ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শুরু হলো দেশের প্রথম অনলাইন সুন্দরী প্রতিযোগীতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
  • / ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক:
মিস আর্থ একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা, যা ২০ বছর ধরে প্রায় ৯৪ টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই প্রতিযোগীতা নারীর বাহ্যিক চাকচিক্যের চেয়ে বুদ্ধিবিবেকের সৌন্দর্য্যকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ২০২০ সালে থেকে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ট্রিপল নাইন গ্লোবাল এই প্রতিযোগিতার লাইসেন্সের অধিকারী হয়েছে। ট্রিপল নাইন গ্লোবাল ও অশেষ লি. এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। মূল প্রতিযোগীতা শুরু হবে ২২ আগস্ট থেকে শেষ হবে ৪ঠা অক্টোবর, ২০২০। মূল আন্তর্জাতিক পর্ব শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরে। শেষ হবে ডিসেম্বরে।
মিস আর্থ বাংলাদেশের প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা যা সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যে সকল নারী অব্যবহৃত প্লাস্টিক, কাপড়, ই-ওয়েস্ট, মেটাল, পেপার ও অর্গানিক ওয়েস্ট দিয়ে আবার নতুন পণ্য তৈরি করতে পারে তারা এই প্রতিযোগীতায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবেন। প্রত্যেকটি প্রতিযোগী পাচ্ছেন একটি নিশ্চিত উপহার এবং টপ ১৬ জন বিজয়ী পাচ্ছেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। পাশাপাশি প্রায় ১০০০ সৃজনশীল প্রতিযোগীকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তুলে ধরা হবে। মিস আর্থ বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর নায়লা নোমান বারী বলেন, আমরা এ সকল মেয়েদের ডাকছি ‘সুপার গার্ল’ নামে। প্রত্যেকটি পরিবারে একটি করে সুপার গার্ল আছে। যাদের সৌখিনতাই হয়ে উঠতে পারে পরিবারের দুঃসময়য়ের কান্ডারি। আমরা রি-ইউজ ও রি-সাইকেল পণ্য ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করে তুলতে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার করতে চাই। পাশাপাশি পরিবেশে দূষণ রোধে এ সকল পণ্যের নতুন ক্রেতা ও বিক্রেতা তৈরিতে অবদান রাখতে চাই। এর প্রধান উপদেষ্টা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক নোমান রবিন বলেন, ‘বছরে অন্তত দুই বার সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের শুভাকাক্সক্ষীদের বিভিন্ন সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন। নতুন করে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান না করে কেন আমরা আমাদের শিক্ষিত তরুণীদের হাতের তৈরি রি-সাইকেল, রি-ইউজ পণ্য উপহার হিসেবে ব্যবহার করব না? এতে প্রকৃতিতে জঞ্জাল কিছুটা হলেও কমবে, বাড়বে সচেতনতা, নিজের পায়ে দাঁড়াবে কিছু শিক্ষিত বিবেকবান নারী। তাই আমাদের এই উদ্যোগের সাথে সকলকে একাত্ম হবার আহ্বান জানাচ্ছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শুরু হলো দেশের প্রথম অনলাইন সুন্দরী প্রতিযোগীতা

আপলোড টাইম : ০৯:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

বিনোদন ডেস্ক:
মিস আর্থ একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা, যা ২০ বছর ধরে প্রায় ৯৪ টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই প্রতিযোগীতা নারীর বাহ্যিক চাকচিক্যের চেয়ে বুদ্ধিবিবেকের সৌন্দর্য্যকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ২০২০ সালে থেকে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ট্রিপল নাইন গ্লোবাল এই প্রতিযোগিতার লাইসেন্সের অধিকারী হয়েছে। ট্রিপল নাইন গ্লোবাল ও অশেষ লি. এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। মূল প্রতিযোগীতা শুরু হবে ২২ আগস্ট থেকে শেষ হবে ৪ঠা অক্টোবর, ২০২০। মূল আন্তর্জাতিক পর্ব শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরে। শেষ হবে ডিসেম্বরে।
মিস আর্থ বাংলাদেশের প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা যা সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যে সকল নারী অব্যবহৃত প্লাস্টিক, কাপড়, ই-ওয়েস্ট, মেটাল, পেপার ও অর্গানিক ওয়েস্ট দিয়ে আবার নতুন পণ্য তৈরি করতে পারে তারা এই প্রতিযোগীতায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবেন। প্রত্যেকটি প্রতিযোগী পাচ্ছেন একটি নিশ্চিত উপহার এবং টপ ১৬ জন বিজয়ী পাচ্ছেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। পাশাপাশি প্রায় ১০০০ সৃজনশীল প্রতিযোগীকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তুলে ধরা হবে। মিস আর্থ বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর নায়লা নোমান বারী বলেন, আমরা এ সকল মেয়েদের ডাকছি ‘সুপার গার্ল’ নামে। প্রত্যেকটি পরিবারে একটি করে সুপার গার্ল আছে। যাদের সৌখিনতাই হয়ে উঠতে পারে পরিবারের দুঃসময়য়ের কান্ডারি। আমরা রি-ইউজ ও রি-সাইকেল পণ্য ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করে তুলতে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার করতে চাই। পাশাপাশি পরিবেশে দূষণ রোধে এ সকল পণ্যের নতুন ক্রেতা ও বিক্রেতা তৈরিতে অবদান রাখতে চাই। এর প্রধান উপদেষ্টা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক নোমান রবিন বলেন, ‘বছরে অন্তত দুই বার সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের শুভাকাক্সক্ষীদের বিভিন্ন সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন। নতুন করে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান না করে কেন আমরা আমাদের শিক্ষিত তরুণীদের হাতের তৈরি রি-সাইকেল, রি-ইউজ পণ্য উপহার হিসেবে ব্যবহার করব না? এতে প্রকৃতিতে জঞ্জাল কিছুটা হলেও কমবে, বাড়বে সচেতনতা, নিজের পায়ে দাঁড়াবে কিছু শিক্ষিত বিবেকবান নারী। তাই আমাদের এই উদ্যোগের সাথে সকলকে একাত্ম হবার আহ্বান জানাচ্ছি।