ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শেষ হাসি হাসলেন সাকিবরাই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা প্রতিবেদন:
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) তৃতীয় রাউন্ডে তামিমের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ২৭ রানে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন সাকিব আল হাসানের মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেড। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ সপন্সর্ড বাই ওয়ালটন-এ মুখোমুখি মোহামেডান-প্রাইমব্যাংক। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে সাকিবের দল মোহামেডান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে। টার্গেটে খেলতে নেমে আবু জায়দে রাহী ও তাসকিন আহমেদ-সাকিবদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তামিমরা। ৩ বল বাকি থাকতেই ১২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডান আরও বড় লক্ষ্য দিতে পারতো। ম্যাচের বাঁক বদল করে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু মূল্য দিতে পারেননি প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় বরাবরের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ। ফেরেন মাত্র ৩ রানে। তামিম-রনি তালুকদার চেষ্টা করলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। তামিমকে ২০ রানে শুভাগত ও রনিকে ১৯ রানে সাকিব বোল্ড করে ফেরান সাজঘরে। মাঝে মোহাম্মদ মিথুন আভাস দিয়েছিলেন ভালো কিছুর। তাকে ২৫ রানের বেশি করতে দেননি রাহী। ৪৫ থেকে ৭৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংক ছিটকে যায় ম্যাচ থেকেই। শেষ নাঈম হাসান (১৯*) ও মনির হোসেন (১৭) ঝলক দেখিয়েছিলেন। নাঈম অপরাজিত থাকলেও মনিরকে ফেরান তাসকিন। এরপর মোস্তাফিজ এসে আউট হন প্রথম বলেই। ১২৩ রানে থেমে যায় তামিমদের ইনিংস। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন-রাহী। সাকিবের ঝুলিতে জমা হয় ২ উইকেট। এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করে মোহামেডান। ওপেনার মাহমুদুল হাসান ১৮ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও শামসুর রহমান শুভর সঙ্গে জুটি গড়ে হাফসেঞ্চুরি করে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন যুব বিশ্বকাপজয়ী পারভেজ হোসেন ইমন। ৩৭ বলে ইমন দেখা পান অর্ধশতকের। ইমন-শামসুরের জুটি থেকে আসে ৫৮ রান। অলক কাপালির বলে ইমন ৫০ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আসলেও থামেনি রানের চাকা। কিন্তু মোস্তাফিজুরের ১ ওভারেই যেনো সব ছন্নছাড়া হয়ে যায়। ১৭ ওভার শেষে মোহামেডানের রান ছিল ২ উইকেটে ১৩৪। ১৮তম ওভারে দ্য ফিজ তিন উইকেট নিয়ে খেলার লাগাম টেনে ধরেন। সাদা-কালোর দল ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় এই ১ ওভারে! মোস্তাফিজ ৪ ওভারেমাত্র ২২ রান দিয়েন নেন ৫ উইকেট। চলমান ঢাকা লিগে ফিজই প্রথম বোলার যিনি ৫ উইকেট নিলেন কোনো ম্যাচে। এ জন্য তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও। ফিজের প্রথম শিকার সাকিব। ১৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন বোল্ড হয়ে। এরপরে ৩৪ বলে ৩৩ রান করা শামসুর ও ৪ রানে নতুন ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর। শেষ ৩ ওভারে মোহামেডান নেয় মাত্র ১৬ রান। হারায় ৬ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও অলক কাপালি। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে মোহামেডান। ৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেয়ে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আবাহনী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শেষ হাসি হাসলেন সাকিবরাই

আপলোড টাইম : ০৮:২৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

খেলাধুলা প্রতিবেদন:
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) তৃতীয় রাউন্ডে তামিমের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ২৭ রানে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন সাকিব আল হাসানের মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেড। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ সপন্সর্ড বাই ওয়ালটন-এ মুখোমুখি মোহামেডান-প্রাইমব্যাংক। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে সাকিবের দল মোহামেডান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে। টার্গেটে খেলতে নেমে আবু জায়দে রাহী ও তাসকিন আহমেদ-সাকিবদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তামিমরা। ৩ বল বাকি থাকতেই ১২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডান আরও বড় লক্ষ্য দিতে পারতো। ম্যাচের বাঁক বদল করে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু মূল্য দিতে পারেননি প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় বরাবরের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ। ফেরেন মাত্র ৩ রানে। তামিম-রনি তালুকদার চেষ্টা করলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। তামিমকে ২০ রানে শুভাগত ও রনিকে ১৯ রানে সাকিব বোল্ড করে ফেরান সাজঘরে। মাঝে মোহাম্মদ মিথুন আভাস দিয়েছিলেন ভালো কিছুর। তাকে ২৫ রানের বেশি করতে দেননি রাহী। ৪৫ থেকে ৭৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংক ছিটকে যায় ম্যাচ থেকেই। শেষ নাঈম হাসান (১৯*) ও মনির হোসেন (১৭) ঝলক দেখিয়েছিলেন। নাঈম অপরাজিত থাকলেও মনিরকে ফেরান তাসকিন। এরপর মোস্তাফিজ এসে আউট হন প্রথম বলেই। ১২৩ রানে থেমে যায় তামিমদের ইনিংস। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন-রাহী। সাকিবের ঝুলিতে জমা হয় ২ উইকেট। এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করে মোহামেডান। ওপেনার মাহমুদুল হাসান ১৮ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও শামসুর রহমান শুভর সঙ্গে জুটি গড়ে হাফসেঞ্চুরি করে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন যুব বিশ্বকাপজয়ী পারভেজ হোসেন ইমন। ৩৭ বলে ইমন দেখা পান অর্ধশতকের। ইমন-শামসুরের জুটি থেকে আসে ৫৮ রান। অলক কাপালির বলে ইমন ৫০ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আসলেও থামেনি রানের চাকা। কিন্তু মোস্তাফিজুরের ১ ওভারেই যেনো সব ছন্নছাড়া হয়ে যায়। ১৭ ওভার শেষে মোহামেডানের রান ছিল ২ উইকেটে ১৩৪। ১৮তম ওভারে দ্য ফিজ তিন উইকেট নিয়ে খেলার লাগাম টেনে ধরেন। সাদা-কালোর দল ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় এই ১ ওভারে! মোস্তাফিজ ৪ ওভারেমাত্র ২২ রান দিয়েন নেন ৫ উইকেট। চলমান ঢাকা লিগে ফিজই প্রথম বোলার যিনি ৫ উইকেট নিলেন কোনো ম্যাচে। এ জন্য তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও। ফিজের প্রথম শিকার সাকিব। ১৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন বোল্ড হয়ে। এরপরে ৩৪ বলে ৩৩ রান করা শামসুর ও ৪ রানে নতুন ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর। শেষ ৩ ওভারে মোহামেডান নেয় মাত্র ১৬ রান। হারায় ৬ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও অলক কাপালি। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে মোহামেডান। ৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেয়ে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আবাহনী।