ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শোকর আদায়ের তিন পদ্ধতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৩২ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার যে কত নেয়ামতের কোনো হিসাব নেই। কোরানে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত গণনা করো তবে তা গণনা করে শেষ করতে পারবে না।’ দৃষ্টিশক্তি, বাকশক্তি, চিন্তাশক্তি, উপার্জন, সংসার, সন্তান-সন্তুতি, জমি, বাড়ি, ফসল, সম্মান, দেহের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অঙ্গ, বাতাস, পানি সবকিছুই আল্লাহর নেয়ামত। যে ব্যক্তি নিজেকে প্রচ- সমস্যায় জর্জরিতভাবে সেও যদি গণনা করতে থাকে, তবে সেও নিজের জীবনে আল্লাহ তায়ালার হাজার হাজার নেয়ামতের অবদান দেখতে পাবে। প্রতিটি নেয়ামতের গুরুত্ব বুঝে আসে যখন এমন ব্যক্তির জীবনের দিকে তাকানো হয় যে, ওই নেয়ামত থেকে বঞ্চিত আছে। বাস্তুহারা ভিক্ষুক যখন হাসপাতালের বিছানায় রাতের পর রাত ছটফট করতে থাকা যন্ত্রণায় কাতর কোনো ধনাঢ্য ব্যক্তিকে দেখবে তখন তার বুঝে আসবে আল্লাহ তায়ালার কত গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামত তিনি ভোগ করছেন। স্বাভাবিক ভদ্রতার চাহিদা ও দাবি হচ্ছে উপকারীর কৃতজ্ঞতা আদায় করা। মানুষের জীবনের সবচেয়ে উপকারী সত্তা হচ্ছেন মানুষের জীবন-মরণের মালিক আল্লাহ। কিন্তু কতজন মানুষ সেই আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে? তিনি নিজেই বলেন, ‘আমার বান্দাদের মধ্যে খুবই অল্পসংখ্যক বান্দা আমার শোকর আদায় করে।’ মানুষ যখন আল্লাহর নেয়ামত ভোগ করে কিন্তু তার শোকর আদায় করে না, আল্লাহ তখন বান্দার ওপর অত্যন্ত রাগান্বিত হন। তাকে দুনিয়াতেই শাস্তি দেন। কোরানে এ ধরনের শাস্তির একটি উদাহরণ রয়েছে। এক গ্রামের বাসিন্দারা সবাই খুব সুখে ও নিরাপদে ছিল। চতুর্দিক থেকে তাদের জন্য রিজিক আসত। পরে তারা আল্লাহর নেয়ামতের অকৃতজ্ঞতা করল। ফলে আল্লাহ তাদের অভাব দিলেন ও ভীতসন্ত্রস্ত রাখলেন। এটা তাদের কর্মের কারণেই হয়েছে।’ আমাদের সমাজে অনেক মানুষ পাওয়া যায় যারা এক সময় অনেক ধনী ছিল। তাদের সবকিছুই ছিল কিন্তু এখন নিঃস্ব। তাদের পরিবর্তিত এ পরিস্থিতি কি অকৃজ্ঞতার শাস্তি নয়! আল্লাহর শোকর তিনভাবে আদায় করতে হয়। এক. সব ইতিবাচক সংবাদ ও তথ্যের আগে আলহামদুলিল্লাহ বলা। দুই. আল্লাহর দেয়া নেয়ামতগুলো তার নির্দেশিত কাজে ব্যবহার করা। তিন. আল্লাহর নেয়ামত ভোগ করা, এ ক্ষেত্রে কোনো কৃপণতা না করা। আল্লাহর নেয়ামত ভোগের পর এর কৃতজ্ঞতা আদায় করলে আল্লাহ যেমন খুশি হবেন তেমনি বাড়বে নেয়ামতের পরিমাণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শোকর আদায়ের তিন পদ্ধতি

আপলোড টাইম : ১২:৫২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার যে কত নেয়ামতের কোনো হিসাব নেই। কোরানে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত গণনা করো তবে তা গণনা করে শেষ করতে পারবে না।’ দৃষ্টিশক্তি, বাকশক্তি, চিন্তাশক্তি, উপার্জন, সংসার, সন্তান-সন্তুতি, জমি, বাড়ি, ফসল, সম্মান, দেহের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অঙ্গ, বাতাস, পানি সবকিছুই আল্লাহর নেয়ামত। যে ব্যক্তি নিজেকে প্রচ- সমস্যায় জর্জরিতভাবে সেও যদি গণনা করতে থাকে, তবে সেও নিজের জীবনে আল্লাহ তায়ালার হাজার হাজার নেয়ামতের অবদান দেখতে পাবে। প্রতিটি নেয়ামতের গুরুত্ব বুঝে আসে যখন এমন ব্যক্তির জীবনের দিকে তাকানো হয় যে, ওই নেয়ামত থেকে বঞ্চিত আছে। বাস্তুহারা ভিক্ষুক যখন হাসপাতালের বিছানায় রাতের পর রাত ছটফট করতে থাকা যন্ত্রণায় কাতর কোনো ধনাঢ্য ব্যক্তিকে দেখবে তখন তার বুঝে আসবে আল্লাহ তায়ালার কত গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামত তিনি ভোগ করছেন। স্বাভাবিক ভদ্রতার চাহিদা ও দাবি হচ্ছে উপকারীর কৃতজ্ঞতা আদায় করা। মানুষের জীবনের সবচেয়ে উপকারী সত্তা হচ্ছেন মানুষের জীবন-মরণের মালিক আল্লাহ। কিন্তু কতজন মানুষ সেই আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে? তিনি নিজেই বলেন, ‘আমার বান্দাদের মধ্যে খুবই অল্পসংখ্যক বান্দা আমার শোকর আদায় করে।’ মানুষ যখন আল্লাহর নেয়ামত ভোগ করে কিন্তু তার শোকর আদায় করে না, আল্লাহ তখন বান্দার ওপর অত্যন্ত রাগান্বিত হন। তাকে দুনিয়াতেই শাস্তি দেন। কোরানে এ ধরনের শাস্তির একটি উদাহরণ রয়েছে। এক গ্রামের বাসিন্দারা সবাই খুব সুখে ও নিরাপদে ছিল। চতুর্দিক থেকে তাদের জন্য রিজিক আসত। পরে তারা আল্লাহর নেয়ামতের অকৃতজ্ঞতা করল। ফলে আল্লাহ তাদের অভাব দিলেন ও ভীতসন্ত্রস্ত রাখলেন। এটা তাদের কর্মের কারণেই হয়েছে।’ আমাদের সমাজে অনেক মানুষ পাওয়া যায় যারা এক সময় অনেক ধনী ছিল। তাদের সবকিছুই ছিল কিন্তু এখন নিঃস্ব। তাদের পরিবর্তিত এ পরিস্থিতি কি অকৃজ্ঞতার শাস্তি নয়! আল্লাহর শোকর তিনভাবে আদায় করতে হয়। এক. সব ইতিবাচক সংবাদ ও তথ্যের আগে আলহামদুলিল্লাহ বলা। দুই. আল্লাহর দেয়া নেয়ামতগুলো তার নির্দেশিত কাজে ব্যবহার করা। তিন. আল্লাহর নেয়ামত ভোগ করা, এ ক্ষেত্রে কোনো কৃপণতা না করা। আল্লাহর নেয়ামত ভোগের পর এর কৃতজ্ঞতা আদায় করলে আল্লাহ যেমন খুশি হবেন তেমনি বাড়বে নেয়ামতের পরিমাণ।