ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শেষ সেটে দলকে চার পয়েন্ট এনে দেয় চুয়াডাঙ্গার মেনন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৭২৫ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধু সেন্ট্রাল জোন ভলিতে কিরগিজস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক: শেষ পয়েণ্টটি নেয়ার পরই হরোশিত বিশ্বাস আর রাশেদরা পরস্পরকে জড়িয়ে কেঁদে উঠলেন হাউমাউ করে। গ্যালারিতে ততক্ষণে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্লোগান। লাল-সবুজ পতাকা হাতে এক দল সমর্থকের উল্লাস। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম হয়ে গেলো এক টুকরো বাংলাদেশ। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ সেমিফাইনালে কিরগিজস্তানকে ৩-২ সেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সিনিয়র মেনস সেন্ট্রাল জোন ইন্টারন্যাশনাল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী শুক্রবার শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে স্বাগতিকরা খেলবে তুর্কমেনিস্তানের বিরুদ্ধে।
২০১৬ সালে এই কিরগিজস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে ভলিবলে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই বছর আগের ফাইনালের প্রতিপক্ষের সঙ্গে এবার বাংলাদেশের দেখা হলো সেমিফাইনালেই। ধরেই নেয়া হয়েছিল, দুর্দান্ত লড়াই হবে বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তানের। হয়েছেও তাই। ফাইনালে উঠতে পঞ্চম সেট পর্যন্ত খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
প্রথম সেটে বাংলাদেশ হেরে যায় ২৫-১৫ পয়েণ্টে। পরের সেটে কিরগিজস্তানকে ২৫-১৮ পয়েন্টে হারিয়ে সমতা আনেন হরোশিত বিশ্বাসরা। তৃতীয় সেট ২৫-১৯ পয়েণ্টে জিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ সেটটা ২৫-১৩ পয়েণ্টে জিতে ২-২ এ সমতা আনে অতিথি দলটি। ম্যাচের ফল নির্ধারণী শেষ সেটের খেলা হয় ১৫ পয়েণ্টে। সেখানে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর ১৫-১৩ পয়েণ্টে জিতে উঠেছে ফাইনালে।
প্রথম সেমিফাইনালে তুর্কমেনিস্তান ৩-০ সেটে নেপালকে হারিয়ে উঠেছে ফাইনালে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পঞ্চম স্থান নির্ধারনী ম্যাচে উজবেকিস্তান খেলবে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামবে নেপাল ও কিরগিজস্তান। ফাইনাল হবে বিকেল ৩টায়।
ফাইনালে উঠে উচ্ছ্বসিত চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান রাশেদ খান মেনন। খেলা শেষে জাতীয় দলের এই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বলেছেন, ‘এক সময় আমাদের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে পড়েছিল। ওই সময় আমি মিডল ব্লকার হিসেবে কিছু ভালো ব্লক করতে পেরেছি, কিছু আক্রমণও করেছি। শেষ সেটে আমি চার পয়েন্ট এনে দিয়েছি দলকে। ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতেছি। খেলা শেষে তাই আনন্দে কান্না চলে এসেছে আমার।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শেষ সেটে দলকে চার পয়েন্ট এনে দেয় চুয়াডাঙ্গার মেনন

আপলোড টাইম : ০৬:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

বঙ্গবন্ধু সেন্ট্রাল জোন ভলিতে কিরগিজস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক: শেষ পয়েণ্টটি নেয়ার পরই হরোশিত বিশ্বাস আর রাশেদরা পরস্পরকে জড়িয়ে কেঁদে উঠলেন হাউমাউ করে। গ্যালারিতে ততক্ষণে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্লোগান। লাল-সবুজ পতাকা হাতে এক দল সমর্থকের উল্লাস। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম হয়ে গেলো এক টুকরো বাংলাদেশ। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ সেমিফাইনালে কিরগিজস্তানকে ৩-২ সেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সিনিয়র মেনস সেন্ট্রাল জোন ইন্টারন্যাশনাল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী শুক্রবার শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে স্বাগতিকরা খেলবে তুর্কমেনিস্তানের বিরুদ্ধে।
২০১৬ সালে এই কিরগিজস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে ভলিবলে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই বছর আগের ফাইনালের প্রতিপক্ষের সঙ্গে এবার বাংলাদেশের দেখা হলো সেমিফাইনালেই। ধরেই নেয়া হয়েছিল, দুর্দান্ত লড়াই হবে বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তানের। হয়েছেও তাই। ফাইনালে উঠতে পঞ্চম সেট পর্যন্ত খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
প্রথম সেটে বাংলাদেশ হেরে যায় ২৫-১৫ পয়েণ্টে। পরের সেটে কিরগিজস্তানকে ২৫-১৮ পয়েন্টে হারিয়ে সমতা আনেন হরোশিত বিশ্বাসরা। তৃতীয় সেট ২৫-১৯ পয়েণ্টে জিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ সেটটা ২৫-১৩ পয়েণ্টে জিতে ২-২ এ সমতা আনে অতিথি দলটি। ম্যাচের ফল নির্ধারণী শেষ সেটের খেলা হয় ১৫ পয়েণ্টে। সেখানে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর ১৫-১৩ পয়েণ্টে জিতে উঠেছে ফাইনালে।
প্রথম সেমিফাইনালে তুর্কমেনিস্তান ৩-০ সেটে নেপালকে হারিয়ে উঠেছে ফাইনালে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পঞ্চম স্থান নির্ধারনী ম্যাচে উজবেকিস্তান খেলবে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামবে নেপাল ও কিরগিজস্তান। ফাইনাল হবে বিকেল ৩টায়।
ফাইনালে উঠে উচ্ছ্বসিত চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান রাশেদ খান মেনন। খেলা শেষে জাতীয় দলের এই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বলেছেন, ‘এক সময় আমাদের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে পড়েছিল। ওই সময় আমি মিডল ব্লকার হিসেবে কিছু ভালো ব্লক করতে পেরেছি, কিছু আক্রমণও করেছি। শেষ সেটে আমি চার পয়েন্ট এনে দিয়েছি দলকে। ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতেছি। খেলা শেষে তাই আনন্দে কান্না চলে এসেছে আমার।’