ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতারের পর টাকা না পেয়ে নির্যাতনের অভিযোগ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৬
  • / ২৮৮ বার পড়া হয়েছে

Aligation-Of-Asi-Sohel-Solk

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের পর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শৈলকুপার তমালতলা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সোহেল সাইফুল ইসলাম নামে এক আসামীকে গ্রেফতারের পর পিটিয়েছে বলে আসামীর ছেলে সবুজ অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে দিগনগর ইউনিয়নের অচিন্তপুর গ্রাম থেকে হত্যার মামলার পলাতক আসামী সাইফুলকে গ্রেফতার করে তমালতলা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সোহেল। সবুজের ভাষ্যমতে মার বাঁচাতে সোহেল টাকা দাবী করেন তাদের কাছে। এএসআই সোহেল আসামীর স্বজনদের শ্বাসিয়ে বলেন ভোর বেলা টাকা নিয়ে ক্যাম্পে না আসলে বুঝিয়ে দেবে দারোগা সোহেল কি জিনিস। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে এএসআই সোহেল তার পিতাকে মারপিট করে শীতের মধ্যে খালি গায়ে বসিয়ে রাখেন। বুধবার দুপুরে আসামী সাইফুলকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ রাকিবুদ্দীন রনি আসামী সাইফুলকে হাসপাতালে আনার কথা স্বীকার করে জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শৈলকুপার অচিন্তপুর গ্রামের মৃত উকিল শেখের ছেলে সাইফুলকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আবার নিয়ে যাওয়া হয়। আসামীর ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এএসআই সোহেল ভোরে টাকা নিয়ে ক্যাম্পে দেখা করতে বলেন। তিনি ক্যাম্পে পৌছানোর আগেই তার ভাইকে মারপিট করে। আসামী সাইফুলের আরেক স্বজন অচিন্তপুর গ্রামের আজিজার লস্কার জানান, তমালতলা ক্যাম্প থেকে আসামী সাইফুলকে শৈলকুপা থানায় পাঠানোর গাড়ী ভাড়া বাবদ ৫শ’ টাকা দেওয়া হয়। এরপর আসামীকে থানায় আনা হলে পরিবারের লোকজন দেখতে আসে। এ সময় এএসআই সোহেল থানায় এসে তাদেরকে বলেন, আমি কি ৫শ’ টাকার দারোগা?  বিষয়টি নিয়ে তমালতলা ক্যাম্পের এএসআই সোহেল জানান, আসামীকে মারধর করা হয়নি। তাকে ধরে এনে শীতের মধ্যে বসিয়ে রাখা হয়েছিলো। আসামীর পরিবারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালে অচিন্তপুর গ্রামে গ্রাম্য সংঘর্ষে রোজদার আলী নামে একজন নিহত হয়। সেই হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ছিলেন সাইফুল। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে মারধর ও পরিবারের কাছে টাকা দাবীর বিষয়টি জানা নেই বলে ওসি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শৈলকুপায় হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতারের পর টাকা না পেয়ে নির্যাতনের অভিযোগ!

আপলোড টাইম : ০৩:০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

Aligation-Of-Asi-Sohel-Solk

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের পর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শৈলকুপার তমালতলা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সোহেল সাইফুল ইসলাম নামে এক আসামীকে গ্রেফতারের পর পিটিয়েছে বলে আসামীর ছেলে সবুজ অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে দিগনগর ইউনিয়নের অচিন্তপুর গ্রাম থেকে হত্যার মামলার পলাতক আসামী সাইফুলকে গ্রেফতার করে তমালতলা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সোহেল। সবুজের ভাষ্যমতে মার বাঁচাতে সোহেল টাকা দাবী করেন তাদের কাছে। এএসআই সোহেল আসামীর স্বজনদের শ্বাসিয়ে বলেন ভোর বেলা টাকা নিয়ে ক্যাম্পে না আসলে বুঝিয়ে দেবে দারোগা সোহেল কি জিনিস। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে এএসআই সোহেল তার পিতাকে মারপিট করে শীতের মধ্যে খালি গায়ে বসিয়ে রাখেন। বুধবার দুপুরে আসামী সাইফুলকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ রাকিবুদ্দীন রনি আসামী সাইফুলকে হাসপাতালে আনার কথা স্বীকার করে জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শৈলকুপার অচিন্তপুর গ্রামের মৃত উকিল শেখের ছেলে সাইফুলকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আবার নিয়ে যাওয়া হয়। আসামীর ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এএসআই সোহেল ভোরে টাকা নিয়ে ক্যাম্পে দেখা করতে বলেন। তিনি ক্যাম্পে পৌছানোর আগেই তার ভাইকে মারপিট করে। আসামী সাইফুলের আরেক স্বজন অচিন্তপুর গ্রামের আজিজার লস্কার জানান, তমালতলা ক্যাম্প থেকে আসামী সাইফুলকে শৈলকুপা থানায় পাঠানোর গাড়ী ভাড়া বাবদ ৫শ’ টাকা দেওয়া হয়। এরপর আসামীকে থানায় আনা হলে পরিবারের লোকজন দেখতে আসে। এ সময় এএসআই সোহেল থানায় এসে তাদেরকে বলেন, আমি কি ৫শ’ টাকার দারোগা?  বিষয়টি নিয়ে তমালতলা ক্যাম্পের এএসআই সোহেল জানান, আসামীকে মারধর করা হয়নি। তাকে ধরে এনে শীতের মধ্যে বসিয়ে রাখা হয়েছিলো। আসামীর পরিবারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালে অচিন্তপুর গ্রামে গ্রাম্য সংঘর্ষে রোজদার আলী নামে একজন নিহত হয়। সেই হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ছিলেন সাইফুল। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে মারধর ও পরিবারের কাছে টাকা দাবীর বিষয়টি জানা নেই বলে ওসি জানান।