ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লাগামহীন অপরাধীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

তালিকা হচ্ছে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ মাদকব্যবসা দখলবাজ ও তাদের পৃষ্ঠপোষক মন্ত্রী-এমপিদের
সমীকরণ প্রতিবেদন:
রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় হঠাৎ করেই সামাজিক অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ ও সরকারে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। গত ছয় মাসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দলীয় নেতা-এমপিদের নাম আসায় আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় চরম ক্ষুব্ধ। কিছু এমপি-মন্ত্রী ও নেতার প্রশ্রয়ে অপরাধীরা অনেকটাই লাগামহীন। তাই বেপরোয়া এমপি-মন্ত্রী ও নেতার লাগাম টেনে ধরতে কঠোর হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। যেসব এমপি-মন্ত্রী ও নেতা ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কিংবা ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি ও বরগুনার রিফাত হত্যাকা-ের মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সম্পৃক্তদের মদদ দিচ্ছেন তাদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য দুটি বিশেষ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকার ও দলের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনায় বিরোধী দলের আন্দোলনকে মোকাবিলা করতে না হলেও বেশ কিছু সামাজিক অপরাধে দলের নেতা, এমপিদের নাম আসায় বিরক্ত দল ও সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল। বিশেষ করে ফেনীর নুসরাতের পর বরগুনায় রিফাত হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। গতকালও চট্টগামে যুবলীগের এক কর্মীকে একই সংগঠনের কর্মীরা দিনদুপুরে বেধড়ক পিটিয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশেই কিছু এমপি নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে অন্য দল থেকে কিছু লোক ভিড়িয়েছেন। তাদের নানা অপরাধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়ে দলের দুর্নাম করার খবর আছে আওয়ামী লীগ ও সরকারের উচ্চপর্যায়ে। এ ছাড়া এদের অনেকেই মাদকের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য বেপরোয়া নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরি, তাদের অপকর্মের ধরন ও বর্ণনা এবং এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের অপরাধের ধরন বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ফেনীর ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, টাঙ্গাইলে দলীয় নেতা ফারুক হত্যায় জড়িত থাকায় দলীয় এমপি আমানুর রহমান রানা রেহাই পাননি। বরগুনায় রিফাত হত্যায়ও যত বড় নেতাই সম্পৃক্ত থাকুন না কেন, রেহাই পাবেন না। তাদের শাস্তি হবেই।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। যারা অপকর্মকারী ও মদদদাতা তাদের বিরুদ্ধে সিরিয়াস অ্যাকশনে যাব। প্রধানমন্ত্রী চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, অপরাধী যেই হোক-শাস্তি তাকে পেতেই হবে। সে যত বড় প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী কিংবা নেতাই হোন? রেহাই নেই। অতীতেও কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।’ গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার নির্দেশে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ওই অধ্যক্ষ এক সময়ের জামায়াতের নেতা হলেও স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের আশ্রয়ে চলতেন। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন নেতা। গত বুধবার সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ এলাকায় রিফাত শরীফ নামে এক যুবককে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রিফাত শরীফ খুনের প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে স্থানীয় এমপি ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুর পুত্র সুনাম দেবনাথ মদদ দিয়ে থাকেন। আরেক হত্যাকারী রিফাত ও রিশান আওয়ামী লীগের অন্য অংশের নেতৃত্বে থাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের আত্মীয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দলীয় এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম আসায় ক্ষুব্ধ দলীয় হাইকমান্ড।
জানা গেছে, একশ্রেণির নেতা-কর্মী দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ততটা সক্রিয় না হলেও তারা দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অপর্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা কখনো ঝামেলায় পড়লে দ্রুত স্থানীয় এমপি কিংবা বড় কোনো নেতার আশ্রয় নেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের অপকমের্র দায় সরকার তথা দলের ওপর পড়ছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামীতে দলীয় এমপি কিংবা বড় কোনো নেতা যাতে কোনো দুর্নীতিবাজ কিংবা সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় না দেন এজন্য তাদের লাগাম টানা হবে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনায় জনগণের বিশাল ম্যান্ডেট পাওয়ার পর দল যদি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারে, দলের ভিতরে ও বাইরে দুর্নীতি বন্ধ, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দানকারী রাঘব বোয়ালদের দমনে ব্যর্থ হয় এবং সামাজিক অপরাধ সংযত করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় তাহলে এই নিরঙ্কুশ বিজয়ের ফসল ধরে রাখা সম্ভব হবে না। ক্ষমতাসীন দলটির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, টানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকায় ছলে-বলে-কৌশলে অপরাধ জগতের কেউ কেউ অত্যন্ত চুপিসারে দলে ঢুকে পড়েছে। তারা দলকে ভাঙিয়ে নিজেদের রাজ্যের প্রসার ঘটিয়েছে। টেন্ডারবাজি, দখলবাজি ও নানা কর্মকান্ডে র মধ্য দিয়ে বিশাল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। অথচ তাদের নানা অপকর্মের দায় দলের ঘাড়ে এসে চেপেছে। তাই এবার দলে শুদ্ধি অভিযান শুরু করা হবে। যাতে নতুন করে কোনো কলঙ্কের দায় দলের গায়ে না লাগে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

