ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লাইলাতুল কদর রাতে আমাদের করণীয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম-কর্ম:রমজানের শেষ দশকে এমন এক রাত আছে, যাকে কোরআনের ভাষায় লাইলাতুল কদর এবং লাইলাতুল মুবারকাহ বলে অবহিত করা হয়েছে এবং তাকে এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলা হয়েছে। লাইলাতুন অর্থ রাত্রি, রজনি। কদরের দুটি অর্থ রয়েছে। ১. কদর অর্থ মাহাত্ম্য ও সম্মান। এর মাহাত্ম্য ও সম্মানের কারণে একে লাইলাতুল কদর তথা মহিমান্বিত রাত বলা হয়। হজরত আবু বকর ওয়াররাক (রহ.) বলেন, এ রাত্রিকে লাইলাতুল কদর বলার কারণ এই যে, আমল না করার কারণে এর আগে যার কোনো সম্মান ও মূল্য ছিল না, সে এ রাত্রিতে তওবা-ইস্তেগফার ও ইবাদতের মাধ্যমে সম্মানিত হয়ে যায়। ২. কদর অর্থ নির্দিষ্ট করা ও সিদ্ধান্ত করা। অর্থাৎ লাইলাতুল কদর এমন এক রাত, যে রাতে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বস্তুর সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করেন। তার সময় নির্দিষ্ট করেন ও প্রত্যেক বস্তুর ভাগ্য নির্ধারণ করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ওই রাতে সব বিষয়ের সুষ্ঠু ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত আমার নির্দেশক্রমে ঘোষণা করা হয়। (সূরা আদ-দুখান)। লাইলাতুল কদরের ফজিলত : এ রাতের মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, আল্লাহ তায়ালা এ রাত সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা (সূরা আল-কদর) অবতীর্ণ করেছেন, যা কেয়ামত পর্যন্ত পঠিত থাকবে। লাইলাতুল কদরের ফজিলতের অন্যতম কারণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা এ রাতে মানবজাতির পথপ্রদর্শনের জন্য পবিত্র কোরআনের মতো বিরাট নেয়ামত নাজিল করেছেন। এর চেয়ে বৃহত্তর কোনো নেয়ামত না মানুষ ধারণা করতে পারে, না কামনা করতে পারে। এ মঙ্গল ও বরকত এবং মহত্ত্ব ও ফজিলতের ভিত্তিতেই পবিত্র কোরআন তাকে এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর বলে ঘোষণা করেছে। মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (অর্থাৎ, তিরাশি বছরের চেয়েও এর মূল্য বেশি) (সূরা আল-কদর)। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে করিম (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমানের সঙ্গে এবং আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়াবে, তার পেছনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বোখারি ও মুসলিম)। মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বলে বর্ণিত হাদিস শরিফে পেছনের গোনাহের সঙ্গে সঙ্গে আগের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। একটি হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, যখন লাইলাতুল কদর আসে, তখন জিবরাইল (আ.) অন্য ফেরেশতাদের সঙ্গে জমিনে নেমে আসেন এবং প্রত্যেক ওই বান্দার জন্য রহমত ও মাগফিরাতের দোয়া করেন, যারা দাঁড়িয়ে, বসে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে রত রয়েছেন। (বায়হাকি)। অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, হে লোকসকল! তোমাদের মধ্যে এমন এক রাত এসেছে, যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রইল, সে সব ধরনের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। লাইলাতুল কদর নির্ধারণ : হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, তোমরা রমজানের শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বোখারি)। শবেকদর কোন রাত্রে হবে, তা কোরআন-হাদিসে স্পষ্ট বর্ণিত হয়নি। তবে এটুকু বোঝা যায়, রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে কোনো একটি, অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯-এর রাত। এ রাতকে সুস্পষ্ট করে চিহ্নত না করার তাৎপর্য এই যে, রমজানের এ শেষ দশ দিনে যাতে শবেকদর প্রাপ্তির আশায় নামাজ, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদাত-বন্দেগির বেশি করে ব্যবস্থাপনা করা যায়। মহান আল্লাহ এ রাতকে গোপন করে আমাদের ওপর রহম করেছেন। তিনি দেখতে চান, এর বরকত ও ফজিলত লাভের জন্য কে কত প্রচেষ্টা চালাতে পারে। এরপরও