ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লিপটন গুমের মামলায় আলোচিত শিক্ষিকা তানিয়া বরখাস্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ট্রাক ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম লিপটন (২৬) কে গুম করা মামলার প্রধান আসামী শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তানিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি স্কুল কমিটির সভার মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করেন। ইউএনও উসমান গনি এ খবরের সত্যতা নিশ্চত করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব জানান, কোন শিক্ষক ফৌজদারী মামলায় জেল হাজতে গেলে তাকে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। তারপর মামলায় নির্দোষ প্রমানিত হলে আবার চাকরীতে ওই শিক্ষক পুর্নবহাল হবেন। জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে মামলা হলে লিপটন গুম মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন তানিয়া। তার সাথে ৮ আসামীও জামিন নেন। মেয়াদ শেষ হলে আসামীরা নি¤œ আদালতে হাজির হলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ তার তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শৈলকুপার ওসি আইয়ুবুর রহমান জানান, তানিয়ার দেওয়া তথ্য তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহের একটি আদালতে তার জামিন শুনানী ছিল। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য লিপটনকে ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা করার তদন্ত সংস্থা পিবিআই’র সন্দেহ থেকে আদালতের নির্দেশে শৈলকুপা থানায় গুম মামলা হয়। গত ৪ জানুয়ারী থেকে লিপটন নিখোঁজ রয়েছে। তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের সন্দেহ লিপটনকে হত্যা করা হয়েছে। লিপটন শৈলকুপা শহরের হাবিবপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। ঝিনাইদহ পিবিআইর এসআই গাবুর আলী সরদার একাধিক সাক্ষির সাক্ষ্য শেষে আদালতে তার মতামত উপস্থাপন করে জানান, আসামী শৈলকুপা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তানিয়া শৈলকুপার কাজী পাড়ার মৃত আশরাফুল আলমের স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ের সাথে নিখোঁজ লিপটনের পরকীয়া ছিল। সেই সুত্র ধরে লিপটন তানিয়ার বাড়িতে যাতায়াত করতো। নিখোঁজ হওয়ার পর তানিয়া তার ইটভাটার সরদার নজরুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তির সাথ মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি পিবিআই রহস্যজনক চোখে দেখে। মামলার বাদী ও লিপটনের পিতা আব্দুল খালেকের আশংকা লিপটনের দুইটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রা-ট-১৮-৮৪৫৭ ও ঝিনাইদহ-ট-১১-১২৯৪) আত্মসাত করার জন্য তানিয়া তাকে ইটভাটার জলন্ত আগুনে পুড়িয়ে খুন করেছে। কারণ লিপটন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার দুইটি ট্রাকের ভাড়া আদায় করে তানিয়া। ট্রাক দুইটি এখনো পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে বলে লিপটনের পিতা অভিযোগ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

লিপটন গুমের মামলায় আলোচিত শিক্ষিকা তানিয়া বরখাস্ত

আপলোড টাইম : ১১:২০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: ট্রাক ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম লিপটন (২৬) কে গুম করা মামলার প্রধান আসামী শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তানিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি স্কুল কমিটির সভার মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করেন। ইউএনও উসমান গনি এ খবরের সত্যতা নিশ্চত করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব জানান, কোন শিক্ষক ফৌজদারী মামলায় জেল হাজতে গেলে তাকে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। তারপর মামলায় নির্দোষ প্রমানিত হলে আবার চাকরীতে ওই শিক্ষক পুর্নবহাল হবেন। জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে মামলা হলে লিপটন গুম মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন তানিয়া। তার সাথে ৮ আসামীও জামিন নেন। মেয়াদ শেষ হলে আসামীরা নি¤œ আদালতে হাজির হলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ তার তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শৈলকুপার ওসি আইয়ুবুর রহমান জানান, তানিয়ার দেওয়া তথ্য তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহের একটি আদালতে তার জামিন শুনানী ছিল। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য লিপটনকে ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা করার তদন্ত সংস্থা পিবিআই’র সন্দেহ থেকে আদালতের নির্দেশে শৈলকুপা থানায় গুম মামলা হয়। গত ৪ জানুয়ারী থেকে লিপটন নিখোঁজ রয়েছে। তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের সন্দেহ লিপটনকে হত্যা করা হয়েছে। লিপটন শৈলকুপা শহরের হাবিবপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। ঝিনাইদহ পিবিআইর এসআই গাবুর আলী সরদার একাধিক সাক্ষির সাক্ষ্য শেষে আদালতে তার মতামত উপস্থাপন করে জানান, আসামী শৈলকুপা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তানিয়া শৈলকুপার কাজী পাড়ার মৃত আশরাফুল আলমের স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ের সাথে নিখোঁজ লিপটনের পরকীয়া ছিল। সেই সুত্র ধরে লিপটন তানিয়ার বাড়িতে যাতায়াত করতো। নিখোঁজ হওয়ার পর তানিয়া তার ইটভাটার সরদার নজরুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তির সাথ মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি পিবিআই রহস্যজনক চোখে দেখে। মামলার বাদী ও লিপটনের পিতা আব্দুল খালেকের আশংকা লিপটনের দুইটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রা-ট-১৮-৮৪৫৭ ও ঝিনাইদহ-ট-১১-১২৯৪) আত্মসাত করার জন্য তানিয়া তাকে ইটভাটার জলন্ত আগুনে পুড়িয়ে খুন করেছে। কারণ লিপটন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার দুইটি ট্রাকের ভাড়া আদায় করে তানিয়া। ট্রাক দুইটি এখনো পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে বলে লিপটনের পিতা অভিযোগ করেন।