলাকাবাসী বলেন, মোমিনপুর ইউনিয়নের সব সড়কে এলাকার যানবাহন ও জনসাধরণকে চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে থাকলেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই। মাথা ব্যথা শুধু ভুক্তভোগী জনতার। তাই তারা আমাদের আহালের কথা জানাচ্ছি গণ্যমাধ্যম প্রতিনিধির কাছে। ভুক্তভোগীদের আরও অভিযোগ, প্রতিনিতই কেউ না কেউ দুর্ঘটনাতে পতিত হচ্ছে। তারপরেও জনসাধারণের এমন মৌলিক সমস্যার সমাধনে এগিয়ে আসছেন না খোদ তিন তিনবারের বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের জেলা কৃষক লীগ সভাপতি গোলামা ফারুক জোয়ার্দ্দার ও তাঁর ওয়ার্ড মেম্বাররা।
পাঠক যে সড়কটি নিয়ে এতো কথা এতো অভিযোগ, এই প্রতিবেদনে সে তথ্য জানার পরে আপনারও মনে হবে আসলেই জনপ্রতিনিধিারা জনগণের উন্নয়নের কথা বলে ভোট নিলেও ভোটের পরে সে কথা আমুল ভুলে যায়। তার প্রমাণ দীর্ঘ তিন তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ক্ষতাসীন দলের নেতা হবার পরেও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের আমলে তারই বাড়ির সামনের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির যখন সংস্কার হয় না তখন জনসাধারণের অভিযোগটা সহজেই হালাল বলে মনে হয়।
সম্মানিত পাঠক যে সড়কটির কথা বলা দরকার। আপনি কখনো যদি কোনো প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঐত্যিবাহী নীলমনি মৈত্র বাবুর নীলমণিগঞ্জে যান, তাহলে আপনার চোখে পড়বে নীলমনিগঞ্জ পিটিআই মোড় থেকে ঘোলদাঁড়ী ও ঘোলদাঁড়ী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশার চিত্র। দেখবেন সেই কবে যে এই সড়কের নির্মাণ বা সংস্কার হয়েছে, তার কথা মানুষ ভুলে গেছে। আবার এমনও মনে হবে এই সমস্যা দেখার যেন কেউ নেই।
বিশেষ করের পিটিআই মোড় থেকে নীলমনিগঞ্জ মোমিনপুর, সরিষাডাঙ্গা, বলিয়ারপুর, নাগদাহ গ্রাম হয়ে ঘোলদাঁড়ী বাজার হয়ে জাহাপুর। অপর দিকে, নাগদহ হয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের পিচ উঠে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও সড়কের দুধারের মাটি সরে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। বর্তমানে বর্ষায় সড়কের গর্তে পানি জমে আছে ফলে কাঁদাজলে এসব সড়কে জনসাধারণ ও যানচলাচল চরম ঝুঁকি এবং জনসাধরণকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
এলাকার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের জনৈকা মহিলা অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি এতটাই খারাপ, তার আর বলার কথা না, আমরা সড়কের এমন করুণ দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে আছি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন, সড়কের সমস্যা সমাধান করে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমান ক্ষতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন কৃষক লীগের নেতা গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার এই ইউনিয়নের পরপর তিন তিনবারের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি তার গ্রাম মোমিনপুর গ্রামের বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যাওয়া সড়কটির চিত্র দেখলে মনে হবে না, এই ইউনিয়নে প্রকৃতপক্ষে কোনো চেয়ারম্যান আছে।
অনেকে বলেন, চেয়ারম্যান গত ১৫ বছর ধরে যদি তার বাড়ির পাশের সড়ক সংস্কার না করতে পারে, তাহলে বুঝতেই পারছেন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে হেট্রিক করে ইউনিয়নবাসীর কী লাভ হলো? এমনই নানা বয়সের নানান ইউনিয়নবাসী তাদের নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরল, যা তাদের মৌলিক অধিকার। আর এই মৌলিক অধিকারের জন্য তারা গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারকে ভোট দিয়েছিল। এলাকাবাসী জানান, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বাররা ভোটের আগে এলাকাবাসীকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পরে তারা উন্নয়নের কথায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারহীন সড়কগুলো যেন আমাদের দুর্ভোগই সঙ্গী হয়েছে।
সরিষাডাঙ্গা ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম জানান, জনগণের সমস্যার কথা জনপ্রতিনিধিরা না ভাবলে কী এলাকাবাসীর উন্নয়ন হবে না। দীর্ঘদিন ইউপি চেয়ারে যারা আছেন, তাদের উচিত এলাকার মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে সড়কের সংস্কার কাজটি হাতে নেওয়া। তিনি আরও বলেন, এই সড়কে এলাকার ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে বা আমাদের বিশেষ প্রয়োজনে বাজার ঘাটে এবং চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে চরম কষ্ট হয়। কোনো ভ্যান বা অটো নিয়ে বা বাইসাইকেল মোটরসাইকেলে চলাচল করা ঝুকিপূর্ণ। এছাড়াও এলাকার কৃষি ফসলসহ বিভিন্ন মালামাল বাজারে তোলা বা বিক্রয় করাও কঠিন হয়। আমি বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, এই সড়কের সংস্কার কাজ হাতে নিয়ে এলাকাবাসীকে জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের সাথে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে একই ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নিপুল মোমিনপুর ইউনিয়নের সড়কের বেহাল দশা ও জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, মোমিনপুর ইউনিয়নের সকল সড়কের অবস্থা খারাপ। এসব সড়কে জনসাধারণকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা জনপতিনিধি ঠিকই কিšু সড়কের এই সমস্যা সমাধানে আমাদের যতটুকু চেষ্টা করে যাচ্ছি, আবার যখন বাজেট আসবে তখন সংস্কার হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারতো প্রতি বছর সড়কের সংস্কার করবে না। গত ৫ বছর আগে এই সড়কটির সংস্কার হয়েছে, এত অল্প সময়ে নষ্ট হবার কথা নয়। যখন এসব সড়কের সংস্কার কাজ হয়, তখন যদি সঠিক এবং যথাযথভাবে তদারকি করে সড়কের সংস্কার বুঝে নেওয়া হয়, তাহলে সড়কগুলো এতো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না জনগণেরও এমন ভোগান্তি হয় না।
ইউপি সদস্যের বক্তব্যে স্পষ্ট যে এসব সড়কের উন্নয়ন চলাকালে সঠিক তদারকির অভাবে সংশ্লিষ্ট সে সময়ের ঠিকাদারদের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। এই এলাকার মানুষের জনপ্রতিদনিধিদের কাছে সর্বশেষ একটাই দাবি, অবিলম্বে পিটিআই মোড় থেকে ঘোলদাড়ী ও মুন্সীগঞ্জ সড়কের সংস্কার করে জনদুর্ভোগ থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দেওয়া হোক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সংস্কাবিহীন সড়কগুলোতে জনগণের দুর্ভোগই সঙ্গী!

আপলোড টাইম : ০৮:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

আজকের স্পট : চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক
গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার হ্যাট্টিক চেয়ারম্যান হয়েও বাড়ির সামনের সড়কটিই সংস্কারে ব্যর্থ
এম এ মামুন:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সকল সড়কের বেহাল দশার দীর্ঘদিনেও উন্নয়ন হয়নি। এই ইউনিয়নের সংস্কারবিহীন সড়কগুলো যেন এলাকার জনগণের জনদুর্ভোগই সঙ্গী। দেখলে মনে হবে এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখার যেন কেউ নেই। বর্ষা কিংকা খরা, সব মৌসুমেই এই ইউনিয়নের প্রতিটি সড়ক চলাচলের একবারেই অনুপযোগী বললেও ভুল হবে না এবং এমন অভিযোগ এলাকার জনসাধারণের। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে মোমিনপুর এলাকায় সমস্যার চিত্র ধারণ করতে গলে এলাকাবাসী তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এলাকাবাসী বলেন, মোমিনপুর ইউনিয়নের সব সড়কে এলাকার যানবাহন ও জনসাধরণকে চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে থাকলেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই। মাথা ব্যথা শুধু ভুক্তভোগী জনতার। তাই তারা আমাদের আহালের কথা জানাচ্ছি গণ্যমাধ্যম প্রতিনিধির কাছে। ভুক্তভোগীদের আরও অভিযোগ, প্রতিনিতই কেউ না কেউ দুর্ঘটনাতে পতিত হচ্ছে। তারপরেও জনসাধারণের এমন মৌলিক সমস্যার সমাধনে এগিয়ে আসছেন না খোদ তিন তিনবারের বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের জেলা কৃষক লীগ সভাপতি গোলামা ফারুক জোয়ার্দ্দার ও তাঁর ওয়ার্ড মেম্বাররা।
পাঠক যে সড়কটি নিয়ে এতো কথা এতো অভিযোগ, এই প্রতিবেদনে সে তথ্য জানার পরে আপনারও মনে হবে আসলেই জনপ্রতিনিধিারা জনগণের উন্নয়নের কথা বলে ভোট নিলেও ভোটের পরে সে কথা আমুল ভুলে যায়। তার প্রমাণ দীর্ঘ তিন তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ক্ষতাসীন দলের নেতা হবার পরেও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের আমলে তারই বাড়ির সামনের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির যখন সংস্কার হয় না তখন জনসাধারণের অভিযোগটা সহজেই হালাল বলে মনে হয়।
সম্মানিত পাঠক যে সড়কটির কথা বলা দরকার। আপনি কখনো যদি কোনো প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঐত্যিবাহী নীলমনি মৈত্র বাবুর নীলমণিগঞ্জে যান, তাহলে আপনার চোখে পড়বে নীলমনিগঞ্জ পিটিআই মোড় থেকে ঘোলদাঁড়ী ও ঘোলদাঁড়ী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশার চিত্র। দেখবেন সেই কবে যে এই সড়কের নির্মাণ বা সংস্কার হয়েছে, তার কথা মানুষ ভুলে গেছে। আবার এমনও মনে হবে এই সমস্যা দেখার যেন কেউ নেই।
