ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাদিয়া পারভীন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চুয়াডাঙ্গার ভূমিকা অন্যতম। সীমান্ত ঘেষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখান থেকেই যুদ্ধ পরিচলানাসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার এসব স্মৃতি রক্ষার্থে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু প্রত্যাশিত দাবি রয়েছে, সেসব দাবি পূরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কর্মসূচি:

গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছে জেলা আওয়ামী যুবলীগ। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা। পরে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা ও কষ্টের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। একে একে পুরো দেশকে পাক হানাদারবাহিনী মুক্ত করতে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন বাঙালি জাতি। এদেশ স্বাধীন করতে বীরঙ্গনাদের ত্যাগও কম নয়। বঙ্গবন্ধু সঠিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। চুয়াডাঙ্গাকে হানাদার বাহিনী মুক্ত করতেও অনেকে শহীদ হয়েছেন। তাঁদের সেই আত্মত্যাগকে আমরা ভুলতে পারি না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সদস্য হাফিজুর রহমান হাপু, আজাদ আলী, সাজিদুর ইসলাম লাবলু, আলমগীর আজম খোকা, জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা দরূদ হাসান, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, আলী ইমরান শুভ, বিপ্লব হোসেন, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, রামিম হাসান সৈকত, সোহেল সজিব, লোকমান, আলিম, বক্কর, হিরা, মুন্না, কবির, নোমান, বাচ্চু প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন

আপলোড টাইম : ১০:২২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাদিয়া পারভীন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চুয়াডাঙ্গার ভূমিকা অন্যতম। সীমান্ত ঘেষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখান থেকেই যুদ্ধ পরিচলানাসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার এসব স্মৃতি রক্ষার্থে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু প্রত্যাশিত দাবি রয়েছে, সেসব দাবি পূরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কর্মসূচি:

গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছে জেলা আওয়ামী যুবলীগ। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা। পরে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা ও কষ্টের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। একে একে পুরো দেশকে পাক হানাদারবাহিনী মুক্ত করতে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন বাঙালি জাতি। এদেশ স্বাধীন করতে বীরঙ্গনাদের ত্যাগও কম নয়। বঙ্গবন্ধু সঠিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। চুয়াডাঙ্গাকে হানাদার বাহিনী মুক্ত করতেও অনেকে শহীদ হয়েছেন। তাঁদের সেই আত্মত্যাগকে আমরা ভুলতে পারি না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সদস্য হাফিজুর রহমান হাপু, আজাদ আলী, সাজিদুর ইসলাম লাবলু, আলমগীর আজম খোকা, জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা দরূদ হাসান, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, আলী ইমরান শুভ, বিপ্লব হোসেন, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, রামিম হাসান সৈকত, সোহেল সজিব, লোকমান, আলিম, বক্কর, হিরা, মুন্না, কবির, নোমান, বাচ্চু প্রমুখ।