ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ল্যান্ডফোনে চালু হচ্ছে ভিডিও কল, কনফারেন্স

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

29200_landসমীকরণ ডেস্ক: ল্যান্ডফোনে ভিডিও কল ও ভিডিও কনফারেন্স চালু হতে যাচ্ছে। ফোনে কথা বলা বাদ দিয়ে ইন্টারনেট চালু রাখার দিনও শেষ। এখন থেকে টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে গ্রাহকরা একই সঙ্গে কথা বলা ও উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য আসছে নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক (এনজিএন) প্রযুক্তি। ‘মর্ডানাইজেশন অফ টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেকটিভিটি (এমওটিএন)’-এ প্রকল্পের মাধ্যমেই এভাবে টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ প্রকল্পে চীন সরকার এক হাজার আট শ’ ৫২ কোটি ৪৪ হাজার টাকা ঋণ সহায়তা দেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার দেবে প্রায় দুই শ’ কোটি টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। গত ২৪শে আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির  বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নে একক ঠিকাদার হিসেবে কনসোর্টিয়াম অফ মেসার্স জেডটিই হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড এবং মেসার্স জেডটিই করপোরেশনকে মনোনীত করা হয়েছে। চীন সরকার মনোনীত এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবা চালুর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মনে করছে, ফিক্সড ফোনের গতানুগতিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিটিসিএল’র পক্ষে কারিগরি ও আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই টিকে থাকা কঠিন। এছাড়া কপার বেইজড ফিক্সড ফোনের বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত আসতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের প্রযুক্তির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রেই পরিচালনা ব্যয়ের সমান আয় করা সম্ভব হয় না। এসব নানা বিষয় চিন্তা করে দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিএন্ডটি বোর্ডের আওতাধীন শক্তিশালী ট্রান্সমিশন ও ডাটা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং সেবার মান পর্যবেক্ষণ ও ত্রুটিমুক্ত করার জন্য অত্যাধুনিক পদ্ধতি স্থাপন করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ল্যান্ডফোনে চালু হচ্ছে ভিডিও কল, কনফারেন্স

আপলোড টাইম : ০১:৪৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৬

29200_landসমীকরণ ডেস্ক: ল্যান্ডফোনে ভিডিও কল ও ভিডিও কনফারেন্স চালু হতে যাচ্ছে। ফোনে কথা বলা বাদ দিয়ে ইন্টারনেট চালু রাখার দিনও শেষ। এখন থেকে টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে গ্রাহকরা একই সঙ্গে কথা বলা ও উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য আসছে নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক (এনজিএন) প্রযুক্তি। ‘মর্ডানাইজেশন অফ টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেকটিভিটি (এমওটিএন)’-এ প্রকল্পের মাধ্যমেই এভাবে টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ প্রকল্পে চীন সরকার এক হাজার আট শ’ ৫২ কোটি ৪৪ হাজার টাকা ঋণ সহায়তা দেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার দেবে প্রায় দুই শ’ কোটি টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। গত ২৪শে আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির  বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নে একক ঠিকাদার হিসেবে কনসোর্টিয়াম অফ মেসার্স জেডটিই হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড এবং মেসার্স জেডটিই করপোরেশনকে মনোনীত করা হয়েছে। চীন সরকার মনোনীত এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবা চালুর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মনে করছে, ফিক্সড ফোনের গতানুগতিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিটিসিএল’র পক্ষে কারিগরি ও আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই টিকে থাকা কঠিন। এছাড়া কপার বেইজড ফিক্সড ফোনের বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত আসতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের প্রযুক্তির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রেই পরিচালনা ব্যয়ের সমান আয় করা সম্ভব হয় না। এসব নানা বিষয় চিন্তা করে দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিএন্ডটি বোর্ডের আওতাধীন শক্তিশালী ট্রান্সমিশন ও ডাটা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং সেবার মান পর্যবেক্ষণ ও ত্রুটিমুক্ত করার জন্য অত্যাধুনিক পদ্ধতি স্থাপন করা হচ্ছে।