বিশেষ করের পিটিআই মোড় থেকে নীলমনিগঞ্জ মোমিনপুর, সরিষাডাঙ্গা, বলিয়ারপুর, নাগদাহ গ্রাম হয়ে ঘোলদাঁড়ী বাজার হয়ে জাহাপুর। অপর দিকে, নাগদহ হয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের পিচ উঠে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও সড়কের দুধারের মাটি সরে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। বর্তমানে বর্ষায় সড়কের গর্তে পানি জমে আছে ফলে কাঁদাজলে এসব সড়কে জনসাধারণ ও যানচলাচল চরম ঝুঁকি এবং জনসাধরণকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
এলাকার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের জনৈকা মহিলা অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি এতটাই খারাপ, তার আর বলার কথা না, আমরা সড়কের এমন করুণ দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে আছি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন, সড়কের সমস্যা সমাধান করে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমান ক্ষতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন কৃষক লীগের নেতা গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার এই ইউনিয়নের পরপর তিন তিনবারের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি তার গ্রাম মোমিনপুর গ্রামের বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যাওয়া সড়কটির চিত্র দেখলে মনে হবে না, এই ইউনিয়নে প্রকৃতপক্ষে কোনো চেয়ারম্যান আছে।
অনেকে বলেন, চেয়ারম্যান গত ১৫ বছর ধরে যদি তার বাড়ির পাশের সড়ক সংস্কার না করতে পারে, তাহলে বুঝতেই পারছেন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে হেট্রিক করে ইউনিয়নবাসীর কী লাভ হলো? এমনই নানা বয়সের নানান ইউনিয়নবাসী তাদের নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরল, যা তাদের মৌলিক অধিকার। আর এই মৌলিক অধিকারের জন্য তারা গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারকে ভোট দিয়েছিল। এলাকাবাসী জানান, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বাররা ভোটের আগে এলাকাবাসীকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পরে তারা উন্নয়নের কথায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারহীন সড়কগুলো যেন আমাদের দুর্ভোগই সঙ্গী হয়েছে।
সরিষাডাঙ্গা ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম জানান, জনগণের সমস্যার কথা জনপ্রতিনিধিরা না ভাবলে কী এলাকাবাসীর উন্নয়ন হবে না। দীর্ঘদিন ইউপি চেয়ারে যারা আছেন, তাদের উচিত এলাকার মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে সড়কের সংস্কার কাজটি হাতে নেওয়া। তিনি আরও বলেন, এই সড়কে এলাকার ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে বা আমাদের বিশেষ প্রয়োজনে বাজার ঘাটে এবং চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে চরম কষ্ট হয়। কোনো ভ্যান বা অটো নিয়ে বা বাইসাইকেল মোটরসাইকেলে চলাচল করা ঝুকিপূর্ণ। এছাড়াও এলাকার কৃষি ফসলসহ বিভিন্ন মালামাল বাজারে তোলা বা বিক্রয় করাও কঠিন হয়। আমি বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, এই সড়কের সংস্কার কাজ হাতে নিয়ে এলাকাবাসীকে জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের সাথে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে একই ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নিপুল মোমিনপুর ইউনিয়নের সড়কের বেহাল দশা ও জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, মোমিনপুর ইউনিয়নের সকল সড়কের অবস্থা খারাপ। এসব সড়কে জনসাধারণকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা জনপতিনিধি ঠিকই কিšু সড়কের এই সমস্যা সমাধানে আমাদের যতটুকু চেষ্টা করে যাচ্ছি, আবার যখন বাজেট আসবে তখন সংস্কার হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারতো প্রতি বছর সড়কের সংস্কার করবে না। গত ৫ বছর আগে এই সড়কটির সংস্কার হয়েছে, এত অল্প সময়ে নষ্ট হবার কথা নয়। যখন এসব সড়কের সংস্কার কাজ হয়, তখন যদি সঠিক এবং যথাযথভাবে তদারকি করে সড়কের সংস্কার বুঝে নেওয়া হয়, তাহলে সড়কগুলো এতো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না জনগণেরও এমন ভোগান্তি হয় না।
ইউপি সদস্যের বক্তব্যে স্পষ্ট যে এসব সড়কের উন্নয়ন চলাকালে সঠিক তদারকির অভাবে সংশ্লিষ্ট সে সময়ের ঠিকাদারদের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। এই এলাকার মানুষের জনপ্রতিদনিধিদের কাছে সর্বশেষ একটাই দাবি, অবিলম্বে পিটিআই মোড় থেকে ঘোলদাড়ী ও মুন্সীগঞ্জ সড়কের সংস্কার করে জনদুর্ভোগ থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দেওয়া হোক।