ওলামায়ে কেরাম কোরআন-হাদিস থেকে শবেকদর চেনার কিছু আলামত বর্ণনা করেছেন। ১. কদরের রাতান্তে যখন সকাল হবে, সেদিনকার সূর্যোদয় হবে সাদা হয়ে কিরণহীন অবস্থায়। (মুসলিম)। অবশ্যই এ আলামতটিও কদরের রাত অতিক্রান্ত হওয়ার পর সকালবেলায় জানা যাবে। ২. সত্য স্বপ্নের মাধ্যমেও শবেকদর কবে, তার জ্ঞান লাভ করা যেতে পারে। যেমন রাসুল (সা.) এর বেলায়ও এমনটি হয়েছিল, রাসুল (সা.) কে স্বপ্নের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শবেকদর কোন রাত্রে হবে। (বোখারি ও মুসলিম)। অধিকতর সম্ভাবনার দিক দিয়ে প্রথম হলো সাতাশ তারিখ, এর পর পঁচিশ তারিখ, এরপর উনত্রিশ তারিখ, এরপর একুশ তারিখ, এরপর তেইশ তারিখ। শবেকদর কেন ২৭ রমজানে পালিত হয়? এ সম্পর্কে হজরত ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.) এর মতে, পবিত্র কোরআনে কদরের রাতের ফজিলত সম্পর্কে যে সূরা কদর নাজিল হয়েছে, তাতে লাইলাতুল কদরে ৯টি অক্ষর আছে। সে হিসেবে ৩৯ = ২৭ রমজানকেই আমরা শবেকদর পালন করি।শবেকদরে আমাদের করণীয় ১. এ রাতে বেশি বেশি দোয়া করা। হাদিস শরিফে আছে, হজরত আয়েশা (রা.) নবী করিম (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, শবেকদরে আমি কী দোয়া করতে পারি? রাসুল (সা.) বললেন, তুমি এই দোয়া পড়বে, আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়ুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’আফুয়ানি। অর্থ হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন (তিরমিজি)। ২. বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। ৩. তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ) বেশি বেশি করে পড়া। ৪. তসবি (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম) বেশি বেশি পড়া। ৫. দরুদ শরিফ পড়া। ৬. নফল নামাজ বেশি বেশি আদায় করা। যথা তাহাজ্জুদের নামাজ, সালাতুত তসবি, সালাতুত হাজত ইত্যাদি। এ রজনীতে আল্লাহপ্রেমিক বান্দারা নিজেদের অতীত অপরাধগুলোর জন্য অনুতাপ ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের প্রচেষ্টা করে থাকেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

লাইলাতুল কদর রাতে আমাদের করণীয়

আপলোড টাইম : ০৯:১৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯

ধর্ম-কর্ম:রমজানের শেষ দশকে এমন এক রাত আছে, যাকে কোরআনের ভাষায় লাইলাতুল কদর এবং লাইলাতুল মুবারকাহ বলে অবহিত করা হয়েছে এবং তাকে এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলা হয়েছে। লাইলাতুন অর্থ রাত্রি, রজনি। কদরের দুটি অর্থ রয়েছে। ১. কদর অর্থ মাহাত্ম্য ও সম্মান। এর মাহাত্ম্য ও সম্মানের কারণে একে লাইলাতুল কদর তথা মহিমান্বিত রাত বলা হয়। হজরত আবু বকর ওয়াররাক (রহ.) বলেন, এ রাত্রিকে লাইলাতুল কদর বলার কারণ এই যে, আমল না করার কারণে এর আগে যার কোনো সম্মান ও মূল্য ছিল না, সে এ রাত্রিতে তওবা-ইস্তেগফার ও ইবাদতের মাধ্যমে সম্মানিত হয়ে যায়। ২. কদর অর্থ নির্দিষ্ট করা ও সিদ্ধান্ত করা। অর্থাৎ লাইলাতুল কদর এমন এক রাত, যে রাতে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বস্তুর সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করেন। তার সময় নির্দিষ্ট করেন ও প্রত্যেক বস্তুর ভাগ্য নির্ধারণ করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ওই রাতে সব বিষয়ের সুষ্ঠু ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত আমার নির্দেশক্রমে ঘোষণা করা হয়। (সূরা আদ-দুখান)। লাইলাতুল কদরের ফজিলত : এ রাতের মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, আল্লাহ তায়ালা এ রাত সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা (সূরা আল-কদর) অবতীর্ণ করেছেন, যা কেয়ামত পর্যন্ত পঠিত থাকবে। লাইলাতুল কদরের ফজিলতের অন্যতম কারণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা এ রাতে মানবজাতির পথপ্রদর্শনের জন্য পবিত্র কোরআনের মতো বিরাট নেয়ামত নাজিল করেছেন। এর চেয়ে বৃহত্তর কোনো নেয়ামত না মানুষ ধারণা করতে পারে, না কামনা করতে পারে। এ মঙ্গল ও বরকত এবং মহত্ত্ব ও ফজিলতের ভিত্তিতেই পবিত্র কোরআন তাকে এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর বলে ঘোষণা করেছে। মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (অর্থাৎ, তিরাশি বছরের চেয়েও এর মূল্য বেশি) (সূরা আল-কদর)। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে করিম (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমানের সঙ্গে এবং আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়াবে, তার পেছনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বোখারি ও মুসলিম)। মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বলে বর্ণিত হাদিস শরিফে পেছনের গোনাহের সঙ্গে সঙ্গে আগের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। একটি হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, যখন লাইলাতুল কদর আসে, তখন জিবরাইল (আ.) অন্য ফেরেশতাদের সঙ্গে জমিনে নেমে আসেন এবং প্রত্যেক ওই বান্দার জন্য রহমত ও মাগফিরাতের দোয়া করেন, যারা দাঁড়িয়ে, বসে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে রত রয়েছেন। (বায়হাকি)। অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, হে লোকসকল! তোমাদের মধ্যে এমন এক রাত এসেছে, যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রইল, সে সব ধরনের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। লাইলাতুল কদর নির্ধারণ : হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, তোমরা রমজানের শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বোখারি)। শবেকদর কোন রাত্রে হবে, তা কোরআন-হাদিসে স্পষ্ট বর্ণিত হয়নি। তবে এটুকু বোঝা যায়, রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে কোনো একটি, অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯-এর রাত। এ রাতকে সুস্পষ্ট করে চিহ্নত না করার তাৎপর্য এই যে, রমজানের এ শেষ দশ দিনে যাতে শবেকদর প্রাপ্তির আশায় নামাজ, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদাত-বন্দেগির বেশি করে ব্যবস্থাপনা করা যায়। মহান আল্লাহ এ রাতকে গোপন করে আমাদের ওপর রহম করেছেন। তিনি দেখতে চান, এর বরকত ও ফজিলত লাভের জন্য কে কত প্রচেষ্টা চালাতে পারে। এরপরও ওলামায়ে কেরাম কোরআন-হাদিস থেকে শবেকদর চেনার কিছু আলামত বর্ণনা করেছেন। ১. কদরের রাতান্তে যখন সকাল হবে, সেদিনকার সূর্যোদয় হবে সাদা হয়ে কিরণহীন অবস্থায়। (মুসলিম)। অবশ্যই এ আলামতটিও কদরের রাত অতিক্রান্ত হওয়ার পর সকালবেলায় জানা যাবে। ২. সত্য স্বপ্নের মাধ্যমেও শবেকদর কবে, তার জ্ঞান লাভ করা যেতে পারে। যেমন রাসুল (সা.) এর বেলায়ও এমনটি হয়েছিল, রাসুল (সা.) কে স্বপ্নের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শবেকদর কোন রাত্রে হবে। (বোখারি ও মুসলিম)। অধিকতর সম্ভাবনার দিক দিয়ে প্রথম হলো সাতাশ তারিখ, এর পর পঁচিশ তারিখ, এরপর উনত্রিশ তারিখ, এরপর একুশ তারিখ, এরপর তেইশ তারিখ। শবেকদর কেন ২৭ রমজানে পালিত হয়? এ সম্পর্কে হজরত ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.) এর মতে, পবিত্র কোরআনে কদরের রাতের ফজিলত সম্পর্কে যে সূরা কদর নাজিল হয়েছে, তাতে লাইলাতুল কদরে ৯টি অক্ষর আছে। সে হিসেবে ৩৯ = ২৭ রমজানকেই আমরা শবেকদর পালন করি।শবেকদরে আমাদের করণীয় ১. এ রাতে বেশি বেশি দোয়া করা। হাদিস শরিফে আছে, হজরত আয়েশা (রা.) নবী করিম (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, শবেকদরে আমি কী দোয়া করতে পারি? রাসুল (সা.) বললেন, তুমি এই দোয়া পড়বে, আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়ুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’আফুয়ানি। অর্থ হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন (তিরমিজি)। ২. বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। ৩. তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ) বেশি বেশি করে পড়া। ৪. তসবি (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম) বেশি বেশি পড়া। ৫. দরুদ শরিফ পড়া। ৬. নফল নামাজ বেশি বেশি আদায় করা। যথা তাহাজ্জুদের নামাজ, সালাতুত তসবি, সালাতুত হাজত ইত্যাদি। এ রজনীতে আল্লাহপ্রেমিক বান্দারা নিজেদের অতীত অপরাধগুলোর জন্য অনুতাপ ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের প্রচেষ্টা করে থাকেন।