শিক্ষক ও সহপাঠীদের স্বর্ণপদক উৎসর্গ করলেন ইতি
- আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২০
- / ২৪৬ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সংবর্ধনায়
বিশেষ প্রতিবেদক:
ব্যতিক্রম আয়োজনে প্রথমবার বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সেই শিক্ষার্থী আর কেউ নন, বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এসএ গেমসে তিনটি ক্যাটাগরিতে স্বর্ণজয়ী চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান ইতি খাতুন। গতকাল সোমবার সকালে এ আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার কিছু সময় আগে সপরিবারে বিদ্যালয়ে পৌঁছালে ইতিকে ফুল ছিটিয়ে ও ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেয় সহপাঠীসহ অনন্য শিক্ষার্থীরা। এরপর বিদ্যালয়ের হলরুমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের বক্তব্য পর্বে ইতির গোঁড়ার কথা, সফলতা ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করে বক্তব্য দেন ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাড. নুরুল ইসলাম মালিক, প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা, সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক শামসুনাহার শিলা, আলী নাসির, গোলাম মওলা, ঝিনুক বিদ্যাপিঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না, ইতির পিতা ইবাদত আলী প্রমুখ।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে ইতি খাতুন বলেন, ‘এ বিদ্যালয় থেকেই আমি যাত্রা শুরু করেছিলাম। সে সময় আমার শিক্ষক, শিক্ষিকা, সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধবসহ পরিচিতরা আমাকে অনেক ভালো ভালো পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছে বলেই আমি এগিয়ে যেতে সাহস পেয়েছি। আমি কখনো ভাবিনি যে আমি এ পর্যায়ে আসতে পারব। বিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম কোনো শিক্ষার্থী হিসেবে সংবর্ধনা নেব।’ তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় প্রথম আর্চারি ক্যাম্প ও পরবর্তীতে ঢাকাতে অনুশীলনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন আর্চারি ফেডারেশনের অন্যতম সদস্য সোহেল আকরাম স্যার। মূলত বাংলাদেশের আর্চারিকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে হাতে গোনা যে তিন-চারজন কাজ করছেন, তাঁদেরই একজন সোহেল স্যার। তিনিও এ চুয়াডাঙ্গার সন্তান। তাই আমার শ্রদ্ধেয় সব শিক্ষক, শিক্ষিকা, সহপাঠীদের উদ্দেশ্যে আমার স্বর্ণপদক উৎসর্গ করছি।’
বক্তব্য পর্ব শেষে ইতি খাতুনের হাতে সম্মাননা স্মারক, ১০ হাজার টাকার চেক ও বই তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ইতির মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়ার সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা।