শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশে বড় অঙ্কের অর্থ আদায়
- আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
- / ৮ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একটি কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও যশোর বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার কথা বলে বিকাশে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত কয়েক দিনে বড়সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রতারক চক্র ফোন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। এর মধ্যে কয়েকজন তাদের ফাঁদে পা দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা খুইয়েছেন।
কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তিতুদহ হুলিয়ামারী গ্রামের রাজিয়া খাতুনের মোবাইল নম্বরে গত বৃহস্পতিবার ফোন দেয় প্রতারক চক্র। শিক্ষা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ওই ফোনে উপবৃত্তির ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে সাড়ে ২৩ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রাজিয়ার বড় বোন সন্ধ্যা খাতুন বলেন, বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দেন এক নারী। রাজিয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বড় বোন হিসেবে পরিচয় দেন।
রাজিয়া তখন কলেজে প্রি-টেস্ট পরীক্ষা দিচ্ছিল। ওই নারী তখন রাজিয়া উপবৃত্তির ৫০ হাজার টাকা পেয়েছে জানিয়ে একটি বিকাশ নম্বরে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা দিতে বলেন। পরে তিতুদহ বাজারের কাজল টেলিকমে গিয়ে তিনি ওই টাকা প্রতারক চক্রের নম্বরে বিকাশ করেন।
তিনি আরও জানান, বিকাশ করা টাকা পরিশোধ না করায় তাকে সেখানে বসিয়ে রাখেন দোকানি। উপবৃত্তির টাকা আসার জন্য অপেক্ষার একপর্যায়ে তিনি দোকানিকে বললে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন।
সন্ধ্যা বলেন, তার পরিবার দরিদ্র হওয়ায় চড়া সুদে টাকা নিয়ে দোকানিকে সেই টাকা শোধ করতে হয়েছে।
ওই ঘটনার পরদিন শুক্রবার সদর উপজেলার বড়সলুয়া গ্রামের তানিয়া আক্তারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা। সে ওই কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
বড়সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার জানান, কলেজের প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে উপবৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে ফোন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছেন। লিখিত নোটিশও দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ ধরনের ফোন পেলে নম্বরটি তাকে দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাজটি একটু কঠিন তবে অসম্ভব নয়।
প্রতারক চক্র কীভাবে শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর ও পারিবারিক পরিচয় জানতে পারছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘চক্রের অনেক সদস্য এলাকায় অবস্থান করে এসব তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। সময় ও সুযোগ বুঝে কাজ শুরু করে তারা।’
সুত্র: নিউজবাংলা