ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শীতের প্রকোপ বাড়ছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৩৮ বার পড়া হয়েছে

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান
তীব্র শীতে সারা দেশে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, অন্যদিকে আছে ঘন কুয়াশা তার ওপর বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে শীতের ধুলা পরিণত হয়েছে বর্ষার কাদায়। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে অসহায় পরিবারগুলো ভোগান্তি পোহাচ্ছে। আগুন পোহাতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এবার শীতে গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়। শীতের এই তীব্রতায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে। শীতের প্রকোপে শীতজনিত রোগের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিনে হাসপাতালে তাই বেড়েছে রোগীর ভিড়। হাড় কাঁপানো শীত ও হিমেল হাওয়ার সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশার দাপট। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে রাত্রিকালীন নদী ও সড়কপথে চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। ঘন কুয়াশায় মাঝ নদীতে ফেরি বা অন্য নৌযান আটকা পড়ে যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকির আশঙ্কায় রাতে ফেরি ও নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডাব্লিউটিএ। শুধু সড়ক কিংবা নৌপথে নয়, আকাশপথেও কুয়াশার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্বাভাবিক শিডিউল অনুযায়ী উড়োজাহাজ ওঠানামা ব্যাহত হচ্ছে। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষকে প্রতিদিন শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেই কাজের খোঁজে বের হতে হচ্ছে। ছিন্নমূল মানুষ, যাদের রাত কাটাতে হয় খোলা আকাশের নিচে তারা আরো অসহায়। নেই শীতবস্ত্র। মাথার ওপর কোনো ছাউনি নেই। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আমরা দেখেছি সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও বিতরণ করা হচ্ছে শীতবস্ত্র ও কম্বল। কিন্তু তা কি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট? কাজেই শীতবস্ত্র বিতরণ আরো বাড়াতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে বড় কর্মসূচি হাতে নিতে পারে। ব্যক্তিপর্যায়ে অনেকেরই প্রয়োজনের অতিরিক্ত শীতবস্ত্র আছে, যা অসহায় দরিদ্র মানুষের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানও তাদের সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে পারে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় শীতার্ত মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও দূর হোক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শীতের প্রকোপ বাড়ছে

আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান
তীব্র শীতে সারা দেশে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, অন্যদিকে আছে ঘন কুয়াশা তার ওপর বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে শীতের ধুলা পরিণত হয়েছে বর্ষার কাদায়। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে অসহায় পরিবারগুলো ভোগান্তি পোহাচ্ছে। আগুন পোহাতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এবার শীতে গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়। শীতের এই তীব্রতায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে। শীতের প্রকোপে শীতজনিত রোগের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিনে হাসপাতালে তাই বেড়েছে রোগীর ভিড়। হাড় কাঁপানো শীত ও হিমেল হাওয়ার সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশার দাপট। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে রাত্রিকালীন নদী ও সড়কপথে চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। ঘন কুয়াশায় মাঝ নদীতে ফেরি বা অন্য নৌযান আটকা পড়ে যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকির আশঙ্কায় রাতে ফেরি ও নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডাব্লিউটিএ। শুধু সড়ক কিংবা নৌপথে নয়, আকাশপথেও কুয়াশার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্বাভাবিক শিডিউল অনুযায়ী উড়োজাহাজ ওঠানামা ব্যাহত হচ্ছে। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষকে প্রতিদিন শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেই কাজের খোঁজে বের হতে হচ্ছে। ছিন্নমূল মানুষ, যাদের রাত কাটাতে হয় খোলা আকাশের নিচে তারা আরো অসহায়। নেই শীতবস্ত্র। মাথার ওপর কোনো ছাউনি নেই। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আমরা দেখেছি সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও বিতরণ করা হচ্ছে শীতবস্ত্র ও কম্বল। কিন্তু তা কি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট? কাজেই শীতবস্ত্র বিতরণ আরো বাড়াতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে বড় কর্মসূচি হাতে নিতে পারে। ব্যক্তিপর্যায়ে অনেকেরই প্রয়োজনের অতিরিক্ত শীতবস্ত্র আছে, যা অসহায় দরিদ্র মানুষের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানও তাদের সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে পারে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় শীতার্ত মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও দূর হোক।