ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭
  • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শুক্রবার রাতে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। তাতে মাজার চত্বরে আসা সাধুদের মনে সংশয় জাগে, এবার হয়তো দূরের কেউ-ই স্মরণোৎসবে আসতে পারবেন না। গতকাল শনিবার বিকেলের বৃষ্টিতে সেই সংশয় আরও বেড়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যা থেকে লালন একাডেমির আয়োজনে ছেঁউড়িয়ার মাজার চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন মূল মঞ্চে এর উদ্বোধন করেন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হানের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথিরা আলোচনায় অংশ নেন। সন্ধ্যা লাগার সঙ্গে সঙ্গে নিজ নিজ আসনে বসে যান সাধু গুরুরা। তাঁদের ঘিরে ভক্ত ও শিষ্যরা। চাল-জল মুখে দিয়ে অধিবাস শুরু করেন। দিন ডাকার মধ্য দিয়ে সুর-তালে সবাই প্রভুকে স্মরণ করেন। প্রথম দিনের আয়োজনে মাজারে মানুষের সমাগম একটু কম ছিল। কারণ হিসেবে সাধুরা বললেন, বৃষ্টিই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই সময়টায় গ্রামের মানুষ সংসারে ও মাঠে একটু বেশি কাজ করে থাকেন। মাজার চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরী করেছে প্রশাসন। প্রতিটি প্রবেশমুখে নিরাপত্তা দরজা রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যাও অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি। সাধু বাউলদের পুঁটলি খুলে পরীক্ষা করে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। আছে ওয়াচ টাওয়ার ও সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা। জানতে চাইলে সদ্য যোগ দেওয়া কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নাই। যখন যেখানে যতটুকু প্রয়োজন, সেভাবেই নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় লালন একাডেমির আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা শেষে চলে লালন একাডেমির শিল্পীদের গান। মাজার-সংলগ্ন বিশাল মাঠে মেলায় হরেক রকম পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব

আপলোড টাইম : ০৪:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: শুক্রবার রাতে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। তাতে মাজার চত্বরে আসা সাধুদের মনে সংশয় জাগে, এবার হয়তো দূরের কেউ-ই স্মরণোৎসবে আসতে পারবেন না। গতকাল শনিবার বিকেলের বৃষ্টিতে সেই সংশয় আরও বেড়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যা থেকে লালন একাডেমির আয়োজনে ছেঁউড়িয়ার মাজার চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন মূল মঞ্চে এর উদ্বোধন করেন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হানের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথিরা আলোচনায় অংশ নেন। সন্ধ্যা লাগার সঙ্গে সঙ্গে নিজ নিজ আসনে বসে যান সাধু গুরুরা। তাঁদের ঘিরে ভক্ত ও শিষ্যরা। চাল-জল মুখে দিয়ে অধিবাস শুরু করেন। দিন ডাকার মধ্য দিয়ে সুর-তালে সবাই প্রভুকে স্মরণ করেন। প্রথম দিনের আয়োজনে মাজারে মানুষের সমাগম একটু কম ছিল। কারণ হিসেবে সাধুরা বললেন, বৃষ্টিই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই সময়টায় গ্রামের মানুষ সংসারে ও মাঠে একটু বেশি কাজ করে থাকেন। মাজার চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরী করেছে প্রশাসন। প্রতিটি প্রবেশমুখে নিরাপত্তা দরজা রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যাও অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি। সাধু বাউলদের পুঁটলি খুলে পরীক্ষা করে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। আছে ওয়াচ টাওয়ার ও সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা। জানতে চাইলে সদ্য যোগ দেওয়া কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নাই। যখন যেখানে যতটুকু প্রয়োজন, সেভাবেই নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় লালন একাডেমির আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা শেষে চলে লালন একাডেমির শিল্পীদের গান। মাজার-সংলগ্ন বিশাল মাঠে মেলায় হরেক রকম পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা।