ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে শান্তির পথে প্রগতির দিকে নেতৃবৃন্দের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহসহ সারাদেশে নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
সমীকরণ ডেস্ক: ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার উপদেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে গতকাল গণভবন মাঠে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি- এই তিন মূলমন্ত্র নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। ১৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে গঠিত সংগঠনটি সময়ের পরিক্রমায় পরিচিতি পায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েদের আমি বলব, মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। খালি অঙ্ক আর উর্দুতে পাস করলে চলবে না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, আমাদের সংস্কৃতি, সাহিত্যÑ সবকিছুই পড়তে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে, দেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিতে হলে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া কখনো নিজেকেও গড়ে তোলা যাবে না, দেশকেও এগিয়ে নেওয়া যাবে না। ছাত্রলীগের মূলনীতির কথা স্মরণ করিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ছাত্রলীগের যে মূলনীতি, সে নীতি ধরে এগোতে হবে, শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে শান্তির পথে প্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ছাত্রলীগ কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাড়িতে গেলে আশপাশে কেউ যদি নিরক্ষর থাকে, তাকে অন্তত অক্ষরজ্ঞান দেওয়া এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ৪ঠা জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রথম প্রহরে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সকাল ৭টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের সূচনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়াদ্দার টোটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান এবং ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ও বর্তমান সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়াদ্দার অনিক। পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর শেখ গোলাম মোস্তফা মাস্তার, যুবলীগ নেতা মোজাহিদুর রহমান লোটাস, সাহিদ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবাইত-বিন-আজাদ সুস্থির, শাহাবুল হোসেন, মকসেদুল হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন টিটু, অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান রিমন, ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ, মন্টা, হিমেল মল্লিক, জীম, সাবিত শিথীল, রানা, অভি, রিগান, ফিরোজ প্রমুখ। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালী বের হয়। জেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক এর নের্তৃত্বে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান কোষাধ্যক্ষ আলি রেজা সজল, ত্রান সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার, উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলি বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের, আব্দুর রসিদ, রেজাউল করিম, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবাইত-বিন-আজাদ সুস্থির, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন টিটু, সমাজ সেবা সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান লোটাস, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ। এঝছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান হান্নান, হকি, ডালিম, সাহিদ, সাইদ, মন্টু, মিলু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রভাষক মকসেদুল হাসান, সাবেক অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান রিমন, ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ আলি জোয়ার্দ্দার, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মিল্টন ইসলাম, সহ-সম্পাদক ইমরান হুসাইন, নাঈম আহাম্মেদ বাপ্পী, সদস্য রেফায়েত হোসেন রাজীব, মন্টা, আব্দুস জব্বার, সদস্য মেহেদী হাসান মালিক হিমেল, রাসেল, লুসন, অয়ন, অভি, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল কায়েস, জুয়েল, আলিফ নুর, বিপুল, আনোয়ার, ইমরান, রানা, মোমিন, ফিরোজ, প্রান্ত, আকাশ, মালেক, আসাদ, আকাশ প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন। আলোচনাসভা শেষে ৭০ তম জন্মদিনের কেক কাটা হয়। রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আতশবাজি ফুটিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচী সমাপ্ত ঘটে।
অপরদিকে, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে কেদারগঞ্জস্ত্র জেলা ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় স্থানীয় ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (চাঁদমারী মাঠ) হতে একটি বিশাল র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ হাসান চত্ত্বর মুক্ত মঞ্চে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের র‌্যালীতে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বিশাল র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকী। এ সময় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়। র‌্যালীর বিশেষ আকর্ষণ স্বরূপ সম্মুখ ভাগে জাতীয় ও দলীয় পতাকাবাহী রাখা হয় দু’জনকে, এরপর ৫০ বর্গফুটের জাতীয় পতাকা, ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ী ও লাল-সাদা শাড়ী পরে স্কুল কলেজের মেয়েদের র‌্যালীতে অংশ নিতে দেখা যায়। র‌্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এড. আশরাফ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীর, দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. শফিকুল ইসলাম শফি। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘বাংলা, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধীকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় উপ-মহাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।’ বক্তারা আরো বলেন, ১৯৪৮ থেকে শুরু করে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক আন্দোলন এবং ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছিল বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এসব ঐতিহাসিক ঘটনার নেপথ্যে পরিকল্পনা এবং মূল ভূমিকা পালন করেছিলো ৬২ তে গঠিত ‘নিউক্লিয়াস’ এবং পরবর্তীতে ‘বিএলএফ’। কিন্তু এ অর্জনের জন্য তৎকালীন ছাত্র-যুব সমাজের যে অবদান তা ইতিহাসে আজো ঠাঁই পায়নি বলেও মত প্রকাশ করেন বক্তারা। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ‘স্বাধীনতা অর্জন ও তৎকালীন ছাত্র-যুবসমাজের বিপ্লবী কর্মকা-ের অনুপ্রেরণায় বহাল ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আদলের শাসন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙ্গে দেশকে অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত করার জন্য উদ্যোগী হবে তরুণরা।’
