ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, গভীর শ্রদ্ধা ও বিন¤্রচিত্তে বীর সন্তানদের স্মরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪০:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত,
সমীকরণ প্রতিবেদন:
ছড়ালো আলো, ছড়ালো আনন্দ। আনন্দ-উৎসব রাঙিয়ে দিল সবার হৃদয়। প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর আসে। আসে বিজয়ের দিন। ওড়ে বিজয় বৈজয়ন্তী। সবারই অভিন্ন সংকল্প মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে নেব। কোনো বাঁধা আমরা মানব না। ৪৮তম মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন রূপায়ণে বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছে বীর বাঙালি। কণ্ঠে কণ্ঠে, গানে গানে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়েছে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই ‘মুজিববর্ষ’ আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতি স্বরুপ বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে এবারের বিজয় দিবস। এ উদ্যাপনের প্রতিটি পরতে স্থান পেয়েছে একটি স্বাধীন, সার্বভৌমত্ব, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের ভূমিকা শীর্ষক নানা চিত্র।
বিজয় দিবসকে ঘিরে গতকাল সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সারা দেশে ছিল আনন্দঘন নানা কর্মসূচি। রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় সূর্যোদয়ের সময় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত ভবনশীর্ষে উত্তোলিত হয় ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। সব রকমের যানবাহনেও শোভা পেয়েছে ছোট ছোট পতাকা। শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেছেন লাখো-কোটি মানুষ। বীরের জাতি হিসেবে বাঙালির আত্মপ্রকাশের এই দিনটি নানা আয়োজনে উদ্যাপন করা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা আর বিজয়ের আনন্দে সারা দেশে উদ্যাপিত হয়েছে বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী। জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষ বিন¤্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ বীর শহীদকে। যাঁদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ। স্মৃতিসৌধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ।
মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে সেখানে। তখন তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল তাঁদের সালাম জানায়। এরপর জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান ও দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে বীর শহীদদের প্রতি আবারও শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়াও প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। এদিকে, মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকাল পৌনে আটটায় ধানম-ির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এদিকে, র‌্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুচকাওয়াজ, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, দোয়া ও মোনাজাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রর্দশন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং ৩১ বার তোপধ্বনি করাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। সেই সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ আশপাশ এলাকার মানুষ মেতে ওঠে বিজয়ের উৎসবে। বিজয় দিবসের আগের দিন থেকেই সরকারি অফিস আদালতসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো রঙিন আলোয় ঝলমলে করে তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা-উপজেলা শহরের সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোকেও জাতীয় পতাকার পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, বেলুন দিয়ে বর্ণাঢ্য সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। বড় বড় সড়ক-মহাসড়কে রাজনৈতিক নেতাদের নামে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শত শত তোরণ বানানো হয়। অন্যদিকে, বিভিন্ন দল, সংগঠনসহ ব্যক্তি উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় এবং অলিতে-গলিতে মাইকে বেজেছে দেশাত্মবোধক গান এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় ভাষণ।
চুয়াডাঙ্গা:
মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা আর বিজয়ের আনন্দে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় উদ্যাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয়ের ৪৮ বছর উপলক্ষে গতকাল সোমবার প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল আটটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলার সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, ব্যাংক-বীমা অফিস, দোকান-পাটগুলো বর্ণিল আলো ঝলমলে সাঁজে সজ্জিত করা হয়। একই সঙ্গে সঠিক মাপ ও রংয়ের জাতীয় পতাকা এবং রঙিন পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয়। জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে সদর হাসপাতাল, জেলা কারাগার, সরকারি শিশু পরিবার ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জেলার সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বেলা সাড়ে তিনটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্তমঞ্চে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, সিম্পোজিয়াম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিজয় দিবসের আনন্দমুখর আয়োজন সমাপ্ত হয়।
প্রথম প্রহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন:
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদীর কূলঘেষা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শহীদ আত্মার মাগফিরাত, দেশ এবং জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এরপর পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, জেলা কারাগারের পক্ষে জেল সুপার নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (আম্বিয়া), সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, এনজিও, সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠন এবং পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:
মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৭টায় শহীদ হাসান চত্বরে অবস্থিত শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টায় শহরে আনন্দ মিছিল বের হয়। আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, ডিপ্লোমা কৃষি ইনস্টিটিউট ও বিএডিসি পরিবারের সদস্যরা। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুজ্জামান লিটু, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নাহার কাকলী, যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক আফরোজা পারভিন ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক।
এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে জেলা যুবলীগ, চুয়াডাঙ্গা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীরের নেতৃত্বে কৃষকলীগ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের অপর একটি অংশ শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কর্মসূচি:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। এ সময় জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা ও পুরস্কার বিতরণ:
জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্মযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৮ বছর পূর্তিতে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে প্রধান অতিথি থেকে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। এ সময় শান্তির প্রতীক শ্বেত কপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তাঁরা। এরপর পাইলট করপোরাল সার্জেন্ট তন্ময়, স্বাধীন, মখলেছ ও মামুন গার্ড অব অনারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে চৌকস প্রহরায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করান। প্যারেড কমান্ডার ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ ইনচার্জ (আরআই) মো. আবু তৈয়ব। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সবার উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ভাষণ দেন।
বক্তব্য শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক শরীরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়েজ স্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ, হলদে পাখি, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন। কুচকাওয়াজ শেষে রকমারী সাঁজে নান্দনিক শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন অংশগ্রহণকারীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ, সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামানসহ জেলার সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আনুষ্ঠানিকতা শেষে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লেসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক ও আবু হোসেন। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মেডেল, নগদ এক হাজার টাকাসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি করে কম্বল প্রদান করা হয়। এরপর সংবর্ধনা মঞ্চ থেকেই বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশুদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
উন্নত খাবার পরিবেশন:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার (এতিমখানা), জেলা কারাগার ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে সব অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়াও বিজয় দিবস ম্যারাথন দৌঁড়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পৌরসভার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট, নগদ অর্থ ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
মহিলাদের আলোচনা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান:
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মহিলাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সৈয়দা তাহমিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ফারহানা চৌধুরী ও সুলতানা রাজিয়া। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের সব নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। পরে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সবার মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:
সন্ধ্যা ছয়টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও দেশাত্ববোধক গানের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। চিত্রঙ্কন প্রতিযোগিতায় আটজন ও দেশত্মবোধক গান প্রতিযোগিতার আটজনসহ মোট ১৬ জন বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠনটির সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈফ। আলোচান সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদরের বুজরুক গড়গড়ী-বুদ্ধিমানপাড়া যুব সংঘের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিকেল চারটায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আজিম জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন। ১৯টি ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন বলেন, ‘মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই। এ ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য খেলোয়াড় তৈরি হবে এবং তারা আগামীতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও পিপি অ্যাড. মো. বেলাল হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলার সভাপতি আফজালুল হক, চুয়াডাঙ্গা পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সাহিনা আক্তার রুবি, জয়নাল আবেদিন, রমজান আলী বিশ্বাস, মুলুকচাঁদ, আকরাম, তরিকুল জনি, সাবেক ছাত্রলীগের নেতা টিপু, রাজু হোসেন প্রমুখ। খেলায় সহযোগিতায় ছিলেন মজিদ, সুমা, তাহের, বিল্লাল, ইপা, রবিউল রাসেল ও লিখন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুমন ইকবাল।
দৈনিক সময়ের সমীকরণের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন:
মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে দৈনিক সময়ের সমীকরণের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এ সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক, সহসম্পাদক সুমন পারভেজ খান, হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক সেলিমুল হাবিব সেলিম, বিশেষ প্রতিবেদক এস এম শাফায়েত, নিজস্ব প্রতিবেদক আফজালুল হক, ডেস্ক ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, রিগ্যান এসকান্দার, প্রধান কম্পিউটার অপারেটর বজলুল আলম জীবন, সার্কুলেশন সহকারী তৌহিদুর রহমান তপু, দর্শনা অফিস সহকারী ওয়াসিম রয়েলসহ পত্রিকার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সরোজগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তেঁতুল শেখ কলেজ, আবুল হোসেন দাখিল মাদ্রাসা, আন নূর ইসলামী একাডেমি, সরোজগঞ্জ বেবি নাসিং স্কুল, সরোজগঞ্জ বেবি চাইল্ড কেয়ার হোম স্কুল, সরোজগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল, সরোজগঞ্জ আইডিয়াল বেবি স্কুল, সরোজগঞ্জ সোনামণি বেবি স্কুলসহ সরোজগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে মহান বিজয় দিবসের র‌্যালি বের হয় এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিয়ারপুর হাফেজী মাদ্রাসা, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহেবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদ জমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহালগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিয়াকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়।

আলমডাঙ্গা:আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকালে সরকারি ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধি ও বধ্যভূমির বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন আলী ও আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল হান্নান, সাবেক কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, আলহাজ্ব আনোয়ারুজ্জামান রাজা মাষ্টার, এম. সবেদ আলী, মঈনদ্দিন, ওমর ফারুকসহ ৩ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুলিশ, আনছার, ভিডিপি, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটস, গালর্সগাইড এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক বিজয় র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সাড়ে ১১টায় উপজেলা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ লিটন আলী। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুর রশিদ, যুদ্ধাহত, আলহাজ্ব সুলতান জোয়ার্দ্দার, ইয়াকুব আলী মাষ্টার, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম। সমাজসেবা অফিসার আফাজ উদ্দিনের উপস্থাদপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওসি তদন্ত গাজী শামিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনদ্দীন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান প্রমুখ, অন্যদিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্টানের আয়োজন করে।
অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান শেষে একটি বিশাল র‌্যালি আলমডাঙ্গা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবু মুছা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগাঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, আলম হোসেন, মহিদুল ইসলাম মুহিত, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারন সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, জেলা বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, আব্দুল হালিম মন্ডল, জেলা পরিষদ সদস্য আসাবুল হক ঠান্ডু, কাজল রেখা, তপন কুমার, জালাল উদ্দিন, খবির উদ্দিন, রানা উদ্দিন, সমির কুমার দে, রাহাব আলী,পরিমল কুমার কালু ঘোষ, যুবলীগ নেতা আহসান উল্লাহ, সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন, শামিম রেজা, আব্দুল গাফ্ফার, সাইফুর রহমান পিন্টু, কুমারী চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন, সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু ডালিম, মোল্লা জাফর উল্লাহ, সাহাবুল হক প্রমুখ।
অপর দিকে উপজেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে কৃষকলীগ অফিসের সামনে থেকে একটি বিশাল বিজয়র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক পানু, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বজলুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আসাদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক দিপক বিশ্বাস, আজিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌমেন্দ্র সাহা, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাহাবুল হক, মোহন মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ মাজারে ও বধ্যভূমির শহীদ বেদীতে মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকতার্-কর্মচারীগণ পুস্পমাল্য অপর্ন করেন। এরপর পৌরসভা চত্বরে বেলা ২টার সময় পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু এর সভাপত্তিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাবুদ্দিন, অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লাহ, অ্যাড. নাশির উদ্দিন মন্জু, হাজী শমসের মল্লিক, কাজী রবিউল হক, পৌর প্যানেল মেয়র সদর উদ্দিন ভোলা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব, মোঃ রমজান আলী, জাহাঙ্গীর নূরী বকুল, বিরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা মোমেনা বেগম, শুকুরন নেছা প্রমূখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে প্রাইজবন্ড দেওয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বক্তব্যে পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং কর মওকুফের দাবীতে অনুষ্ঠানের সভাপতি পৌর মেয়র সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে আবাসিক বসত বাড়ির হোল্ডিং কর প্রদান করতে হবে না মর্মে ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৯৭ জন উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেষে পৌরসভার আয়োজনে হাইস্কুল ফুটবল মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগতিা অনুষ্ঠিত হয়। ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বণিক সমিতি, শিক্ষকমন্ডলী, সুধিজন, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর পরিষদ। প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু সহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সালমুন আহম্মদ ডন, ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকতার্র উপস্থিতিতে প্রায় ৪ শত জনকে সৌজন্য উপহার প্রদান করা হয়। পৌরসভার পক্ষ থেকে মেয়র হাসান কাদির গনু পৌরবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘোষণা করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও একটি র‌্যালি শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ গোলাম সরোয়ার, সহকারী অধ্যাপক মোনায়েম হোসেন, জামাল উদ্দিন, রেজা উদ্দিন, মাহাবুব হোসেন, তাপস রশিদ, শফি উদ্দিন, আলম হোসেন প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, আমিরুল ইসলাম, সাহাবুল হকের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৮টায় শহিদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে উপজেলা চত্বরে ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করেন। একই ভাবে আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অনুরুপভাবে কর্মসূচি পালন করেন। এম. সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সকল কর্মসূচী পালন করেন। আপনজন মডেল স্কুলের পরিচালক রেজাউল হক লাবলুর নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুুর একাডেমী একইভাবে কর্মসূচী পালন করেন। সন্ধা ৭ টায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংগঠন, মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশন, আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।সাহিত্য পরিষদ প্রথমেই কবিতা আবৃতি দিয়ে অনুষ্টানের সুচনা করেন।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন,সাংস্কৃতিক কমিটির আহাবয়ক সমাজ সেবা কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন।পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বস্ত্রীক অনুষ্টানে উপস্থিত হয়ে সংতানুষ্টান উপভোগ করেন।
অন্যদিকে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে র‌্যালী সহ দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, আবু বক্কর সিদ্দীক আবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, সাংগাঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ আহম্মেদ সিদ্দিকি, সহসাংগাঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বকুল, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রোকন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বিল্পব, সাবেক চেয়ারম্যান তবারক হোসেন, শেরেগুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান চমক, জিল্লুর রহমান ওল্টু, রহিদুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, গোলাম হোসেন, জাহিদ হাসান শুভ, দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু, মনির হোসেন, নাসির উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আইনাল হক, হারুণ-অর রশিদ, আলম শাহ, মামুনার রশিদ, আমজাদ হোসেন, ঝন্টু মালিথা, রফিকুল ইসলাম, মাহাবুল মেম্বার, নুরুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন, ছিটু, প্রিন্স, ইবাদুল মেম্বার, রাজাবুল, ডা. সাইদ, মিজানুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, ঝন্টু প্রমুখ।
অপর দিকে, বিএনপির অপরাংশের সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলু, জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দিন ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শহিদুল কাউনাইন টিলু। প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ সাইফুল ইসলাম, এমদাদুল হক ডাবু, বোরহান উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, আলাউদ্দিন, ওহাব মাষ্টার, আমজাদ হোসেন, বিল্লাল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রজ্জাক, মাগরিব, মন্জু, রাশেদুল প্রমুখ।
এদিকে, কমলাপুর পিটিআই-এ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে পিটিআই চত্বরে সুপারেনটেন্ড মোল্যা শহীদুজ্জামানের সভাপতিত্বে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে দুটি ইভেন্টে বিজয়ী হয়ে পুরুস্কার পান জামিরুল ইসলাম খানসহ ৮ জন প্রশিক্ষণার্থী। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী সুপার আব্দুল মান্নান, অবসরপ্রাপ্ত ইন্সট্রাক্টর আলাউদ্দীন, ইন্সট্রাক্টর সাধারণ হারুন অর রশিদ, হাজি মোহা. আরিফ, মুন্সি শহিদুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, নবাগত লাইব্রেরিয়ান তরিকুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বড় বাবু আতিয়ার রহমান, সহযোগী লিয়ন মুন্সি, রাজু, সিরাজুল। সহযোগিতায় পিটিআই-এর প্রশিক্ষণার্থী সেলিম রেজা, আব্দুস সালাম।
দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় যথাযথ মর্যাদায় ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার প্রত্যুষে দামুড়হুদার চৌরাস্তার মোড়ে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটায় দামুড়হুদার নাটুদাহ-আটকবর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহিউদ্দীন, দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন সংগঠন। এরপর সকাল সাড়ে নয়টায় দামুড়হুদা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু। এ সময় সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন ও দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস। এরপর শান্তির প্রতীক পাঁয়রা ও বেলুন উড়ানো হয়। বেলা ১১টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-ছাত্রী, আমনন্ত্রিত অতিথি ও মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, দুপুর ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তর ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝণ্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান মনজু, জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবির ইউসুফসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও সব সমজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, পুরস্কার বিতরণ এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা:


মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার উদ্যোগে রাত ১২টা ১ মিনিটে ৪৮বার তোপ্পধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে আটটায় দর্শনা পৌরভার আয়োজনে দর্শনা রেল বাজার মাঠে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ছাড়াও দলমত নির্বিশেষ এবং বিভিন্ন ধরণের সংগঠন জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ এবং শপথবাক্য পাঠ করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সাবেক জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহাফুজুর রহমান মনজু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, দর্শনা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান প্রমুখ। মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন করেন দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমসহ মুক্তিযোদ্ধারা। শপথবাক্য পাঠ করান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. কমরেড শহিদুল ইসলাম। এরপর উপস্থিত সব সংগঠন র‌্যালি করে দর্শনা আনন্দ বাজার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে একে একে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এসব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দর্শনা প্রেসক্লাব, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, দর্শনা সরকারি কলেজ, দর্শনা অনির্বান থিয়েটার, সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, হিন্দোল সংগীত পরিষদ, দর্শনা উদীচী শিল্পোগোষ্ঠী, দর্শনা মেমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণ চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা পৌরসভা, দর্শনা ডি এস মাদ্রাসা, দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার, দর্শনা পরানপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা আজমপুর, দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর, দর্শনা শ্যামপুর, দর্শনা পশ্চিম রামনগর, দর্শনা শান্তিনগর, দর্শনা পূর্ব-রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লিটিল এনজেলস্ স্কুল, দর্শনা অংকুর আর্দশ বিদ্যালয়, দর্শনা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভৈরবী সাংস্কৃতিক সংগঠন, দর্শনা রেল-বাজার দোকান মালিক সমিতি, ফারিয়া সংগঠন, দর্শনা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন, দর্শনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন, দর্শনা ট্যাংকলরিও কার্ভাডভ্যান ইউনিয়ন, উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ অফিস ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগ। এ ছাড়া দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ এবং কার্পাসডাঙ্গায় নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
জীবননগর:


জীবননগরে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় জীবননগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর সকাল আটটায় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে পুরস্কার বিতারণ করা হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আ. সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিয়া, আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন দলু, নিজাম উদ্দিন, জীবননগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম আর বাবুসহ ফায়ার সার্ভিস, আনসার সদস্য, বিএনসিসি ইউনিট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে মাধবখালীতে বীর শহীদদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর:


নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় মেহেরপুর শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলাবাসীর পক্ষে প্রথমে জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী পুলিশের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ এস এম আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে কে এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীন, গণপূর্ত বিভাগের পক্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, এরপর পরই লেডিস ক্লাবের পক্ষে লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পতœী নাজমুন নাহার চৌধুরী, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী ও পুলিশ সুপারের পতœী মিসেস তাহেরা রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়মী লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এ দিকে এ দিন সকালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একটি বিজয় র‌্যালি বের হয়। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক কে এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, প্রচার সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আরিফুল এনাম বকুল, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামাল হোসেন জুয়েল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, সহসভাপতি আবিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান, তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ রাজনৈতিক সংগঠন এ দিন সকালে বিজয় র‌্যালি ও শোভাযাত্রা বের করে।
এরপরে এ দিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি ও পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী। পরে প্যারেড তাঁরা পরিদর্শন করেন। সেখানে শরীরচর্চা প্রদর্শন করে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন শেষে অতিথিরা উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়াও বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল, কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা প্রদর্শনী, আলোকসজ্জা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রক্তদানসহ বিভিন্ন কমসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় শহীদ সামছুজ্জোহা পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবসে উদ্যাপন অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে।
মেহেরপুরে বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি:


গৌরবময় বিজয়ের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে ১৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর জেলা বিএনপি শোভাযাত্রা করেছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ। বিএনপির অপারাংশে মহান বিজয় দিবসে লাখো শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মেহেরপুর জেলা বিএনপির পক্ষ হতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওমর ফারুক লিটনের নেতৃত্বে পৌর ঈদগাহ পাড়াস্থ বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিজয় র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে গিয়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক ফয়েজ মোহাম্মদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, বিএনপির নেতা একরামুল হক একা, আব্দুল করিম, জালাল উদ্দীন ফরিদ, আব্দুল লতিফ, জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লিয়ার, আলতাব হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, সহসাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম মিণ্টু, সহসাংগঠনিক গিয়াস উদ্দিন, লিটন উদ্দিন, ছাত্রনেতা ইয়াসিন, রুবেল, জেলা নবীন দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক সোহাগ উদ্দিন, নাইম, কালাম, বিল্লাল প্রমুখ।
মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেহেরপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কে এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, ভাষাসৈনিক ইসমাইল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক। এর আগে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। পরে তাঁদেরকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
মেহেরপুরে পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা:
বাংলাদেশ পুলিশ মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে পুলিশের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসিবুল আলম ও সহকারী পুলিশ সুপার তাসনিম হোসাইন। বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা আ. হান্নান, শেখ খাজা আহাম্মদ, আবুল কাসেম প্রমুখ। পরে সেখানে ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বারাদী:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর সদরের পাটকেলপোতায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার পাটকেলপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জাগ্রত যুব সংঘের উদ্যোগে এ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। জাগ্রত যুব সংঘ ও দিশারী ক্লাবের সভাপতি রানা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বারাদী ইউনিট আওয়ামী লীগের সভপতি শামিম ফেরদৌস, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আসিফ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, বারাদী ইউনিট ছাত্রলীগের সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রবিন, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও বারাদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্বাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লিটন, ফিরোজ, শামিম, সালমান, সানজিদ, রেজয়ান, লিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মনোয়ার হোসেন রনি।
আমঝুপি:
আমঝুপিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ, আমঝুপি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি আওলাদ হোসেন, হেলাল উদ্দীন, মিনারুল ইসলাম, মেম্বার আলফাজ হোসেন, ৭ নং ওয়াডের আ.লীগের সভাপতি আশরাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মন্টু, খায়রুল ইসলাম টুটুল। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করে। এ ছাড়া আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি আলিম মাদ্রাসা, সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এ আর বি কলেজ, আমঝুপি সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলাম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদবীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, তাতীলীগ, শ্রমিকলীগ, খোকসা ফ্রেন্ডস ক্লাব, এলএলএস, আমাদের আমঝুপি, প্রজন্ম সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
গাংনী:
গাংনীতে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রত্যুশে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদের চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গাংনী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. ইয়ানুর রহমান। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবাইদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধা সংসদের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, গাংনী প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলমসহ ওয়ার্কাস পাটি, সিপিবি পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতি সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা শেণি-পেশার মানুষ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবদন করেন।
অপর দিকে, দিবসটি পালনে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি পালন করে। সকাল সাড়ে ৮টায় মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজামান খোকন গাংনীর রেজাউল চত্বরে পতাকা উত্তোলন করেন। পরে একটি বিশাল র‌্যালি-সহকারে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারের পাদদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এরপর পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পতাকা উত্তোলন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিবসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, মেহেরপুরের গাংনীতে মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে গাংনী উপজেলা প্রশাসন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেন। গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মুন্তাজ আলী। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এ সময় গাংনী উপজেলার সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গাংনী শিল্পকলার স্থানীয় শিল্পীদের নৃত্য ও গানে উপজেলা চত্বরে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে গান ও নৃত্য উপভোগ করেন।
কোটচাঁদপুর:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের আয়োজনে গতকাল সোমবার সকাল থেকে কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ চত্বরে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শফিকুল আজম খান চঞ্চল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম ও সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাজুল ইসলাম। পরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকার সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবী ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা সুলতানা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, গভীর শ্রদ্ধা ও বিন¤্রচিত্তে বীর সন্তানদের স্মরণ

আপলোড টাইম : ১০:৪০:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত,
সমীকরণ প্রতিবেদন:
ছড়ালো আলো, ছড়ালো আনন্দ। আনন্দ-উৎসব রাঙিয়ে দিল সবার হৃদয়। প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর আসে। আসে বিজয়ের দিন। ওড়ে বিজয় বৈজয়ন্তী। সবারই অভিন্ন সংকল্প মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে নেব। কোনো বাঁধা আমরা মানব না। ৪৮তম মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন রূপায়ণে বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছে বীর বাঙালি। কণ্ঠে কণ্ঠে, গানে গানে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়েছে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই ‘মুজিববর্ষ’ আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতি স্বরুপ বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে এবারের বিজয় দিবস। এ উদ্যাপনের প্রতিটি পরতে স্থান পেয়েছে একটি স্বাধীন, সার্বভৌমত্ব, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের ভূমিকা শীর্ষক নানা চিত্র।
বিজয় দিবসকে ঘিরে গতকাল সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সারা দেশে ছিল আনন্দঘন নানা কর্মসূচি। রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় সূর্যোদয়ের সময় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত ভবনশীর্ষে উত্তোলিত হয় ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। সব রকমের যানবাহনেও শোভা পেয়েছে ছোট ছোট পতাকা। শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেছেন লাখো-কোটি মানুষ। বীরের জাতি হিসেবে বাঙালির আত্মপ্রকাশের এই দিনটি নানা আয়োজনে উদ্যাপন করা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা আর বিজয়ের আনন্দে সারা দেশে উদ্যাপিত হয়েছে বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী। জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষ বিন¤্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ বীর শহীদকে। যাঁদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ। স্মৃতিসৌধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ।
মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে সেখানে। তখন তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল তাঁদের সালাম জানায়। এরপর জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান ও দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে বীর শহীদদের প্রতি আবারও শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়াও প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। এদিকে, মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকাল পৌনে আটটায় ধানম-ির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এদিকে, র‌্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুচকাওয়াজ, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, দোয়া ও মোনাজাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রর্দশন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং ৩১ বার তোপধ্বনি করাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। সেই সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ আশপাশ এলাকার মানুষ মেতে ওঠে বিজয়ের উৎসবে। বিজয় দিবসের আগের দিন থেকেই সরকারি অফিস আদালতসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো রঙিন আলোয় ঝলমলে করে তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা-উপজেলা শহরের সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোকেও জাতীয় পতাকার পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, বেলুন দিয়ে বর্ণাঢ্য সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। বড় বড় সড়ক-মহাসড়কে রাজনৈতিক নেতাদের নামে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শত শত তোরণ বানানো হয়। অন্যদিকে, বিভিন্ন দল, সংগঠনসহ ব্যক্তি উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় এবং অলিতে-গলিতে মাইকে বেজেছে দেশাত্মবোধক গান এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় ভাষণ।
চুয়াডাঙ্গা:
মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা আর বিজয়ের আনন্দে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় উদ্যাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয়ের ৪৮ বছর উপলক্ষে গতকাল সোমবার প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল আটটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলার সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, ব্যাংক-বীমা অফিস, দোকান-পাটগুলো বর্ণিল আলো ঝলমলে সাঁজে সজ্জিত করা হয়। একই সঙ্গে সঠিক মাপ ও রংয়ের জাতীয় পতাকা এবং রঙিন পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয়। জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে সদর হাসপাতাল, জেলা কারাগার, সরকারি শিশু পরিবার ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জেলার সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বেলা সাড়ে তিনটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্তমঞ্চে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, সিম্পোজিয়াম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিজয় দিবসের আনন্দমুখর আয়োজন সমাপ্ত হয়।
প্রথম প্রহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন:
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদীর কূলঘেষা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শহীদ আত্মার মাগফিরাত, দেশ এবং জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এরপর পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, জেলা কারাগারের পক্ষে জেল সুপার নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (আম্বিয়া), সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, এনজিও, সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠন এবং পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:
মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৭টায় শহীদ হাসান চত্বরে অবস্থিত শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টায় শহরে আনন্দ মিছিল বের হয়। আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, ডিপ্লোমা কৃষি ইনস্টিটিউট ও বিএডিসি পরিবারের সদস্যরা। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুজ্জামান লিটু, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নাহার কাকলী, যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক আফরোজা পারভিন ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক।
এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে জেলা যুবলীগ, চুয়াডাঙ্গা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীরের নেতৃত্বে কৃষকলীগ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের অপর একটি অংশ শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কর্মসূচি:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। এ সময় জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা ও পুরস্কার বিতরণ:
জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্মযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৮ বছর পূর্তিতে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে প্রধান অতিথি থেকে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। এ সময় শান্তির প্রতীক শ্বেত কপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তাঁরা। এরপর পাইলট করপোরাল সার্জেন্ট তন্ময়, স্বাধীন, মখলেছ ও মামুন গার্ড অব অনারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে চৌকস প্রহরায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করান। প্যারেড কমান্ডার ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ ইনচার্জ (আরআই) মো. আবু তৈয়ব। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সবার উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ভাষণ দেন।
বক্তব্য শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক শরীরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়েজ স্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ, হলদে পাখি, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন। কুচকাওয়াজ শেষে রকমারী সাঁজে নান্দনিক শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন অংশগ্রহণকারীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ, সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামানসহ জেলার সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আনুষ্ঠানিকতা শেষে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লেসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক ও আবু হোসেন। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মেডেল, নগদ এক হাজার টাকাসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি করে কম্বল প্রদান করা হয়। এরপর সংবর্ধনা মঞ্চ থেকেই বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশুদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
উন্নত খাবার পরিবেশন:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার (এতিমখানা), জেলা কারাগার ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে সব অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়াও বিজয় দিবস ম্যারাথন দৌঁড়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পৌরসভার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট, নগদ অর্থ ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
মহিলাদের আলোচনা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান:
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মহিলাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সৈয়দা তাহমিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ফারহানা চৌধুরী ও সুলতানা রাজিয়া। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের সব নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। পরে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সবার মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:
সন্ধ্যা ছয়টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও দেশাত্ববোধক গানের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। চিত্রঙ্কন প্রতিযোগিতায় আটজন ও দেশত্মবোধক গান প্রতিযোগিতার আটজনসহ মোট ১৬ জন বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠনটির সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈফ। আলোচান সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদরের বুজরুক গড়গড়ী-বুদ্ধিমানপাড়া যুব সংঘের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিকেল চারটায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আজিম জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন। ১৯টি ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন বলেন, ‘মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই। এ ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য খেলোয়াড় তৈরি হবে এবং তারা আগামীতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও পিপি অ্যাড. মো. বেলাল হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলার সভাপতি আফজালুল হক, চুয়াডাঙ্গা পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সাহিনা আক্তার রুবি, জয়নাল আবেদিন, রমজান আলী বিশ্বাস, মুলুকচাঁদ, আকরাম, তরিকুল জনি, সাবেক ছাত্রলীগের নেতা টিপু, রাজু হোসেন প্রমুখ। খেলায় সহযোগিতায় ছিলেন মজিদ, সুমা, তাহের, বিল্লাল, ইপা, রবিউল রাসেল ও লিখন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুমন ইকবাল।
দৈনিক সময়ের সমীকরণের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন:
মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে দৈনিক সময়ের সমীকরণের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এ সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক, সহসম্পাদক সুমন পারভেজ খান, হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক সেলিমুল হাবিব সেলিম, বিশেষ প্রতিবেদক এস এম শাফায়েত, নিজস্ব প্রতিবেদক আফজালুল হক, ডেস্ক ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, রিগ্যান এসকান্দার, প্রধান কম্পিউটার অপারেটর বজলুল আলম জীবন, সার্কুলেশন সহকারী তৌহিদুর রহমান তপু, দর্শনা অফিস সহকারী ওয়াসিম রয়েলসহ পত্রিকার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সরোজগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তেঁতুল শেখ কলেজ, আবুল হোসেন দাখিল মাদ্রাসা, আন নূর ইসলামী একাডেমি, সরোজগঞ্জ বেবি নাসিং স্কুল, সরোজগঞ্জ বেবি চাইল্ড কেয়ার হোম স্কুল, সরোজগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল, সরোজগঞ্জ আইডিয়াল বেবি স্কুল, সরোজগঞ্জ সোনামণি বেবি স্কুলসহ সরোজগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে মহান বিজয় দিবসের র‌্যালি বের হয় এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিয়ারপুর হাফেজী মাদ্রাসা, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহেবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদ জমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহালগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিয়াকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়।

আলমডাঙ্গা:আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকালে সরকারি ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধি ও বধ্যভূমির বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন আলী ও আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল হান্নান, সাবেক কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, আলহাজ্ব আনোয়ারুজ্জামান রাজা মাষ্টার, এম. সবেদ আলী, মঈনদ্দিন, ওমর ফারুকসহ ৩ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুলিশ, আনছার, ভিডিপি, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটস, গালর্সগাইড এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক বিজয় র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সাড়ে ১১টায় উপজেলা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ লিটন আলী। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুর রশিদ, যুদ্ধাহত, আলহাজ্ব সুলতান জোয়ার্দ্দার, ইয়াকুব আলী মাষ্টার, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম। সমাজসেবা অফিসার আফাজ উদ্দিনের উপস্থাদপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওসি তদন্ত গাজী শামিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনদ্দীন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান প্রমুখ, অন্যদিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্টানের আয়োজন করে।
অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান শেষে একটি বিশাল র‌্যালি আলমডাঙ্গা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবু মুছা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগাঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, আলম হোসেন, মহিদুল ইসলাম মুহিত, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারন সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, জেলা বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, আব্দুল হালিম মন্ডল, জেলা পরিষদ সদস্য আসাবুল হক ঠান্ডু, কাজল রেখা, তপন কুমার, জালাল উদ্দিন, খবির উদ্দিন, রানা উদ্দিন, সমির কুমার দে, রাহাব আলী,পরিমল কুমার কালু ঘোষ, যুবলীগ নেতা আহসান উল্লাহ, সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন, শামিম রেজা, আব্দুল গাফ্ফার, সাইফুর রহমান পিন্টু, কুমারী চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন, সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু ডালিম, মোল্লা জাফর উল্লাহ, সাহাবুল হক প্রমুখ।
অপর দিকে উপজেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে কৃষকলীগ অফিসের সামনে থেকে একটি বিশাল বিজয়র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক পানু, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বজলুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আসাদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক দিপক বিশ্বাস, আজিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌমেন্দ্র সাহা, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাহাবুল হক, মোহন মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ মাজারে ও বধ্যভূমির শহীদ বেদীতে মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকতার্-কর্মচারীগণ পুস্পমাল্য অপর্ন করেন। এরপর পৌরসভা চত্বরে বেলা ২টার সময় পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু এর সভাপত্তিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাবুদ্দিন, অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লাহ, অ্যাড. নাশির উদ্দিন মন্জু, হাজী শমসের মল্লিক, কাজী রবিউল হক, পৌর প্যানেল মেয়র সদর উদ্দিন ভোলা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব, মোঃ রমজান আলী, জাহাঙ্গীর নূরী বকুল, বিরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা মোমেনা বেগম, শুকুরন নেছা প্রমূখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে প্রাইজবন্ড দেওয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বক্তব্যে পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং কর মওকুফের দাবীতে অনুষ্ঠানের সভাপতি পৌর মেয়র সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে আবাসিক বসত বাড়ির হোল্ডিং কর প্রদান করতে হবে না মর্মে ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৯৭ জন উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেষে পৌরসভার আয়োজনে হাইস্কুল ফুটবল মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগতিা অনুষ্ঠিত হয়। ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বণিক সমিতি, শিক্ষকমন্ডলী, সুধিজন, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর পরিষদ। প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু সহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সালমুন আহম্মদ ডন, ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকতার্র উপস্থিতিতে প্রায় ৪ শত জনকে সৌজন্য উপহার প্রদান করা হয়। পৌরসভার পক্ষ থেকে মেয়র হাসান কাদির গনু পৌরবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘোষণা করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও একটি র‌্যালি শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ গোলাম সরোয়ার, সহকারী অধ্যাপক মোনায়েম হোসেন, জামাল উদ্দিন, রেজা উদ্দিন, মাহাবুব হোসেন, তাপস রশিদ, শফি উদ্দিন, আলম হোসেন প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, আমিরুল ইসলাম, সাহাবুল হকের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৮টায় শহিদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে উপজেলা চত্বরে ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করেন। একই ভাবে আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অনুরুপভাবে কর্মসূচি পালন করেন। এম. সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সকল কর্মসূচী পালন করেন। আপনজন মডেল স্কুলের পরিচালক রেজাউল হক লাবলুর নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুুর একাডেমী একইভাবে কর্মসূচী পালন করেন। সন্ধা ৭ টায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংগঠন, মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশন, আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।সাহিত্য পরিষদ প্রথমেই কবিতা আবৃতি দিয়ে অনুষ্টানের সুচনা করেন।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন,সাংস্কৃতিক কমিটির আহাবয়ক সমাজ সেবা কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন।পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বস্ত্রীক অনুষ্টানে উপস্থিত হয়ে সংতানুষ্টান উপভোগ করেন।
অন্যদিকে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে র‌্যালী সহ দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, আবু বক্কর সিদ্দীক আবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, সাংগাঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ আহম্মেদ সিদ্দিকি, সহসাংগাঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বকুল, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রোকন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বিল্পব, সাবেক চেয়ারম্যান তবারক হোসেন, শেরেগুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান চমক, জিল্লুর রহমান ওল্টু, রহিদুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, গোলাম হোসেন, জাহিদ হাসান শুভ, দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু, মনির হোসেন, নাসির উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আইনাল হক, হারুণ-অর রশিদ, আলম শাহ, মামুনার রশিদ, আমজাদ হোসেন, ঝন্টু মালিথা, রফিকুল ইসলাম, মাহাবুল মেম্বার, নুরুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন, ছিটু, প্রিন্স, ইবাদুল মেম্বার, রাজাবুল, ডা. সাইদ, মিজানুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, ঝন্টু প্রমুখ।
অপর দিকে, বিএনপির অপরাংশের সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলু, জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দিন ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শহিদুল কাউনাইন টিলু। প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ সাইফুল ইসলাম, এমদাদুল হক ডাবু, বোরহান উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, আলাউদ্দিন, ওহাব মাষ্টার, আমজাদ হোসেন, বিল্লাল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রজ্জাক, মাগরিব, মন্জু, রাশেদুল প্রমুখ।
এদিকে, কমলাপুর পিটিআই-এ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে পিটিআই চত্বরে সুপারেনটেন্ড মোল্যা শহীদুজ্জামানের সভাপতিত্বে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে দুটি ইভেন্টে বিজয়ী হয়ে পুরুস্কার পান জামিরুল ইসলাম খানসহ ৮ জন প্রশিক্ষণার্থী। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী সুপার আব্দুল মান্নান, অবসরপ্রাপ্ত ইন্সট্রাক্টর আলাউদ্দীন, ইন্সট্রাক্টর সাধারণ হারুন অর রশিদ, হাজি মোহা. আরিফ, মুন্সি শহিদুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, নবাগত লাইব্রেরিয়ান তরিকুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বড় বাবু আতিয়ার রহমান, সহযোগী লিয়ন মুন্সি, রাজু, সিরাজুল। সহযোগিতায় পিটিআই-এর প্রশিক্ষণার্থী সেলিম রেজা, আব্দুস সালাম।
দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় যথাযথ মর্যাদায় ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার প্রত্যুষে দামুড়হুদার চৌরাস্তার মোড়ে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটায় দামুড়হুদার নাটুদাহ-আটকবর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহিউদ্দীন, দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন সংগঠন। এরপর সকাল সাড়ে নয়টায় দামুড়হুদা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু। এ সময় সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন ও দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস। এরপর শান্তির প্রতীক পাঁয়রা ও বেলুন উড়ানো হয়। বেলা ১১টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-ছাত্রী, আমনন্ত্রিত অতিথি ও মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, দুপুর ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তর ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝণ্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান মনজু, জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবির ইউসুফসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও সব সমজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, পুরস্কার বিতরণ এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা:


মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার উদ্যোগে রাত ১২টা ১ মিনিটে ৪৮বার তোপ্পধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে আটটায় দর্শনা পৌরভার আয়োজনে দর্শনা রেল বাজার মাঠে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ছাড়াও দলমত নির্বিশেষ এবং বিভিন্ন ধরণের সংগঠন জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ এবং শপথবাক্য পাঠ করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সাবেক জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহাফুজুর রহমান মনজু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, দর্শনা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান প্রমুখ। মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন করেন দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমসহ মুক্তিযোদ্ধারা। শপথবাক্য পাঠ করান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. কমরেড শহিদুল ইসলাম। এরপর উপস্থিত সব সংগঠন র‌্যালি করে দর্শনা আনন্দ বাজার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে একে একে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এসব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দর্শনা প্রেসক্লাব, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, দর্শনা সরকারি কলেজ, দর্শনা অনির্বান থিয়েটার, সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, হিন্দোল সংগীত পরিষদ, দর্শনা উদীচী শিল্পোগোষ্ঠী, দর্শনা মেমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণ চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা পৌরসভা, দর্শনা ডি এস মাদ্রাসা, দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার, দর্শনা পরানপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা আজমপুর, দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর, দর্শনা শ্যামপুর, দর্শনা পশ্চিম রামনগর, দর্শনা শান্তিনগর, দর্শনা পূর্ব-রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লিটিল এনজেলস্ স্কুল, দর্শনা অংকুর আর্দশ বিদ্যালয়, দর্শনা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভৈরবী সাংস্কৃতিক সংগঠন, দর্শনা রেল-বাজার দোকান মালিক সমিতি, ফারিয়া সংগঠন, দর্শনা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন, দর্শনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন, দর্শনা ট্যাংকলরিও কার্ভাডভ্যান ইউনিয়ন, উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ অফিস ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগ। এ ছাড়া দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ এবং কার্পাসডাঙ্গায় নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
জীবননগর:


জীবননগরে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় জীবননগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর সকাল আটটায় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে পুরস্কার বিতারণ করা হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আ. সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিয়া, আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন দলু, নিজাম উদ্দিন, জীবননগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম আর বাবুসহ ফায়ার সার্ভিস, আনসার সদস্য, বিএনসিসি ইউনিট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে মাধবখালীতে বীর শহীদদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর:


নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় মেহেরপুর শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলাবাসীর পক্ষে প্রথমে জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী পুলিশের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ এস এম আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে কে এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীন, গণপূর্ত বিভাগের পক্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, এরপর পরই লেডিস ক্লাবের পক্ষে লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পতœী নাজমুন নাহার চৌধুরী, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী ও পুলিশ সুপারের পতœী মিসেস তাহেরা রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়মী লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এ দিকে এ দিন সকালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একটি বিজয় র‌্যালি বের হয়। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক কে এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, প্রচার সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আরিফুল এনাম বকুল, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামাল হোসেন জুয়েল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, সহসভাপতি আবিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান, তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ রাজনৈতিক সংগঠন এ দিন সকালে বিজয় র‌্যালি ও শোভাযাত্রা বের করে।
এরপরে এ দিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি ও পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী। পরে প্যারেড তাঁরা পরিদর্শন করেন। সেখানে শরীরচর্চা প্রদর্শন করে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন শেষে অতিথিরা উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়াও বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল, কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা প্রদর্শনী, আলোকসজ্জা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রক্তদানসহ বিভিন্ন কমসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় শহীদ সামছুজ্জোহা পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবসে উদ্যাপন অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে।
মেহেরপুরে বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি:


গৌরবময় বিজয়ের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে ১৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর জেলা বিএনপি শোভাযাত্রা করেছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ। বিএনপির অপারাংশে মহান বিজয় দিবসে লাখো শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মেহেরপুর জেলা বিএনপির পক্ষ হতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওমর ফারুক লিটনের নেতৃত্বে পৌর ঈদগাহ পাড়াস্থ বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিজয় র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে গিয়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক ফয়েজ মোহাম্মদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, বিএনপির নেতা একরামুল হক একা, আব্দুল করিম, জালাল উদ্দীন ফরিদ, আব্দুল লতিফ, জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লিয়ার, আলতাব হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, সহসাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম মিণ্টু, সহসাংগঠনিক গিয়াস উদ্দিন, লিটন উদ্দিন, ছাত্রনেতা ইয়াসিন, রুবেল, জেলা নবীন দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক সোহাগ উদ্দিন, নাইম, কালাম, বিল্লাল প্রমুখ।
মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেহেরপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কে এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, ভাষাসৈনিক ইসমাইল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক। এর আগে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। পরে তাঁদেরকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
মেহেরপুরে পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা:
বাংলাদেশ পুলিশ মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে পুলিশের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসিবুল আলম ও সহকারী পুলিশ সুপার তাসনিম হোসাইন। বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা আ. হান্নান, শেখ খাজা আহাম্মদ, আবুল কাসেম প্রমুখ। পরে সেখানে ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বারাদী:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর সদরের পাটকেলপোতায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার পাটকেলপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জাগ্রত যুব সংঘের উদ্যোগে এ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। জাগ্রত যুব সংঘ ও দিশারী ক্লাবের সভাপতি রানা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বারাদী ইউনিট আওয়ামী লীগের সভপতি শামিম ফেরদৌস, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আসিফ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, বারাদী ইউনিট ছাত্রলীগের সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রবিন, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও বারাদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্বাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লিটন, ফিরোজ, শামিম, সালমান, সানজিদ, রেজয়ান, লিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মনোয়ার হোসেন রনি।
আমঝুপি:
আমঝুপিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ, আমঝুপি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি আওলাদ হোসেন, হেলাল উদ্দীন, মিনারুল ইসলাম, মেম্বার আলফাজ হোসেন, ৭ নং ওয়াডের আ.লীগের সভাপতি আশরাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মন্টু, খায়রুল ইসলাম টুটুল। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করে। এ ছাড়া আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি আলিম মাদ্রাসা, সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এ আর বি কলেজ, আমঝুপি সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলাম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদবীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, তাতীলীগ, শ্রমিকলীগ, খোকসা ফ্রেন্ডস ক্লাব, এলএলএস, আমাদের আমঝুপি, প্রজন্ম সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
গাংনী:
গাংনীতে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রত্যুশে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদের চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গাংনী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. ইয়ানুর রহমান। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবাইদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধা সংসদের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, গাংনী প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলমসহ ওয়ার্কাস পাটি, সিপিবি পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতি সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা শেণি-পেশার মানুষ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবদন করেন।
অপর দিকে, দিবসটি পালনে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি পালন করে। সকাল সাড়ে ৮টায় মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজামান খোকন গাংনীর রেজাউল চত্বরে পতাকা উত্তোলন করেন। পরে একটি বিশাল র‌্যালি-সহকারে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারের পাদদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এরপর পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পতাকা উত্তোলন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিবসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, মেহেরপুরের গাংনীতে মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে গাংনী উপজেলা প্রশাসন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেন। গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মুন্তাজ আলী। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এ সময় গাংনী উপজেলার সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গাংনী শিল্পকলার স্থানীয় শিল্পীদের নৃত্য ও গানে উপজেলা চত্বরে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে গান ও নৃত্য উপভোগ করেন।
কোটচাঁদপুর:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের আয়োজনে গতকাল সোমবার সকাল থেকে কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ চত্বরে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শফিকুল আজম খান চঞ্চল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম ও সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাজুল ইসলাম। পরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকার সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবী ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা সুলতানা।