ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি, একদিনে শনাক্ত ৩৭৩৭

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
  • / ৬২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্তের ফলাফল নেই, ১৮ টি নমুনা পেন্ডিং
সমীকরণ প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্তের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৩৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এসময় মারা গেছেন ৩৩ জন। গতকার শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৮৩০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ২৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর পূর্বে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৩৪ জন মারা যান। একই সময় করোনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৫৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে পাঁচ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় করোান নতুন কোন ফলাফল নেই। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৯০ জন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল জেলায় নতুন কেউ সুস্থ হয়ছি। এখন পয়ন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬২১ জন। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১৮ টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট জন্য ও চুয়াডাঙ্গা জ্বীন এক্সপার্ট ল্যাবে প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার প্রেরণকৃত সবগুলো নমুনায় পেন্ডিং রয়েছে। গতকাল জেলা থেকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোন নমুনা সংগ্রহ করেনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৮ হাজার ৪২৭টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৮ হাজার ২১৯টি, পজিটিভ ১ হাজার ৬৯০টি, নেগেটিভ ৬ হাজার ৮১টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। আক্রান্তদের মধ্যে ১০জন হোম আইসোলেশন ও অন্য ৬জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন ১ জন ও চুয়াডাঙ্গার বাইরে অবস্থানরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে অপর একজন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। এর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি, একদিনে শনাক্ত ৩৭৩৭

আপলোড টাইম : ১০:৩৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্তের ফলাফল নেই, ১৮ টি নমুনা পেন্ডিং
সমীকরণ প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্তের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৩৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এসময় মারা গেছেন ৩৩ জন। গতকার শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৮৩০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ২৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর পূর্বে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৩৪ জন মারা যান। একই সময় করোনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৫৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে পাঁচ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় করোান নতুন কোন ফলাফল নেই। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৯০ জন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল জেলায় নতুন কেউ সুস্থ হয়ছি। এখন পয়ন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬২১ জন। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১৮ টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট জন্য ও চুয়াডাঙ্গা জ্বীন এক্সপার্ট ল্যাবে প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার প্রেরণকৃত সবগুলো নমুনায় পেন্ডিং রয়েছে। গতকাল জেলা থেকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোন নমুনা সংগ্রহ করেনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৮ হাজার ৪২৭টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৮ হাজার ২১৯টি, পজিটিভ ১ হাজার ৬৯০টি, নেগেটিভ ৬ হাজার ৮১টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। আক্রান্তদের মধ্যে ১০জন হোম আইসোলেশন ও অন্য ৬জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন ১ জন ও চুয়াডাঙ্গার বাইরে অবস্থানরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে অপর একজন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। এর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।