ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিশুদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ইউটিউবের বিরুদ্ধে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি প্রতিবেদন:
ইউটিউবের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা যুক্তরাজ্যে শিশুদের সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা ডেটা প্রাইভেসি কোড লঙ্ঘন করেছে। ক্যাম্পেইনার ডানকান ম্যাকক্যান তথ্য কমিশনারের কার্যালয়ে (আইসিও) ইউটিউবের বিরুদ্ধে একটি অফিসিয়াল অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তার মতে শিশুরা যে সব ভিডিও দেখছে, তা কোথায় দেখছে এবং কোন ডিভাইসে দেখছে সেসব তথ্য সংগ্রহ করছে সাইটি। তবে ইউটিউব সর্বদা বলে আসছে, তাদের পরিষেবাটি ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নয়। তারা শিশুদের জন্য ইউটিউব কিডস নামে একটি আলাদা অ্যাপ্লিকেশন সরবরাহ করে এবং এটি ব্যবহার করতে হলে শিশুদের পিতামাতার সম্মতি প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে ম্যাকক্যান বলেন, বেশিরভাগ শিশুই পরিবারের অন্যকারো ডিভাইসে ইউটিউবে কনটেন্ট দেখে, যেখানে এই ডেটা সংগ্রহ করা যায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকমের মতে, ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৮৯ শতাংশ শিশু এই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছে। আইসিও বলেছে, তারা অভিযোগটি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করবে।

ধারণা করা হচ্ছে, শিশুদের ইন্টারনেট কোড লঙ্ঘনকারী যেকোনো প্রতিষ্ঠান ডেটা সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের কারণে বড় কোনো জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে। ইউটিউব তাদের মধ্যে অন্যতম। একই ধরনের অভিযোগে ২০১৯ সালে শিশুদের গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইউটিউবকে ১৭ কোটি ডলার জরিমানা করে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। টেকনোলজি ইজ নট নিউট্রাল বইয়ের লেখক স্টেফানি হেয়ার বলেন, ইউটিউব দায় স্বীকার না করলেও জরিমানা দিয়েছিল এবং এর ফলে ব্যবসায়িক নীতিতে পরিবর্তনও এনেছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শিশুদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ইউটিউবের বিরুদ্ধে

আপলোড টাইম : ১১:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

প্রযুক্তি প্রতিবেদন:
ইউটিউবের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা যুক্তরাজ্যে শিশুদের সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা ডেটা প্রাইভেসি কোড লঙ্ঘন করেছে। ক্যাম্পেইনার ডানকান ম্যাকক্যান তথ্য কমিশনারের কার্যালয়ে (আইসিও) ইউটিউবের বিরুদ্ধে একটি অফিসিয়াল অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তার মতে শিশুরা যে সব ভিডিও দেখছে, তা কোথায় দেখছে এবং কোন ডিভাইসে দেখছে সেসব তথ্য সংগ্রহ করছে সাইটি। তবে ইউটিউব সর্বদা বলে আসছে, তাদের পরিষেবাটি ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নয়। তারা শিশুদের জন্য ইউটিউব কিডস নামে একটি আলাদা অ্যাপ্লিকেশন সরবরাহ করে এবং এটি ব্যবহার করতে হলে শিশুদের পিতামাতার সম্মতি প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে ম্যাকক্যান বলেন, বেশিরভাগ শিশুই পরিবারের অন্যকারো ডিভাইসে ইউটিউবে কনটেন্ট দেখে, যেখানে এই ডেটা সংগ্রহ করা যায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকমের মতে, ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৮৯ শতাংশ শিশু এই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছে। আইসিও বলেছে, তারা অভিযোগটি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করবে।

ধারণা করা হচ্ছে, শিশুদের ইন্টারনেট কোড লঙ্ঘনকারী যেকোনো প্রতিষ্ঠান ডেটা সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের কারণে বড় কোনো জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে। ইউটিউব তাদের মধ্যে অন্যতম। একই ধরনের অভিযোগে ২০১৯ সালে শিশুদের গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইউটিউবকে ১৭ কোটি ডলার জরিমানা করে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। টেকনোলজি ইজ নট নিউট্রাল বইয়ের লেখক স্টেফানি হেয়ার বলেন, ইউটিউব দায় স্বীকার না করলেও জরিমানা দিয়েছিল এবং এর ফলে ব্যবসায়িক নীতিতে পরিবর্তনও এনেছিল।