লাগামহীন অপরাধীরা

আপলোড টাইম : ১০:২৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯

তালিকা হচ্ছে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ মাদকব্যবসা দখলবাজ ও তাদের পৃষ্ঠপোষক মন্ত্রী-এমপিদের
সমীকরণ প্রতিবেদন:
রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় হঠাৎ করেই সামাজিক অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ ও সরকারে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। গত ছয় মাসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দলীয় নেতা-এমপিদের নাম আসায় আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় চরম ক্ষুব্ধ। কিছু এমপি-মন্ত্রী ও নেতার প্রশ্রয়ে অপরাধীরা অনেকটাই লাগামহীন। তাই বেপরোয়া এমপি-মন্ত্রী ও নেতার লাগাম টেনে ধরতে কঠোর হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। যেসব এমপি-মন্ত্রী ও নেতা ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কিংবা ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি ও বরগুনার রিফাত হত্যাকা-ের মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সম্পৃক্তদের মদদ দিচ্ছেন তাদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য দুটি বিশেষ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকার ও দলের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনায় বিরোধী দলের আন্দোলনকে মোকাবিলা করতে না হলেও বেশ কিছু সামাজিক অপরাধে দলের নেতা, এমপিদের নাম আসায় বিরক্ত দল ও সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল। বিশেষ করে ফেনীর নুসরাতের পর বরগুনায় রিফাত হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। গতকালও চট্টগামে যুবলীগের এক কর্মীকে একই সংগঠনের কর্মীরা দিনদুপুরে বেধড়ক পিটিয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশেই কিছু এমপি নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে অন্য দল থেকে কিছু লোক ভিড়িয়েছেন। তাদের নানা অপরাধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়ে দলের দুর্নাম করার খবর আছে আওয়ামী লীগ ও সরকারের উচ্চপর্যায়ে। এ ছাড়া এদের অনেকেই মাদকের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য বেপরোয়া নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরি, তাদের অপকর্মের ধরন ও বর্ণনা এবং এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের অপরাধের ধরন বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ফেনীর ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, টাঙ্গাইলে দলীয় নেতা ফারুক হত্যায় জড়িত থাকায় দলীয় এমপি আমানুর রহমান রানা রেহাই পাননি। বরগুনায় রিফাত হত্যায়ও যত বড় নেতাই সম্পৃক্ত থাকুন না কেন, রেহাই পাবেন না। তাদের শাস্তি হবেই।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। যারা অপকর্মকারী ও মদদদাতা তাদের বিরুদ্ধে সিরিয়াস অ্যাকশনে যাব। প্রধানমন্ত্রী চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, অপরাধী যেই হোক-শাস্তি তাকে পেতেই হবে। সে যত বড় প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী কিংবা নেতাই হোন? রেহাই নেই। অতীতেও কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।’ গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার নির্দেশে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ওই অধ্যক্ষ এক সময়ের জামায়াতের নেতা হলেও স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের আশ্রয়ে চলতেন। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন নেতা। গত বুধবার সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ এলাকায় রিফাত শরীফ নামে এক যুবককে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রিফাত শরীফ খুনের প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে স্থানীয় এমপি ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুর পুত্র সুনাম দেবনাথ মদদ দিয়ে থাকেন। আরেক হত্যাকারী রিফাত ও রিশান আওয়ামী লীগের অন্য অংশের নেতৃত্বে থাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের আত্মীয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দলীয় এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম আসায় ক্ষুব্ধ দলীয় হাইকমান্ড।
জানা গেছে, একশ্রেণির নেতা-কর্মী দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ততটা সক্রিয় না হলেও তারা দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অপর্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা কখনো ঝামেলায় পড়লে দ্রুত স্থানীয় এমপি কিংবা বড় কোনো নেতার আশ্রয় নেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের অপকমের্র দায় সরকার তথা দলের ওপর পড়ছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামীতে দলীয় এমপি কিংবা বড় কোনো নেতা যাতে কোনো দুর্নীতিবাজ কিংবা সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় না দেন এজন্য তাদের লাগাম টানা হবে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনায় জনগণের বিশাল ম্যান্ডেট পাওয়ার পর দল যদি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারে, দলের ভিতরে ও বাইরে দুর্নীতি বন্ধ, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দানকারী রাঘব বোয়ালদের দমনে ব্যর্থ হয় এবং সামাজিক অপরাধ সংযত করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় তাহলে এই নিরঙ্কুশ বিজয়ের ফসল ধরে রাখা সম্ভব হবে না। ক্ষমতাসীন দলটির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, টানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকায় ছলে-বলে-কৌশলে অপরাধ জগতের কেউ কেউ অত্যন্ত চুপিসারে দলে ঢুকে পড়েছে। তারা দলকে ভাঙিয়ে নিজেদের রাজ্যের প্রসার ঘটিয়েছে। টেন্ডারবাজি, দখলবাজি ও নানা কর্মকান্ডে র মধ্য দিয়ে বিশাল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। অথচ তাদের নানা অপকর্মের দায় দলের ঘাড়ে এসে চেপেছে। তাই এবার দলে শুদ্ধি অভিযান শুরু করা হবে। যাতে নতুন করে কোনো কলঙ্কের দায় দলের গায়ে না লাগে।