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বনার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডন ও সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে মাল্য দান করেন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী রবিউল হকসহ নেতৃবৃন্দ। বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক নেতৃত্বে এক বিশাল বন্যার্ঢ্য র‌্যালী শহর প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, যুগ্ম সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ কাজী রবিউল হক, সাংগাঠনিক সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, নুরুল ইসলাম নুরু, লিপু মোল্লা, ৯০দশকের ছাত্রলীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা জাফর, আবু ডালিম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর যুবলীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার, যুবলীগ নেতা পৌর কাউন্সিল মতিয়ার রহমান ফারুক, সাইফুর রহমান সৈকত খান, মহর আলী, ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান, বাদশা, রুবেল, রফিক, অটাল, কাজল, লিটন, সৈকত, ওভি, সজিব, দিগন্ত, সাকিব, ইমরান, শরিফ, রনি, ফরহাদ প্রমুখ।
অপরদিকে, ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলমডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা তপনের সভাপতিত্বে ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সুমনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখানে কালিদাসপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সানি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়অর শামীম, পৌর যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবু, কলেজ ছাত্রলীগ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আল-কাফি, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাগর, হারুন,শাউন আরো উপস্থিত ছিল বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মিবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন, ইমরান, সজিব, তপু, শাকিল, লিখন, সাহাদ্দীন, মামুন, তিতাস, মালেক, সাইদুল, রাব্বি, রকি, জজ, মাসুম, মজিবুল, মকবুল। পরে আলমডাঙ্গা ডাকবাংলাই কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে (হুইপ-নজরুল মল্লিক গ্রুপের উদ্যোগে) র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে স্থানীয় অডিটোরিয়ামের সামনে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. শাহীন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আফজালুর রহমান বুলু, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাড. আবু তালেব। উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জান মোহাম্মদ সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক মীর আব্দুল হামিদ, উপজেলা যুবলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, জাহিদুল মেম্বার, শাহীন, দামুড়হুদা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক এমএ করিম, ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন, স্বপন, রেদোয়ান, শাহিন, পিয়াস, লিমন, নাসেম, মুস্তারিন, রাজু, মাসুদ, রকিব, সোহাগ, সজীব, হুসাইন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সোহান, নাহিদ, আহসান, নাটুদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মুন্না, রবিন, আলামিন, সোহাগ, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের তুষার, রোকন, শাহিন, সবুজ প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্মআহবায়ক এমএ করিম।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, সারা দেশের ন্যায় দর্শনায় উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দর্শনা পৌর আ’লীগের শাখা কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা, দর্শনা সরকারী কলেজ ও পৌর শখা ছাত্রলীগের উদ্দ্যোগে দিন ব্যাপী কর্মসুচি পালিত হয়েছে। এসময় বক্তারা বলেন, বাঙ্গালী জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া শত সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। এ আলোচনা সভায় দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরিফুল ইসলাম মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দামুড়হুদা উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক এসএএম জাকারিয়া আলম। বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ. লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জয়নাল আবেদীন, দামুড়হুদা উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আ. লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আ. লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু। দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আ. হান্নান ছোট, মামুন শাহ, হবা জোয়ার্দার। দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকুর সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে আরো আলোচনা করেন, দর্শনা পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি, দর্শনা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিশান তরফদার। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পা, আশরাফুল, লোমান, রিপন, অপু, রায়হান, মোহাম্মদ, প্রভাত, রবিউল, মকলেস, রানা, শিরিন, রাসেল, ফারুক, রমজান, রাজ, জিকো, নবাব প্রমুখ। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর পর্যায় ক্রমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, ব্যান্ড বাজিয়ে বর্ণঢ্য শোভাযাত্রা হয়।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের সুচনা করা হয়। এরপর সকাল ১১টার সময় জীবননগর পৌর ও জীবননগর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে মেইন বাসস্ট্যান্ড চত্বরের মুক্তমঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু, যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম ঈশা, জীবননগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর সোয়েব আহম্মেদ অঞ্জন, সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর ওয়াসিম রাজা, জীবননগর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান, জীবননগর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাজমুল আলম মানিক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু, সম্পাদক আকাশ, ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি অনিক, সম্পাদক বিপ্লব, বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, একই সাথে জীবননগর অপর একটি অংশ ছাত্রলীগের আয়োজনে জীবননগর ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে বিকাল ৪টার সময় ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জীবননগর মেইন বাসস্ট্যান্ডের মুক্তমঞ্চে কেককাটা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন জীবননগর থানা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক প্রভাষক নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাষক নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন বিশ্বাস, সাইদুর রহমান মাস্টার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার রহমান, আমির আলী খাঁ, মান্নান, আমিনুর হোসেন, মহিলা নেত্রী জেসমিন আক্তার, যুবলীগ নেতা শামিম ফেরদৌস, জোহা, রাশেদিন, মফিজুল, বকতিয়ার, আতিয়ার রহমান, লিটন, জীবননগর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার দাস, ছাত্রলীগ নেতা শাকিব হোসেন রবিন, নাজমুল, মামুন, বিপ্লব, ইনামুল, হামিদ, রিদয় শোভন, সাধন, সজিব, মিঠু, প্লাবন, সেতু, ইমরান, আক্তারুল, শিমুল, জ্যাকি, সেতু, শিমুল, জসিম প্রমুখ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, আনন্দ র‌্যালী ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ এ সকল কর্মসূচির আয়োজন করে। মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুলের নেতৃত্বে একটি আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি সরকারী কলেজ থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড হয়ে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালীতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকশনা কমিটির সদস্য এমএএস ইমন, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাড. আব্দুস সালাম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আতিক স্বপন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, সাবেক সহ-সভাপতি জুনায়েদ ইমরোজ জুলফিকার, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম আনন্দ, শহর সভাপতি আরিফ শেখ, সরকারী কলেজ সভাপতি কুদরুত-ই খোদা রুবেল, সাধারণ মাসুদ রানাসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালী শেষে সরকারী কলেজ চত্বরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। এরআগে জাতীয় সঙ্গিতের সুরে সুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি কেসি কলেজ চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পোষ্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে ৭০ পাউন্ড কেক কাটা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে শান্তির পথে প্রগতির দিকে নেতৃবৃন্দের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান

আপলোড টাইম : ১০:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহসহ সারাদেশে নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
সমীকরণ ডেস্ক: ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার উপদেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে গতকাল গণভবন মাঠে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি- এই তিন মূলমন্ত্র নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। ১৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে গঠিত সংগঠনটি সময়ের পরিক্রমায় পরিচিতি পায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েদের আমি বলব, মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। খালি অঙ্ক আর উর্দুতে পাস করলে চলবে না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, আমাদের সংস্কৃতি, সাহিত্যÑ সবকিছুই পড়তে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে, দেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিতে হলে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া কখনো নিজেকেও গড়ে তোলা যাবে না, দেশকেও এগিয়ে নেওয়া যাবে না। ছাত্রলীগের মূলনীতির কথা স্মরণ করিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ছাত্রলীগের যে মূলনীতি, সে নীতি ধরে এগোতে হবে, শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে শান্তির পথে প্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ছাত্রলীগ কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাড়িতে গেলে আশপাশে কেউ যদি নিরক্ষর থাকে, তাকে অন্তত অক্ষরজ্ঞান দেওয়া এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ৪ঠা জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রথম প্রহরে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সকাল ৭টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের সূচনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়াদ্দার টোটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান এবং ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ও বর্তমান সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়াদ্দার অনিক। পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর শেখ গোলাম মোস্তফা মাস্তার, যুবলীগ নেতা মোজাহিদুর রহমান লোটাস, সাহিদ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবাইত-বিন-আজাদ সুস্থির, শাহাবুল হোসেন, মকসেদুল হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন টিটু, অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান রিমন, ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ, মন্টা, হিমেল মল্লিক, জীম, সাবিত শিথীল, রানা, অভি, রিগান, ফিরোজ প্রমুখ। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালী বের হয়। জেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক এর নের্তৃত্বে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান কোষাধ্যক্ষ আলি রেজা সজল, ত্রান সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার, উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলি বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের, আব্দুর রসিদ, রেজাউল করিম, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবাইত-বিন-আজাদ সুস্থির, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন টিটু, সমাজ সেবা সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান লোটাস, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ। এঝছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান হান্নান, হকি, ডালিম, সাহিদ, সাইদ, মন্টু, মিলু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রভাষক মকসেদুল হাসান, সাবেক অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান রিমন, ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ আলি জোয়ার্দ্দার, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মিল্টন ইসলাম, সহ-সম্পাদক ইমরান হুসাইন, নাঈম আহাম্মেদ বাপ্পী, সদস্য রেফায়েত হোসেন রাজীব, মন্টা, আব্দুস জব্বার, সদস্য মেহেদী হাসান মালিক হিমেল, রাসেল, লুসন, অয়ন, অভি, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল কায়েস, জুয়েল, আলিফ নুর, বিপুল, আনোয়ার, ইমরান, রানা, মোমিন, ফিরোজ, প্রান্ত, আকাশ, মালেক, আসাদ, আকাশ প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন। আলোচনাসভা শেষে ৭০ তম জন্মদিনের কেক কাটা হয়। রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আতশবাজি ফুটিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচী সমাপ্ত ঘটে।
অপরদিকে, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে কেদারগঞ্জস্ত্র জেলা ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় স্থানীয় ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (চাঁদমারী মাঠ) হতে একটি বিশাল র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ হাসান চত্ত্বর মুক্ত মঞ্চে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের র‌্যালীতে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বিশাল র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকী। এ সময় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়। র‌্যালীর বিশেষ আকর্ষণ স্বরূপ সম্মুখ ভাগে জাতীয় ও দলীয় পতাকাবাহী রাখা হয় দু’জনকে, এরপর ৫০ বর্গফুটের জাতীয় পতাকা, ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ী ও লাল-সাদা শাড়ী পরে স্কুল কলেজের মেয়েদের র‌্যালীতে অংশ নিতে দেখা যায়। র‌্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এড. আশরাফ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীর, দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. শফিকুল ইসলাম শফি। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘বাংলা, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধীকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় উপ-মহাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।’ বক্তারা আরো বলেন, ১৯৪৮ থেকে শুরু করে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক আন্দোলন এবং ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছিল বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এসব ঐতিহাসিক ঘটনার নেপথ্যে পরিকল্পনা এবং মূল ভূমিকা পালন করেছিলো ৬২ তে গঠিত ‘নিউক্লিয়াস’ এবং পরবর্তীতে ‘বিএলএফ’। কিন্তু এ অর্জনের জন্য তৎকালীন ছাত্র-যুব সমাজের যে অবদান তা ইতিহাসে আজো ঠাঁই পায়নি বলেও মত প্রকাশ করেন বক্তারা। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ‘স্বাধীনতা অর্জন ও তৎকালীন ছাত্র-যুবসমাজের বিপ্লবী কর্মকা-ের অনুপ্রেরণায় বহাল ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আদলের শাসন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙ্গে দেশকে অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত করার জন্য উদ্যোগী হবে তরুণরা।’
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বনার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডন ও সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে মাল্য দান করেন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী রবিউল হকসহ নেতৃবৃন্দ। বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক নেতৃত্বে এক বিশাল বন্যার্ঢ্য র‌্যালী শহর প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, যুগ্ম সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ কাজী রবিউল হক, সাংগাঠনিক সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, নুরুল ইসলাম নুরু, লিপু মোল্লা, ৯০দশকের ছাত্রলীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা জাফর, আবু ডালিম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর যুবলীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার, যুবলীগ নেতা পৌর কাউন্সিল মতিয়ার রহমান ফারুক, সাইফুর রহমান সৈকত খান, মহর আলী, ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান, বাদশা, রুবেল, রফিক, অটাল, কাজল, লিটন, সৈকত, ওভি, সজিব, দিগন্ত, সাকিব, ইমরান, শরিফ, রনি, ফরহাদ প্রমুখ।
অপরদিকে, ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলমডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা তপনের সভাপতিত্বে ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সুমনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখানে কালিদাসপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সানি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়অর শামীম, পৌর যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবু, কলেজ ছাত্রলীগ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আল-কাফি, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাগর, হারুন,শাউন আরো উপস্থিত ছিল বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মিবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন, ইমরান, সজিব, তপু, শাকিল, লিখন, সাহাদ্দীন, মামুন, তিতাস, মালেক, সাইদুল, রাব্বি, রকি, জজ, মাসুম, মজিবুল, মকবুল। পরে আলমডাঙ্গা ডাকবাংলাই কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে (হুইপ-নজরুল মল্লিক গ্রুপের উদ্যোগে) র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে স্থানীয় অডিটোরিয়ামের সামনে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. শাহীন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আফজালুর