ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
তৈরি পোশকসহ শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে শ্রমঘন শিল্প এলকায় তফসিলি ব্যাংকগুলোর সব শাখা সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপরভিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব ব্যাংকের অনলাইন সুবিধা নেই তাদের সব শাখা খোলা রাখতে হবে। পাশাপাশি জেলা সদর অন্তত একটি শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দর এলাকায় প্রয়োজনে ব্যাংধের শাখা বুথ খোলা থাকবে। পাশাপাশি এটিএম ও কার্ডভিত্তিক লেনদেন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি এবং লকডাউন ঘোষিত বিভিন্ন এলাকয় ব্যবসায়িক লেনদেন সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে আগামী ১৯ এপ্রিল রবিবার থেকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পাশাপাশি করোনার কারণে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যেসব এলাকা লকডাউন করবে ওই এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা বন্ধ থাকবে।
এদিকে অনলাইন সুবিধা আছে এমন ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্য শাখা খোলা রাখবে। তবে যেসব ব্যাংকের অনলাইন সুবিধা নেই তাদের সব শাখা খোলা রাখতে হবে।
জেলা সদর জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি খোলা রাখতে হবে মহারগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা ( যেখানে বৈদেশিক লেনেদেন সম্পূর্ণ হয়) খোলা রাখতে হবে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচিত এডি শাখা খোলা রাখতে হবে। শ্রমঘন শিল্প এলকায় সব ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হবে। এছাড়া সমুদ্র, স্থল, বিমান বন্দর এলাকায় খোলা রাখতে হলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন প্রদত্ত ঘোষণা অনুসারে লকডাউন এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে কমপক্ষে একটি শাখা খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এটিএম ও কার্ড বিত্তিক লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুধ গুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবারহ ও সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব (ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুযায়ী) বজায় রাখার বিষয়য়ে নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ

আপলোড টাইম : ১০:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
তৈরি পোশকসহ শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে শ্রমঘন শিল্প এলকায় তফসিলি ব্যাংকগুলোর সব শাখা সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপরভিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব ব্যাংকের অনলাইন সুবিধা নেই তাদের সব শাখা খোলা রাখতে হবে। পাশাপাশি জেলা সদর অন্তত একটি শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দর এলাকায় প্রয়োজনে ব্যাংধের শাখা বুথ খোলা থাকবে। পাশাপাশি এটিএম ও কার্ডভিত্তিক লেনদেন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি এবং লকডাউন ঘোষিত বিভিন্ন এলাকয় ব্যবসায়িক লেনদেন সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে আগামী ১৯ এপ্রিল রবিবার থেকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পাশাপাশি করোনার কারণে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যেসব এলাকা লকডাউন করবে ওই এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা বন্ধ থাকবে।
এদিকে অনলাইন সুবিধা আছে এমন ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্য শাখা খোলা রাখবে। তবে যেসব ব্যাংকের অনলাইন সুবিধা নেই তাদের সব শাখা খোলা রাখতে হবে।
জেলা সদর জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি খোলা রাখতে হবে মহারগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা ( যেখানে বৈদেশিক লেনেদেন সম্পূর্ণ হয়) খোলা রাখতে হবে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচিত এডি শাখা খোলা রাখতে হবে। শ্রমঘন শিল্প এলকায় সব ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হবে। এছাড়া সমুদ্র, স্থল, বিমান বন্দর এলাকায় খোলা রাখতে হলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন প্রদত্ত ঘোষণা অনুসারে লকডাউন এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে কমপক্ষে একটি শাখা খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এটিএম ও কার্ড বিত্তিক লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুধ গুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবারহ ও সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব (ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুযায়ী) বজায় রাখার বিষয়য়ে নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে।