ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শব্দদূষণ রোধে ইসলাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের জন্য এমন কোনো কাজ করা কখনো শোভনীয় নয় যাতে অন্য কষ্ট পায়। চিৎকার-চেঁচামেচি ও শোরগোল তথা শব্দদূষণ মানুষের চিন্তাকে বিক্ষিপ্ত করে, মনোযোগে বিঘœ ঘটায়। যারা মনোযোগের সঙ্গে মস্তিষ্কের কাজে মগ্ন থাকেন তাদের জন্য শব্দদূষণ একটি বিরক্তিকর বিষয়। সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী মানুষের অনেক শ্রম প- করে দিতে পারে একটুখানি শব্দ। পড়াশোনা, লেখালেখিসংক্রান্ত কাজে যারা মগ্ন থাকেন শব্দের তীব্রতা তাদের কাজকেও প্রচ-ভাবে বাধাগ্রস্ত করে। মানুষের কষ্ট হয়, বিরক্তির উদ্রেক ঘটায় অথবা কাজে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে কোনো কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নিচু কর; নিশ্চয় সবচেয়ে নিকৃষ্ট আওয়াজ হলো গাধার আওয়াজ।’ মুক্ত মনে কথা বলা, চিত্তবিনোদনের আয়োজন, অবসর সময় কাটানোর নানা ব্যবস্থা এসব কিছুর অধিকার মানুষের মৌলিকভাবে আছে। তবে মানুষের অধিকারের সীমারেখা হলো অন্যের অধিকার যেন নষ্ট না হয়। এমন কোনো অধিকার চর্চা করা যাবে না যা অন্যের অধিকারকে খর্ব করে। আপনি নিজের জায়গায় এমনভাবে ঘর নির্মাণ করতে পারবেন না যা অন্যের বসবাসের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদির অতিমাত্রায় আওয়াজ করাও বৈধ নয়। কারণ তা প্রতিবেশীর শান্তি বিনষ্ট করে কিংবা তাকে ঘাবড়ে দেয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শব্দদূষণ রোধে ইসলাম

আপলোড টাইম : ১০:২০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের জন্য এমন কোনো কাজ করা কখনো শোভনীয় নয় যাতে অন্য কষ্ট পায়। চিৎকার-চেঁচামেচি ও শোরগোল তথা শব্দদূষণ মানুষের চিন্তাকে বিক্ষিপ্ত করে, মনোযোগে বিঘœ ঘটায়। যারা মনোযোগের সঙ্গে মস্তিষ্কের কাজে মগ্ন থাকেন তাদের জন্য শব্দদূষণ একটি বিরক্তিকর বিষয়। সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী মানুষের অনেক শ্রম প- করে দিতে পারে একটুখানি শব্দ। পড়াশোনা, লেখালেখিসংক্রান্ত কাজে যারা মগ্ন থাকেন শব্দের তীব্রতা তাদের কাজকেও প্রচ-ভাবে বাধাগ্রস্ত করে। মানুষের কষ্ট হয়, বিরক্তির উদ্রেক ঘটায় অথবা কাজে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে কোনো কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নিচু কর; নিশ্চয় সবচেয়ে নিকৃষ্ট আওয়াজ হলো গাধার আওয়াজ।’ মুক্ত মনে কথা বলা, চিত্তবিনোদনের আয়োজন, অবসর সময় কাটানোর নানা ব্যবস্থা এসব কিছুর অধিকার মানুষের মৌলিকভাবে আছে। তবে মানুষের অধিকারের সীমারেখা হলো অন্যের অধিকার যেন নষ্ট না হয়। এমন কোনো অধিকার চর্চা করা যাবে না যা অন্যের অধিকারকে খর্ব করে। আপনি নিজের জায়গায় এমনভাবে ঘর নির্মাণ করতে পারবেন না যা অন্যের বসবাসের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদির অতিমাত্রায় আওয়াজ করাও বৈধ নয়। কারণ তা প্রতিবেশীর শান্তি বিনষ্ট করে কিংবা তাকে ঘাবড়ে দেয়।