রহমান বুলু, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাড. আবু তালেব। উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জান মোহাম্মদ সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক মীর আব্দুল হামিদ, উপজেলা যুবলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, জাহিদুল মেম্বার, শাহীন, দামুড়হুদা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক এমএ করিম, ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন, স্বপন, রেদোয়ান, শাহিন, পিয়াস, লিমন, নাসেম, মুস্তারিন, রাজু, মাসুদ, রকিব, সোহাগ, সজীব, হুসাইন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সোহান, নাহিদ, আহসান, নাটুদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মুন্না, রবিন, আলামিন, সোহাগ, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের তুষার, রোকন, শাহিন, সবুজ প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্মআহবায়ক এমএ করিম।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, সারা দেশের ন্যায় দর্শনায় উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দর্শনা পৌর আ’লীগের শাখা কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা, দর্শনা সরকারী কলেজ ও পৌর শখা ছাত্রলীগের উদ্দ্যোগে দিন ব্যাপী কর্মসুচি পালিত হয়েছে। এসময় বক্তারা বলেন, বাঙ্গালী জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া শত সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। এ আলোচনা সভায় দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরিফুল ইসলাম মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দামুড়হুদা উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক এসএএম জাকারিয়া আলম। বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ. লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জয়নাল আবেদীন, দামুড়হুদা উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আ. লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আ. লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু। দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আ. হান্নান ছোট, মামুন শাহ, হবা জোয়ার্দার। দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকুর সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে আরো আলোচনা করেন, দর্শনা পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি, দর্শনা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিশান তরফদার। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পা, আশরাফুল, লোমান, রিপন, অপু, রায়হান, মোহাম্মদ, প্রভাত, রবিউল, মকলেস, রানা, শিরিন, রাসেল, ফারুক, রমজান, রাজ, জিকো, নবাব প্রমুখ। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর পর্যায় ক্রমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, ব্যান্ড বাজিয়ে বর্ণঢ্য শোভাযাত্রা হয়।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের সুচনা করা হয়। এরপর সকাল ১১টার সময় জীবননগর পৌর ও জীবননগর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে মেইন বাসস্ট্যান্ড চত্বরের মুক্তমঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু, যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম ঈশা, জীবননগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর সোয়েব আহম্মেদ অঞ্জন, সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর ওয়াসিম রাজা, জীবননগর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান, জীবননগর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাজমুল আলম মানিক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু, সম্পাদক আকাশ, ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি অনিক, সম্পাদক বিপ্লব, বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, একই সাথে জীবননগর অপর একটি অংশ ছাত্রলীগের আয়োজনে জীবননগর ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে বিকাল ৪টার সময় ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জীবননগর মেইন বাসস্ট্যান্ডের মুক্তমঞ্চে কেককাটা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন জীবননগর থানা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক প্রভাষক নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাষক নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন বিশ্বাস, সাইদুর রহমান মাস্টার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার রহমান, আমির আলী খাঁ, মান্নান, আমিনুর হোসেন, মহিলা নেত্রী জেসমিন আক্তার, যুবলীগ নেতা শামিম ফেরদৌস, জোহা, রাশেদিন, মফিজুল, বকতিয়ার, আতিয়ার রহমান, লিটন, জীবননগর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার দাস, ছাত্রলীগ নেতা শাকিব হোসেন রবিন, নাজমুল, মামুন, বিপ্লব, ইনামুল, হামিদ, রিদয় শোভন, সাধন, সজিব, মিঠু, প্লাবন, সেতু, ইমরান, আক্তারুল, শিমুল, জ্যাকি, সেতু, শিমুল, জসিম প্রমুখ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, আনন্দ র‌্যালী ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ এ সকল কর্মসূচির আয়োজন করে। মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুলের নেতৃত্বে একটি আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি সরকারী কলেজ থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড হয়ে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালীতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকশনা কমিটির সদস্য এমএএস ইমন, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাড. আব্দুস সালাম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আতিক স্বপন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, সাবেক সহ-সভাপতি জুনায়েদ ইমরোজ জুলফিকার, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম আনন্দ, শহর সভাপতি আরিফ শেখ, সরকারী কলেজ সভাপতি কুদরুত-ই খোদা রুবেল, সাধারণ মাসুদ রানাসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালী শেষে সরকারী কলেজ চত্বরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। এরআগে জাতীয় সঙ্গিতের সুরে সুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি কেসি কলেজ চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পোষ্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে ৭০ পাউন্ড কেক কাটা হয়।